আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হুমায়ুন আহমেদ মেশিন ছিলেন না, সাগর ছিলেন

হিন্দু না ওরা মুসলিম ঐ জিজ্ঞাসে কোনজন, কান্ডারি বলো ডুবিছে মানুষ সন্তান মোর মা'র Click This Link এইটা পড়ছিলাম। লেখকের হাত অবশ, প্রকাশক ডাক্তার না ডেকে ছুটছেন রেকর্ডার যোগার করতে। লেখকের হাত অবশ হইলে তার বই মেলায় ব্যাবসা হবেনা। লেখক তার কাছে ব্যাবসার পন্য ছাড়া অন্য কিছুনা। কৃষকের কাছে গরুর যেই মর্যাদা প্রকাশকের কাছে লেখকএর সেই মর্যাদাটুকুও নাই।

গত এক যুগ ধরে বানিজ্যিক লেখকে পরিনত হওয়ার দোষে হুমায়ুন আহমেদকে আমরা অনেক গালি দিয়েছি, কটু কথা শুনিয়েছি, কিন্তু লেখকের আত্মা বেচা এবং তার হাতকে একটা ইন্ডাস্ট্রিয়াল মেশিনের মর্যাদা দেয়া প্রকাশকদের আমরা কয়বার গালি দিয়েছি? হুমায়ুন আহমেদ মারা গেছেন, এইসকল প্রকাশকএর টাকা কামানের সবচেয়ে দামি মেশিনটা নষ্ট হয়ে গেছে। এখনকি তারা মাথায় হাত দেবেন? ফকির হয়ে যাবেন? আরেকজন হুমায়ুন আহমেদতো দুনিয়ার কোন কারখানায় তৈরি করা যাবেনা, কোন শিল্পন্নত দেশ থেকেও আমদানি করা যাবেনা। মনে হয়না তারা ফকির হবেন। মরা হাতির দাম লাখ টাকা, আর মরা লেখকের দাম জীবিত লেখকের চেয়েও বেশি। হুমায়ুন আহমেদ নামক যন্ত্রের চেয়ে তাকে ভেঙে চুরে টুকরা টুকরা করে যেসব স্ক্র্যাপ পাওয়া যাবে তার দাম সেই যন্ত্রের চেয়ে বেশি হতে পারে, কম হবেনা।

এরা এখন অমুক সমগ্র, তমুক সমগ্র, অপ্রকাশিত এই, অপ্রকাশিত সেই এহেন নানান নামের ভাঙ্গারি বেচে আরো বহু বছর ব্যাবসা চালিয়ে যাবেন। এই মেশিনের বরাতে বেচে বর্তে থাকবে তাদের কয়েক প্রজন্ম। কিন্তু হুমায়ুন আহমেদ একজন সাগর ছিলেন। সেই সাগর সেচে মুক্তা বের করার কাজটা তারা করবেনা। কে বা কারা করবে? [এখানে কারো মুক্তা সেচার ইচ্ছা থাকলে হুমায়ুন আহমেদএর কোন কাজ এবং সেই কাজ সম্বন্ধে ২/৪ লাইন লিখবেন কমেন্টে।

হুমায়ুন আহমেদএর আসল কাজগুলাই স্মরণিয় হউক। মৃত্যুর পরে তিনি লেখক হিসাবেই টিকে থাকুন, স্ক্র্যাপ আইটেম হিসাবে না। ] ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.