শ্রীলংকায় সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য ৪র্থ টি-টুয়েণ্টি বিশ্বকাপের জন্য নির্বাচকদের ঘোষিত পাকিস্তান দলটি লঙ্কান কণ্ডিশন অনুযায়ী সঠিকই বলা যায়। জুনায়েদ খান ও আব্দুর রেহমানের বাদ পড়া অনেকের কাছে অবাকই ঠেকতে পারে। কিন্তু যে দলে সুইং, ইয়র্কার ও স্লোয়ার বল করার জন্য টি-টুয়েণ্টিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটধারী অভিজ্ঞ গুলের সাথে পরীক্ষিত তানভির আছেন সেখানে জুনায়েদের তেমন কার্যকারিতা আছে কি? সামিকে দলে নিয়ে নির্বাচকেরা দলে ভেরিয়েশন এনে ঝুঁকি নিয়েছেন! অন্যদিকে ইয়াসির আরাফাতের অলরাউণ্ড দক্ষতাই তাকে লঙ্কাগামী বিমানের টিকেট পেতে ভূমিকা পালন করেছে তা নি:সন্দেহে বলা যায়। মিতব্যয়ী স্পিনার রাজা হাসান ঘরোয়া লীগে ভালো খেলার পুরস্কার পেয়েছেন। ব্যাটিংয়ে ইমরান নাজিরের দলভূক্তি মিসবাহ উল হকের অনুপস্থতিতে দলের ব্যাটিংয়ে বাড়তি অভিজ্ঞতা যোগ করবে।
মিডল অর্ডারে কামরান, আসাদ থাকলেও দলের সাফল্য অনেকাংশে শোয়েব ও উমরের ব্যাটিং ফর্ম এর উপর নির্ভর করবে। দলে ফিনিশার হিসেবে মিসবাহ এর ঘাটতি পূরণে দুই বর্ষীয়ান অলরাউণ্ডার আফ্রিদি ও রাজ্জাককে বাড়তি দায়িত্ব পালন করতে হবে। কামরানের কাছে গ্লাভস ফিরিয়ে দিয়ে বিচক্ষণতার পরিচয় দিল হোয়াটমোরের পাকিস্তান। দলের মূল একাদশে নাসির ও ইমরান নাজিরের মধ্যে যে কোন একজন হাফিজের সাথে ওপেনিংয়ে খেলবেন। এরপর আসাদ, উমর, কামরান, শোয়েব মালিক।
অলরাউণ্ডার হিসেবে রাজ্জাক ও আফ্রিদি। দলে মূল স্পিনার হিসেবে সাঈদ আজমলই একমাত্র খেলবেন বলে ধারণা করা যায়। কেননা দলে আফ্রিদি ছাড়াও হাফিজ ও শোয়েব মালিকও আছেন স্পিনার হিসেবে। প্রতিপক্ষকে চমকে দেওয়ার জন্য হয়তো রাজাকেও খেলানো হতে পারে। মূল একাদশে বোলার হিসেবে গুল অটোমেটিক চয়েস।
তার সাথে তানভীরের খেলার সম্ভাবনাই বেশি। নিউজল্যাণ্ডের বিপক্ষে ২৩ সেপ্টেম্বরের ম্যাচ দিয়ে পাকদের এবারের বিশ্বকাপ অভিযান শুরু হবে। একবারের চ্যাম্পিয়ন, একবারের রানার্স আপ ও একবারের সেমিফাইনালিস্ট এ দলটির মূল ভরসা বরাবরের মতই বোলিং। টি-টুয়েণ্টি ইতিহাসের সবচেয়ে সফল তিন বোলার আফ্রিদি (৫৮ উইকেট), গুল (৫৭ উইকেট) ও আজমল (৫৫ উইকেট) এই বিশ্বকাপে পাকিস্তানের হয়ে খেলছেন! ব্যাটিংয়ে আছেন আফ্রিদি, শোয়েব, আকমল ভাতৃদ্বয়, হাফিজ ও রাজ্জাকের মত খেলোয়াড়। টি-টুয়েণ্টি বিশ্বকাপে সবচেয়ে সফল এ দলটি কাগজে, কলমে, পরিসংখ্যানসহ সব দিক দিয়ে এবারেও শিরোপার দাবিদার।
প্রায়ই উপমহাদেশের মত লঙ্কান উইকেটে ভাল করার ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হাফিজবাহিনী। অক্টোবরের সাত তারিখে কলম্বোর ফাইনাল জিতে পারবে তারা বিশ্বকাপ পুনরুদ্ধার করতে? শক্তিশালী দল হলেও পাকদের নিয়ে বাজি ধরার লোক খুব কমই পাওয়া যাবে কেননা ক্রিকেট বিশ্বে সবচেয়ে আনপ্রেডিক্টেবল দলের ট্যাগও যে আছে তাদের উপর!
১৮ জুলাই, ২০১২ ইং।
মো: মুজিব উল্লাহ:
Follow me at Facebook
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।