আজ জাতির মুখ বন্ধ্। কিছু বলতে পারবেনা তাই একটু বলতে আসলাম আসসালামুয়ালাইকুম রোজা এসে গেল তাই ভাবলাম ইসলামিক কিছু নিয়ে একটা একটা টিউন কারা প্রয়োজন তাই বসে গেলাম।
প্রথমে রমজান মাসের কিছু ইতিহাস।
১. রমজান মাসে নাজিল হয় আল কুরান।
২. ২য় হিজরীর ১৭ রমজান বদরযুদ্ধ সংঘটিত হয় এবং মসুলমানরা বিজয়ী হয়।
৩. ৮ম হিজরীর ২০ রমজান মক্কা বিজয় হয়।
৪. ৬ রমজান হযরত মুসা (আ এর উপারে তাওরাত নাযিল হয়।
৫. ১৩ রমজান হযরত ঈসা (আ এর উপরে ইঞ্জিল নাযিল হয়।
৬. ১৮ রমজান হযরত দাউদ (আ এর উপরে জাবুর নাযিল হয়।
৭. রমজানের ১ম রাত্রি হযরত ইব্রাহীম (আ এর উপর সহীফা নাযিল হয়।
৮. ১৩ রমজান হযরত আমর বিন আস (রা এর কতৃক জেরুজালেম বিজয় হয়।
৯. রমজান মাসে হযরত সুমাইয়া (রা নিরমামভাবে শহীদ হন।
১০. ৯২ হিজরীতে রমজান মাসে তারেক বিন যিয়াদ কতৃক স্পেন বিজয় হয়।
১১. রমজান মাসে মুসলমানদের পবিত্র স্থান বায়তুল মাকদাস বিজয় হয়।
আমার এই সীমিত সংখ্যাক ছাড়া বিশেষ কিছু মনে পড়ছে না আপনাদের মনে পড়লে শেয়ার করবেন।
এবার কিছু রমজানের ফজিলত।
১. নবী করীম (স ফরমাইয়াছেন রমজানের প্রথম দশ দিনে আল্লাহপাক রহমত নাযিল কেন। দ্বীতীয় দশদিনে মাগফেরাত বা গোনাহ মাফ করিয়া দেন। তৃতীয় বা শেষ দশ দিনে জাহান্নাম হইতে নাজাত দেন।
২. তিনি আরো এরশাদ করিয়াছেন, রমজান মাসের ক্কদরের রাত্রি হাজার মাস হইতও উত্তম।
অরথাৎ তিরাশী বছর চার মাসের ইবাদাতের চেয়েও ক্বদরের রাত্রির ইবাদাত উত্তম। রমজানে একটি নফল আদায় করিলে অন্য মাসের একটি ফরজ আদায়ের সমান সও য়াব এবং একটি ফরজ আদায় করিলে সত্তরটি ফরজ আদায়ের সমান সওয়াব পাওয়া যায়।
৩. হুজুর (স ফরমাইয়াছেন, যে ব্যক্তি কোন রোজাদার কে সামান্য দুধ, একটি খেজুর কিংবা সাদা পানি দিয়া হিলেও ইফতার করাইবে, আল্লাহ পাক তাহাকে রোজাদারের সমান সওয়াব দান করিবেন। কিন্তু রোজাদার ব্যক্তির সওয়াবের কোন কমতি হইবে না।
যেসব কারণে রোযা নষ্ট হয় এবং কাযা ও কাফফারা আদায় করতে হয়।
রোযা অবস্থায় ইচ্ছা করে উভয় রাস্তার কোন এক রাস্তার কোনে এক রাস্তা দিয়ে করলে বা করালে, এরূপ ইচ্ছাপূরবক হানাহার বা ঔষুধ সেবন করলে কাযা-কাফফারা উভাই আদায় করতে হবে। সিঙ্গা লাগিয়ে বা ভুলবশত পানাহার করে রোযা নষ্ট হয়েছে ধারণা করে পানাহার করলে এ অবস্থায় শুধু রোয়া কাযা করতে হবে, কাফফারা আদায় করতে হবে না।
রোযার কাফফারা আদায় করার নিয়ম।
রোযার কাফফারা তিন নিয়মে করা যেতে পারে। প্রথম, একাদিক্রমে দুই মাস রোযা রেখে।
যদি কেউ ৪০/৫০ কিংবা ৫৫টি রোযা রেখেও একটি রোযা ভাঙ্গে, তবে পুনরায় প্রথম হতে আরম্ভ করতে হবে। দ্বিতীয়, প্রথম নিয়মে কাফফারা আদায়ে অক্ষম হলে ষাট জন মিসকীনকে ষাট দিন পরিতৃপ্তি সহকারে খাওয়াতে হবে। তৃতীয়, উপরোক্ত দুই নিয়মের কোনটিই সম্ভব না হলে একজন ক্রীতদাস আযাদ করে দিতে হবে।
(জাওয়াহেরুল ফেকাহ)
যেসব কারণে এক রোযার পরিবরতে কেবল একটি রোযা আদায় করতে হয়।
(১) ভুলবশত কিছু খেয় ফেললে।
যেমন, অযু করার সময় অসাবধানতাবশত হলকুমে পানি প্রবেশ করলে। (২) বল প্রয়োগে কেউ কিছু খাওয়ালে। (৩) যেকোন দ্বার দিয়ে পিচকারি করালে। (৪) নাসিকা দ্বারা পানি মস্তকে টেনে নিলে। (৫) কানে ওষুধ বা তেল প্রবেশ করালে।
(৬) পেটের কিংবা মস্তকের জখমে ওষুধ লাগালে যদি তা ভিতরে প্রবেশ করলে। (৭) মুখ ভরে বোমি করলে। (৮) রাত আছে ধারণায় সোবহে সাদেকের পর সেহরী খেলে। (৯) সূরযাস্ত হয়েছে ধারণায় বেলা থাকতে ইফতার করলে। (১০) ভুলে পানাহার করে রোযা ভঙ্গ হয়েছে।
ধারণায় পানাহার করলে। (১১) নিদ্রিতাবস্থায় হলকুমে কিছু প্রবেশ করলে। (১২) নিদ্রিতাবস্থায় সঙ্গম করলে। (১৩) সম্পূরণ রমযানে একটি রোযারও নিয়ত না করলে। -(মালাবুদ্দা)
যে সব কারণে রোযা মাকরূহ হয়।
(১) গীবত করলে, (২) কোন জিনিসের স্বাদ গ্রহণ করলে। (৩) কিছু চরবণ করলে। (৪) রোযা রেখেছে বলে একেবারে নীরব থাকলে। (৫) বিনা প্রয়োজনে বারবার কুল্লী করলে। (৬) নাকে পানি দিলে।
(৭) মাজনাদি দ্বারা দাঁত মাজলে। (৮) পানিতে নেমে বায়ু ছাড়লে। (৯) ভিজা কাপড় শরীরে জড়িয়ে রাখলে। (১০) অশলীন কথাবাতারা বললে বা কাউকে গালাগালি করলে। (১১) মিথ্যা ব্যাবহার করলে।
(১২) ইচ্ছা করে বমন করলে।
যেসব কারনে রোযা মাকরূহ হয় না।
(১) স্বপ্নদোষ হলে, (২) ভুলে কিছু খেয়ে ফেললে। (৩) কোন স্ত্রীলোকের প্রতি কামভাবের সাথে নজর করার দরুন বীরয নিরগত হলে। (৪) শরীরে তেল লাগালে।
(৫) ধুলাবালি গালায় প্রবেশ করলে (৬) মেসওয়াক করলে। (৭) থুথু গিলে ফেললে।
এবার কিছু ইসলামিক ছবি।
ছবি পেতে, ইসলামের কিছু জানত এবং আপনার কিছু জানা থাকলে এই গ্রুপে এসে জয়ন করুন।
Click This Link
এবার আমি কটা সাইট দিচ্ছি যেখানে যে গুলো ব্রাউজ করার পর পবিত্র কুরান পাঠ শুনতে পাবেন নেটের স্প্রড কম হলেও
http://www.tvquran.com/en/
http://www.islamiaonline.com/quran_bn_mp3/
http://www.ourholyquran.com/
সব শেষে রমজান মাসে আমার জন্য দোয়া করবেন।
টিউনটাপড়ে সাবাই মন্তব্য বরবেন। এবার বিদায় নেব কিন্তু তার আগে। যদি কারোর কাছে কোন বাজনা ছাড়া গজলের লিংক থাকে তাহলে দিবেন।
আমি আছি:
https://www.facebook.com/arafat.hossain.58
skype: arafat.hossain54
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।