আমার অনুমতি ছাড়া এই ব্লগের লেখা কোথাও প্রকাশ করা যাবে না। আমাদের গ্রামে বিদ্যুৎ আছে, বিভিন্ন কোম্পানির মোবাইল নেটওয়ার্ক পাওয়া যায়, আমাদের বাড়িরটা বাদ দিয়ে সবার বাড়িতে ঘরে ঘরে রঙিন টেলিভিশন, আমাদের বাড়ি ছাড়া সবার বাড়িতে ডিশের লাইন, সরি স্টার জালসার লাইন।
ডিশ লাইন আসার আগে আমার মা-কাকীরা বিকেল বেলায় সেই রকম একটা আড্ডা দিতেন। আলাদা একটা মায়া কাজ করত সবার মাঝে। বিকেল বেলায় আড্ডা না দিলে যেন, তারা বেঁচে থাকতে পারবেন না, এমন একটা ব্যাপার ছিল।
সবাই সবার খবর জানতে পারত। গোটা পাড়াটাকে একটাই পরিবার মনে হত।
কিন্তু ঘরে ঘরে স্টার জালসার আগমনের ফলে, বিকেল বেলায় কেউ কারো মুখ দেখতে পায় না। কে যে কাকে কবে দেখেছেন, সেটাই ভুলে গেছে। এমনকি ছোট ছেলেময়েরাও বিকেল বেলায় বের হয় না, তাদের মুখ থেকে আর কিত কিত শব্দ শুনা যায় না আর ছোটদের চেঁচামিচিতে আর মুখরিত হয়ে উঠেনা বিকেলটা।
বিকেলটা যেন স্টার জালসার আঘাতে আহত হয়ে পড়ে রয়েছে।
মোবাইল ফোনের ব্যাপক প্রসারের ফলে, ক্লাশ সিক্স-সেভেনের ছেলেমেয়েদের কাছে থেকে অসাধারণ প্রেমালাপ শুনতে পাই। গ্রামের রাজমিস্ত্রী থেকে তার চায়না সেটের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক মেয়ের সাথে দারুণ ফোনালাপ শুনতে পাই। মেয়েটি নাকি তাকে কল দেয়।
যাহোক গ্রামের ডিশ আর মোবাইলে কল্যাণে আমার গ্রামের ছেলে-মেয়েরা কাজে স্মার্ট না হলেও, চলাফেরায় দারুণ স্মার্ট।
আমাদের গ্রামের স্কুল আর কলেজের মেয়েরা সাধারণত জিৎ, দেব এর সিনেমা নিয়ে পাগল। তারা সাধারণত জিৎ আর দেবের মত ছেলেদের কল্পনা করে। ছেলেদের চেয়ে তাদেরই প্রেম করার আগ্রহটা যেন বেশি।
তারা সিডি –ডিভিডির দোকান থেকে জিৎ আর দেবের সিনেমা নিয়ে আসে। বাসায় দেখে, পরে সেই সব দোকানের আশে পাশে আড্ডা দেওয়া বা কলেজের
দেব মার্কা ছেলেদের প্রেমে পড়ে।
ছেলেদেরও যেন দেব হবার হিড়িক পড়ে গেছে, বাবার টাকায় পালসার কিনে, মেয়েদের সাথে প্রেম করে, যেহেতু সবার হাতে হাতে ভিডিও মোবাইল ফোন (এই জন্য চীনের প্রতি আমরা বেশি কৃতজ্ঞ)– অন্তরঙ্গ মুহূর্তগুলো মোবাইল ফোনে ভিডিও করে রাখে
link : Samu ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।