অর্থাৎ ৭-০ অগ্রগামিতায় ফাইনালে বায়ার্ন। প্রথম লেগে ঘরের মাঠে বায়ার্ন ৪-০ গোলে জিতেছিল।
আগামী ২৫ মে লন্ডনের ওয়েম্বলিতে অনুষ্ঠেয় ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ বরুসিয়া ডর্টমুন্ড। যে-ই জিতুক, ট্রফি যাচ্ছে জার্মানিতেই। ফাইনালের দুটো দলই যে জার্মানির।
নিউ ক্যাম্পে খেলা শুরু হওয়ার ঠিক আগে একটি দুঃসংবাদ থমকে দিয়েছে বার্সা-সমর্থকদের। এমন গুরুত্বপূর্ণ খেলা, অথচ প্রথম একাদশে লিওনেল মেসি নেই!
মেসির জায়গায় নামা সেস ফ্যাব্রেগাস তেমন কিছু করতে পারেননি। অবশ্য পুরো ম্যাচে মেসির অভাব অনুভব করা বার্সাও গোল করার তেমন সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। বিরতির আগে-পরে বায়ার্নের রক্ষণভাগে ফাটল ধরানোই সম্ভব হয়নি স্বাগতিকদের পক্ষে।
পেদ্রোর দূর থেকে নেয়া জোরালো শট বায়ার্নের গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়্যারের পোস্টের ওপর দিয়ে উঠিয়ে দেয়া এবং দানি আলভেসের ক্রস থেকে জাভির শট ক্রসবার উঁচিয়ে চলে যাওয়াই প্রথম ৪৫ মিনিটে বার্সার বলার মতো দুটো সুযোগ।
বিরতির আগে বায়ার্ন গোল করার একটাই সুযোগ পেয়েছিল। বাস্তিয়ান শোয়াইনস্টাইগারের লং বল ধরে, আরিয়েন রবেন বার্সার বক্সের মধ্যে ঢুকে পড়েছিলেন। সামনে গোলরক্ষক ভিক্টর ভালদেস একা, কিন্তু রবেন শট নেয়ার আগে পেছন থেকে এসে দলকে বিপদমুক্ত করেন জেরার্ড পিকে।
তবে দ্বিতীয়ার্ধের তৃতীয় মিনিটে দলকে হতাশ করেননি রবেন। ডেভিড আলাবার ক্রস বুক দিয়ে নামিয়ে, বক্সে ঢুকে, বার্সার দুই ডিফেন্ডার আদ্রিয়ানো ও অ্যালেক্স সংয়ের বাধা এড়িয়ে বাঁ পায়ের শটে বায়ার্নকে এগিয়ে দেন এই ডাচ উইঙ্গার।
৭২ মিনিটে আবার বার্সার জালে বল। এবার আত্মঘাতী গোল। বাঁ দিক থেকে নেয়া ফ্র্যাঙ্ক রিবেরির ক্রস বিপদমুক্ত করতে গিয়ে উল্টো নিজেদের জালে জড়িয়ে দেন পিকে।
পরের মিনিটে ডেভিড ভিয়ার হেড অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে হতাশ করে স্বাগতিক-সমর্থকদের।
৭৬ মিনিটে তাদের হতাশা আরো বেড়ে যায়।
রিবেরির ক্রসেই হেড করে ব্যবধান ৩-০ করেন টমাস মুলার।
খেলার পুরোটা সময় মাঠের বাইরে বসে সতীর্থদের দুর্দশা দেখতে হয়েছে মেসিকে। বার্সার কোচ টিটো ভিলানোভা টানা চার বারের ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলারকে মাঠেই নামাননি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।