হুমায়ুন মৃত্যুর আগে বুঝে না বুঝে বাঙালী জাতীয়তাবাদী সেক্যুলার-সাম্প্রদায়িক আওয়ামী ফ্যাসিবাদের খপ্পড়ে পড়েছিলেন তা নিয়ে বিতর্ক করা যেতেই পারে। তবে মৃত্যুর পরে যে হুমায়ুন যে বাঙালী জাতীয়তাবাদী সেক্যুলার-সাম্প্রদায়িক আওয়ামী ফ্যাসিবাদের হাতে বন্দি হয়ে পড়েছেন তা নিয়ে কোন সন্দেহ নাই। আজ হুমায়ুনকে শ্রদ্ধা জানানোর অনুষ্ঠান বেদখল হয়ে গেল আওয়ামী লীগের তল্পিসংগঠন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের হাতে। রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপণা হলে কারো মধ্যেই প্রশ্ন ওঠত না কিন্তু সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের মত দলীয় ব্যবস্থাপণার মাধ্যমে ফ্যাসিবাদ অশ্লীল-অশ্রাব্য শ্লোগানই শোনা যাচ্ছে চারিদিকে-ফ্যাসিবাদ শুধু জীবিতের উপরেই কায়েম নয়, মৃতের শব দেহের পাশেই নৃত্যরত! এরপর দেখা যাচ্ছে আরেক কান্ড!! যার হোতা জাফর ইকবালের মত আওয়ামী রুচির ধান্দাবাজ। যেই খানে বিমানবন্দরের কান্না জড়িত কণ্ঠে হুমায়ুনের স্ত্রী শাওন বলেন, ‘উনার (হুমায়ূন আহমেদ) শেষ ইচ্ছা ছিল নুহাশপল্লী।
উনাকে আর কষ্ট দিয়েন না। নুহাশপল্লীতেই ব্যবস্থা করেন। ’ সেখানে আমরা ধান্দাবাজিটা জাফর ইকবালদের কন্ঠে শুনতে পাচ্ছি এভাবে-‘তিনি ছিলেন সর্বস্তরের সাধারণ মানুষের প্রিয় একজন মানুষ। সে কারণে এমন একটি স্থানেই তাঁর কবর হওয়া উচিত, যেন তাঁর অনুরাগীরা সেখানে গিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে পারেন। নুহাশপল্লীতে কবর হলে সেটি সাধারণ লোকচক্ষুর আড়ালে একটি কোণে গিয়ে পড়বে।
আমরা আপাতত তিনটি স্থানের কথা ভেবেছি। এর মধ্যে আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে কবি নজরুল ইসলামের সমাধি চত্বর, মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থান এবং বনানী কবরস্থান। ’ যদিও গতকালও এই ধান্দাবাজেরা জানিয়েছিলেন শাওনের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে। এখন শাওন তো কানতে কানতে সিদ্ধান্ত জানাইছে, যে হুমায়ুনের অসিয়ত কী ছিল। মৃতের এই অসিয়ত পালন করার বাধ্যবাদকতা রয়েছে আকেলাদের উপর।
তারপরেও বাঙালী জাতীয়তাবাদী সেক্যুলার-সাম্প্রদায়িক আওয়ামী ফ্যাসিবাদের ব্র্যান্ড এ্যাম্বাসাডর ভাই জাফরদের এমন নোংরা খায়েশ কেন? ‘এমন একটি স্থানেই তাঁর কবর হওয়া উচিত, যেন তাঁর অনুরাগীরা সেখানে গিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে পারেন’-এই কবর ব্যবসার জন্য! হুমায়ুন নিশ্চয় তার জীবনে মর্মে মর্মে টের পেয়েছিলেন কোন রাজনৈতিক বাস্তবতা তাকে আওয়ামী লীগের দালাল, সুশীল সমাজের সদস্য, ইসলাম বিরোধী সেক্যুলার সাম্প্রদায়িকের ভূমিকা নিতে উস্কানি যুগিয়েছিল। তা যে হুমায়ুন টেরপেয়েছিলেন এ নিয়ে কোন সন্দেহ নাই। কারণ তিনি মৃত্যুর আগেই বাঙালী জাতীয়তাবাদী সেক্যুলার-সাম্প্রদায়িক আওয়ামী ফ্যাসিবাদের চরিত্র সম্পর্কে হুঁশিয়ার হয়েছিলেন এবং মৃত্যুর পরে তাদের গুন্ডামির হাত থেকে নিজের লাশকে রক্ষার জন্য অসহায়ের সহায় হিসেবে শাওনকে মিনতি জানিয়ে গিয়েছিলেন-‘আমার যদি কিছু হয়, তবে আমার লাশ দাফন নিয়ে টানাটানি হবে। তুমি আমাকে নুহাশ পল্লীতে নিয়ে যাবে। ' বাঙালী জাতীয়তাবাদী সেক্যুলার-সাম্প্রদায়িক আওয়ামী ফ্যাসিবাদের ব্র্যান্ড এ্যাম্বাসাডর ভাই জাফরদের মাজার ব্যবসার খায়েশ প্রতিহত করতে সবাইকে অনুরোধ জানই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।