মর্তলোকে পাঁচ জ্ঞানী ব্যাক্তি আলোচনা করছে কি অদ্ভুত বিষয় নিয়ে তাদের ভাষা বুঝা বড় দায়। পাশেই ঘাপটি মেরে শুনছিল পৃথিবী থেকে সাত আসমান ভ্রমণে বের হওয়া এক ব্যাক্তি। সে আর যেন তেন কেউ নয় এই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানীদের বস। পৃথিবীর বিজ্ঞানীদের রাজত্ব NASA’এর প্রধান। সে আবার বাঙালী বংশদ্ভুত বিজ্ঞানী নামটি তার ডঃ ততন।
সে অনেক্ষণ ধরেই এই আলোচনা শুনছিল কিন্তু কিছুই বুঝতে না পারা সত্তেও শুনছিল কারণ একটাই আলোচনার এক পর্যায়ে বাংলাদেশের নাম শুনতে পেয়েছিল। তাই অনেক স্থানে ঘুরে ফিরে অনেকের প্যাচাল না বুঝতে পেরেই অন্য আরেকটা যায়গায় যাচ্ছে ভিন্ন কিছু আছে কি না তা দেখতে। এখানে সে ঘুরছে ফিরছে কিন্তু কিছুই বুঝছেনা। সে তো অনেক ভাষায় শিখে এসেছে কিন্তু এরা কবেকার ভাষায় কথা বলছে কিছু বুঝতে পারছেনা।
অল্প কিছুক্ষন পরেই সে দেখতে পেল আলোচকরা পাঁচটি টিউব আকৃতির যানে চড়ে পাঁচ দিকে রওনা হয়ে গেল।
সে এত বড় বিজ্ঞানী কিন্তু কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছেনা যন্ত্রগুলো এত অদ্ভুত কেন। সে যে নতুন স্পেসশীপে এখানে এসেছে তাতে মহাবিশ্বের যে কোন বস্তুর ছবি তুলে রেখে দিলেই সেটি হাই পাওয়ার ট্র্যাকিং ডিভাইসের কল্যানে ট্র্যাক করে ফেলতে পারে। সে তৎক্ষনাত তাই করলো। অতঃপর সে তার আসল কাজে লেগে গেল আর কোন কিছু তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করা যায় কিনা যা তাদের গবেষনার কাজে লাগবে তাতেই মনযোগ দিল। তার যানটি সামনের দিকে চলতে থাকলো।
ডঃ তোতন সম্পর্কে আপনাদের কিছু বলে নিই। বাঙালী বিজ্ঞানীরা প্রতিভাবান এটা সারাবিশ্ব যেনে গিয়েছিল ২০২২ সালের দিকে যখন পৃথিবীর সমস্ত বস্তুকনার ভরের মূল কনিকা ঈশ্বর কনা বা “particles of god” আবিস্কৃত হওয়ার পর। যেই কনিকাটি মূলত আরেক বাঙালী বিজ্ঞানী সত্যেন বসু আবিস্কার করেছিলেন তারই দেখানো পথেই এই মহান আবিস্কার আজ পৃথিবীর মানুষের দিন বদলের রুপকথার মূল অংশ। কিন্তু এই আবিস্কারের মূল্যায়ন না করে পশ্চিমা আগ্রাসনবাদীরা তাকেই হেয় প্রতিপন্ন করে। কিন্তু যারা বুঝে গিয়েছিল যে বাঙালী বিজ্ঞানীরা আসলেই প্রতিভাবান তারা, মানে ইউরোপ আমেরিকার বিভিন্ন দেশ এই দেশ থেকে প্রতিভাবান মানুষকে তাদের দেশে ডাইভার্সন ভিসা, স্টাডি ভিসা, নানা রকম ভিসার মাধ্যমে তাদের দেশের নাগরিকত্ব দিয়ে দেয়।
যাতে তারা এই দেশে বসবাস করে, সন্তান উৎপাদন করে এবং তাদের দেশে প্রতিভাবানের জন্ম দেয়। এই পদ্ধতির সাথে তারা আরও যোগ করে যে, যারাই এদেশে ভাল রেজাল্ট করবে তাদেরকে তারা বিদেশে নিয়ে যাবে। লেখাপড়া ও গবেষণা করার জন্য বৃত্তি দিবে, নাগরিকত্ব দিবে সে মহা পরিকল্পনারই ফসল ডঃ ততন।
এই ডঃ ততন হলেন আমেরিকার তথা পৃথিবীর প্রতিনিধিত্ব কারী বিজ্ঞান গবেষণাগার NASA’র কর্তা ব্যাক্তি। যে সম্প্রতি একটা স্পেসশীপ আবিস্কার করেছে যেটা আলোর গতির চেয়ে দ্বিগুন বেগে গতিশীল যান আবিস্কার করেছেন।
এবং যাতে কেউ যদি ভ্রমণ করে তাহলে সে সময়কে থামিয়ে দিতে পারবে। তার মানে যদি কেউ পৃথিবী থেকে এই যানে করে ভ্রমণ করে সে ফিরে আসবে যখন তখন আসলে ১ সেকেন্ড সময় অতিক্রান্ত হবে। কিন্তু তার কাছে মনে হবে আসলে সে ভ্রমন করেছে কমপক্ষে এক দিন। আসলে বিষয়টা হল inception যার মাধ্যমে মানুষ স্বপ্নের মাঝে স্বপ্ন দেখে কিন্তু সপ্নের ভেতরের স্বপ্নের সময়টা অধিক মনে হয়।
সেই মহাপরিকল্পনা গ্রহনের পর দুইশ বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেছে আজ ২২২২ সাল আজ পৃথিবীর ইতিহাসের সব থেকে চাঞ্চল্যকর ঘটনার জন্ম দিল একজন বাঙালী বিজ্ঞানী।
যে কিনা অনেক ভাষা শিখে এসেছে মহাকাশ ভ্রমণে যদি কোন কাজে লাগে। অতঃপর পৃথিবীতে ফিরে আসার সময় তার কাছে মনে হল সে আরেকটা গোপন রহস্য উদঘাটনের জন্য। সবাই খুব উত্তেজিত পৃথিবীর মহান বিজ্ঞানী অভিযান শেষে ফিরে এসেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট তার সামনে বসে আছেন ভ্রমণের অভিজ্ঞতা শোনার জন্য। কিন্তু তিনি মুখে বলতে লাগলেন আমি এখন কিছুই বলতে পারবোনা আমি ভীষণ উত্তেজিত এবং আমি এখন ঘুমাবো, ঘুম থেকে উঠে আমি সর্ষে-ইলিশ খাব।
আমেরিকার প্রেসিডেন্টতো তার উপদেষ্টাদের সাথে জরুরী বৈঠকে বসলেন সবাইকে নিয়ে চিন্তা করতে লাগলেন বিজ্ঞানী ততনের এই অবস্থা কেন হল? তার এই অসংলগ্ন কথাবার্তা কারন কি? কিছুক্ষণের মাঝেই ততনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক এসে জানালেন ততনের পালস রেট বেড়ে দেড় হাজারে পৌছে গেছে প্রেশার ৪২০-৫১০।
যা প্রমান করে ততন আর বেশিক্ষণ বাচবে না এখনি ওকে ও.টি তে নিতে হবে। কমপক্ষে তার মস্তিস্ককে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। ও.টিতে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষনের মাঝেই সে মারা গেল। এই মহান বিজ্ঞানীর মস্তিস্ক আলাদা করে রেখে দেওয়া হলো।
পরের দিনের ঘটনা, ততনের আত্বীয়-স্বজনেরা লাশ নিতে গিয়ে দেখে লাশের মাথা ও মুখের কিছুই অক্ষত নেই ততনকে কেউই চিন্তে পারেনি তবুও বিশ্বাস করে নিয়ে এসেছে।
সারা গায়েও বিভিন্ন রকম কাটা-ছেড়ার দাগ কোথাও গায়ের চামড়া অক্ষত নেই। ততনের মায়ের খুব সন্দেহ হলো এটা তার ছেলে নয়। মায়ের মন কিছুতো গড়বড় টের পেতেই পারে। তাই সে সবাইকে বাইরে যেতে বললো শুধু ততনের বউ থাকলো পাশে। ততনের মায়ের অভিসন্ধি টের পেয়ে বউ নিজেই গেল ততনের Identification evidence চেক করার জন্য।
ততন ছোটবেলায় দাদা-পরদাদাদের দেশ বাংলাদেশে এসেছিল কুরবানির ঈদ উদযাপন করার জন্য। গরুর হাট থেকে বিশাল এক দামরা কিনে নিয়ে আসে কুরবানি করার জন্য। ঈদের দিন কুরবানি করার সময় হঠাৎ করে গরুটি ছুটে গিয়ে অদূরে লাল পাঞ্জাবী পরিহিত ততনের দিকে তেড়ে যায়। ততন জান বাচানোর জন্য দৌড়াতে থাকে কিন্তু পেছন থেকে গরুটি গিয়ে তার পাছায় আঘাত করে ফলে শিং এর কিছুটা তার নিতম্বে ঢুকে যায়। এক রক্তারক্তি কান্ড ঘটে যাওয়ায় সবাই বিস্মিত ।
আশেপাশের সবাই গিয়ে গরুটিকে ধরে কিন্তু ততক্ষনে ততন অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পরে ।
তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে চিকিৎসা করিয়ে বাসায় না এনে ক্লিনিকেই ভর্তি করা হয় । জ্ঞান ফেরার পর সে একটা কথায় বলেছিল সর্ষে-ইলিশ খাব । কয়েকদিন পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার পর সবাই জানতে পারে কে যেন তাকে বলেছিল মানুষ জ্ঞান হারিয়ে ফেললে কিংবা ভীষণ বিপদে পরলে চোখে সর্ষে ফুল দেখে । ততন হয়ত সর্ষে ফুলের জায়গায় তার প্রিয় মাছ ইলিশের নামটা ভুল করে বলে ফেলেছে ।
সেই সেলাইয়ের দাগও এখনও মুছেনি সাথে ঐখানে অনেকটা গর্ত হয়েছিল অনেকদিন । বয়স বাড়ার সাথে সাথে কিছুটা কমেছিল কিন্তু পুরোটা কোনদিনই কমেনি। এটা তার মায়ের মনে ছিল এবং বিয়ের পর তার বউ শুধু বিষয়টা জানতো।
তারা দুজনেই যখন নিশ্চিত হলো এটা ততনের লাশ না তখন আশপাশেই থাকা সবাইকে জানানো হল বিষয়টা। মৃত মানুষের লাশ দাফন বাদ দিয়ে সবাই ব্যস্ত হয়ে পরলো এর কারন জানতে ।
অফিসে ফোন দিয়ে জানানো হলো হাসপাতাল থেকে তাদের সাথে এরুপ অন্যায় কাজ করা হয়েছে। ততনের ভাই প্রেসিডেন্ট অফিসের উদ্দেশ্য রওনা হচ্ছে কেননা রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ একজন ব্যক্তির লাশ নিয়ে তাদের সাথে এই অন্যায় আচরণের জন্য বিচার দিতে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় তারা যে আসলে রষ্ট্রীয় প্রতারণার শিকার তা এতক্ষনে বুঝতে পারলো । বাড়ির বাইরে সরকারি লোকজন দাঁড়ানো আছে, তাদেরকে বাইরে যেতে নিষেধ করছে, সাংবাদিকদের ভেতরে ঢুকতে দিচ্ছেনা। পরিবারের একজনের কাছে এক সাংবাদিক ফোন করার পর বিষয়টা কিছুক্ষনের মাঝেই সারা আমেরিকা তথা সারা বিশ্ব জেনে গেল যে বিজ্ঞানী ততন মারা গেছে কি বেঁচে আছে তা নিয়ে সংশয় আছে।
আমেরিকার সরকার ততনের পরিবারের কাছে তার লাশ হস্তান্তর করেনি। এমনকি সারা এলাকা কিছুক্ষনের মাঝে সিল করে দেওয়া হল। সমস্ত লোকজনকে ঘর থেকে বের হতে নিষেধ করা হল বলা যায় কারফিউ।
এর দুইদিন পর ঐ এলাকায় সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে গেল কিন্তু ততনের পরিবারকে আর সেখানে খুজে পাওয়া গেলনা। তাদের কোন হদিসই কেউ জানাতে পারলনা।
এলাকাবাসিকে জিজ্ঞেস করলেই বলছে তারা কিছু জানেনা, তারা কিছু দেখেনাই। হয়তো তারা আগ্রাসী আমেরিকার কু-পরিকল্পনার শিকার। হয়তো তারা বেঁচে আছে, হয়তো তারা কোন এক আবিস্কারের জন্য বলি হয়েছে। বিজ্ঞান তার ক্ষেত্রে এগিয়েছে বহুদূর কিন্তু ঈশ্বরের উপাসনার মত তথা ঈশ্বরের খুশির জন্য বলি দেওয়ার মতই বিজ্ঞানের প্রতিটি আবিস্কারের জন্যই ততন এবং তার পরিবার বলি হয়েছে।
NASA’র অফিসের কেউ কিছু জানেনা তাদের বস কোথায়।
এ নিয়ে কেউ উচ্চবাচ্য করলে চাকরিতো যাবে সাথে জীবনও যেতে পারে এই হুমকি দিয়ে দেয়া হয়েছে।
(আজ এই পর্যন্তই লিখে ঘুমুতে গেলাম............চলবে) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।