ভালো কে ভালো বলি, খারাপ কে ঘৃণা করি! মধ্যপ্রাচ্যে বিয়ের আগে কোন নারী যদি কুমারিত্ব হারান তাহলে তার শাস্তি হতে পারে মৃত্যুদণ্ড।
বিয়ের আগে বা পরে তাদের প্রমাণ দিতে হচ্ছে তারা বিয়ের আগে কোন শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেননি।
আদালতের আদেশে ইরাকের অনেক নারীকে এই কুমারিত্ব পরীক্ষা দিতে হচ্ছে।
এক্ষেত্রে লাজলজ্জা ফেলে যুবতীদের বিয়ের আগে বিভিন্ন ক্লিনিকে ডাক্তারদের সামনে হাজির হতে হচ্ছে।
সেখানে জানালাবিহীন একটি রুমে এ পরীক্ষা করা হয়।
এ রুমটি নীল রঙের টাইলস দিয়ে সজ্জিত। মাঝখানে রাখা একটি কালো টেবিল। তার এক প্রান্তে উজ্জ্বল আলোর ব্যবস্থা।
সেখানেই এ পরীক্ষা করেন ডা. মুনজিদ আল রেজালি সহ আরও দুই সহযোগী, যেখানে একজন মাত্র মহিলা ডাক্তার থাকে। তিনি বলেছেন, এখানে আমরা কোন এক যুবতীর বিয়ের প্রথম দিনেই পরীক্ষাগুলোর অর্ডার পাই।
কারণ, নববিবাহিতার স্বামী তার স্ত্রীর কুমারিত্ব নিয়ে সন্দেহ করেন। এর পরেই পরিবারের সদস্যরা তাকে নিয়ে যায় পরীক্ষা করাতে। পরীক্ষার মধ্যে রয়েছে নারীর সতীচ্ছেদ পরীক্ষা করা।
কুমারিত্ব পরীক্ষা করাতে ১৫ থেকে ৩০ মিনিট সময় লাগে।
যদি পরীক্ষায় দেখা যায়, কোন নববিবাহিতা কুমারি নন, তাহলেই ধরে নেয়া হয় সে বিয়ের আগে যৌন মিলন করেছেন এবং
বিয়ের আগে এ সত্য গোপন করেছেন তাহলে তাকে রক্ষা করার কোন আইন নেই।
তবে এর পরেও যদি বর ওই কনেকে নিয়ে সংসার করতে চায় তখন বরপক্ষকে নানা উপহার, অর্থ ও অন্যান্য খরচ দিয়ে থাকে।
তবে কোনও পুরুষ কে কখনো এই রকম পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়না।
এ ব্যাপারে মানবাধিকারবিষয়ক গ্রুপ অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সিনিয়র পলিসি উপদেষ্টা মারিয়ানি মোলমান কুমারিত্ব পরীক্ষাকে অন্যায় ও অকার্যকর একটি পদক্ষেপ এবং এটা ইরাকিদের অজ্ঞতা বলেছেন।
সুত্রঃ
গ্লোবাল পোস্ট
tribune.com
theblaze.com
alarabiya.net
straitstimes.com
gulfnews.com
মানব জমিন
বার্তা সংস্থা এ এফ পি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।