ছন্দু মিয়ার নাম আপনি শুনেছেন?
শোনার কোন কারণ নেই, কেননা এই লোক ঢাকায় থাকেনা, থাকে কুমিল্লা। কুমিল্লার কোন বন্ধুকে জিজ্ঞেস করুন শুনেছে কিনা, অধিকাংশ বন্ধুই না চেনার সম্ভাবনা। এবার, বাংলাদেশে ট্রাক চালায় এমন একজন ট্রাক চালক বা হেল্পারকে ছন্দু মিয়ার কথা জিজ্ঞেস করুন। আশা করি এমন একজন লোকও আপনি পাবেননা যে কুমিল্লার ছন্দু মিয়াকে চেনেনা। তবে ব্যক্তি ছন্দু মিয়া নয়, ছন্দু মিয়ার হোটেলকে এরা এক নামে চেনে।
কুমিল্লা পদুয়ায়ার বাজার বিশ্বরোড থেকে ঢাকার রাস্তায় কিছুদূর এগোলেই একটি রেলগেট আছে। রেলগেটের একটু আগে যেখানে দেখবেন ট্রাকের সারি এক যায়গায় জটলা করে রাখা, সেখানেই পাবেন 'ছন্দু হোটেল'। সারা দিনের এমন একটা সময় নেই যখন এর কর্মব্যস্ততা কম থাকে। সাধারণ হোটেলের প্রচলিত সব আইটেম যেমন পরোটা, সবজি, গরু, বিভিন্ন মাছ ইত্যাদি সবই আপনি এখানে পাবেন, তবে যে কারণে ছন্দু হোটেল আজ বিখ্যাত হয়েছে সেই গরুর মাংস আর আলু ভর্তার অর্ডার দিন।
গরু আসার আগেই প্রথমে আলু ভর্তা আর কাঁচা মরিচ দিয়ে ভাত আপনার সামনে সাজিয়ে দিয়ে যাবে।
আহ, আলু ভর্তার সে কি ঘ্রাণ, আর সাথে কাঁচা মরিচ একটু কামড় দিতে পারলে এ যেন ডায়মন্ডে সোহাগা। এর মধ্যে চলে এলো গরুর মাংশ। একটু তাকিয়ে দেখুন, দেখাটার মধ্যেও একটু শান্তি আছে। অল্প অল্প করে ঝোল দিয়ে মাখিয়ে মুখে দিতে থাকুন। এবার বুঝে নিন এই গরুর মাংশের জন্য ছাপড়া দোকান থেকে কেন ছন্দু মিয়ার আজ বিরাট হোটেল।
পরবর্তিতে কুমিল্লা বিশ্বরোডের ওই যায়গাটা পার হবার সময় নিশ্চয়ই বুঝতে পারবেন যে, ওটা কোন ট্রাক স্ট্যান্ড নয়, ছন্দু মিয়ার হোটেলে খেতে ভীড় করা ট্রাকের সারি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।