নীল পাগলের দেশ থেকে
এবার বন্যার উপকারিতা বর্ণনা করলেন প্রধানমন্ত্রী ।
ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি বন্যার উপকারী একটি দিকও যে রয়েছে, জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তা তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মাটির পানি ধারণ এবং উর্বরতা শক্তি বাড়াতে বন্যার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরার পাশাপাশি ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সরকার যে সচেতন রয়েছে, তাও জানিয়েছেন তিনি।
বর্ষার মৌসুমের শুরুতে অতিবর্ষণে উত্তরাঞ্চল ও সিলেট বিভাগের কয়েকটি জেলার নিচু এলাকা প্লাবিত হওয়ার মধ্যে শনিবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মৎস্য পক্ষের অনুষ্ঠানে বন্যা নিয়ে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “আমি মনে করি, বন্যার প্রয়োজন রয়েছে।
বন্যা এখনো ভয়াবহ রূপ নেয়নি। যারা লেখালেখি করেন, তাদের বলব, দয়া করে ভীতির সৃষ্টি করবেন না।
“আমাদের মাটির নিচে পানির পরিমাণ ঠিক মতো রাখতে হবে। বন্যা হলে তা রিচার্জ হয়। ফসল উৎপাদনে মাটির উর্বরতা কমে যায়।
বন্যা হলে মাটিতে পলি পড়ে। মাটি রিচার্জ হতে বন্যার প্রয়োজন। তাই সীমিত বন্যার প্রয়োজন রয়েছে। ”
পাশাপাশি বন্যার ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সরকারের নজর রয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের খেয়াল রাখতে হবে, বন্যা যেন ক্ষতিকর না হয়। ”
অনুষ্ঠানে সফলভাবে মৎস্যচাষ করে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখায় পাঁচ জনের হাতে স্বর্ণপদক এবং ১৫ জনের হাতে রৌপ্যপদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।
‘রূপালি মৎস্য দিচ্ছে ডাক, দরিদ্রতা ঘুচে যাক’- এই প্রতিপাদ্য নিয়ে দেশব্যাপী মৎস্য সপ্তাহ পালিত হচ্ছে। সারাদেশে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সপ্তাহ শুরুর কর্মসূচি পালিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী বক্তব্যের শুরুতেই মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিতে বঙ্গবন্ধুর সামাজিক আন্দোলনের ডাক দেওয়ার কথা মনে করিয়ে বলেন, “আমরা মাছে-ভাতে বাঙালি। মাছ ছাড়া আমাদের চলে না। ”
১৯৭৩ সালে দেশে প্রথম মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন শেষে বঙ্গবন্ধু গণভবনের লেকে মাছের পোনা অবমুক্ত করেছিলেন।
শেখ হাসিনাও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রতি বছর মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে গণভবন লেকে মাছের পোনা ছাড়েন।
তথ্যসুত্র : বিডিনিউজ২৪
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।