নিক ওয়ালেন্ডা নায়াগ্রা ফলসের ঝুলন্ত সেঁতু পার হয়ে প্রথম ইতিহাস গড়লেন! গত ১৫ জুন স্থানীয় সময় রাত ১০.২০ টায় আমেরিকার বাফেলো থেকে যাত্রা করে শ্বাসরুদ্ধকর ২৫ মিনিট সময় নিয়ে ১০.৪৫ টায় ‘পুল সেরাত’ পাড় হয়ে কানাডায় এসে পৌঁছান। পৌঁছানোর সাথে সাথেই ইমিগ্রেশন থেকে তাঁর পাসপোর্ট চাওয়া হয়। যা পর্যটকদের আনন্দের নতুনমাত্রা দেয়।
আমেরিকার এবিসির সৌজন্যে ১.৩ মিলিয়ন ডলার খরচের এই অবিশ্বাস্য সেঁতুর পারের দৃশ্য উপভোগ করে ইউরোপ-আমেরিকা-কানাডার হাজার হাজার অগণিত দর্শক। নিক ১৮০০ ফুট উঁচুতে ২ ইঞ্চি পুরো ঝুলন্ত সেঁতু পাড়ি দেয়ার জন্য ৪০ পাউন্ডের ব্যালেঞ্চ পল ব্যবহার করেন।
এ ভয়ংকর সেঁতু পাড়ি দেয়ার সময় তিনি খুব স্বাভাবিক ছিলেন এবং স্বতস্ফুর্ত ভাবে কখনো হাত নাড়িয়ে, কখনো শারীরিক কসরত দেখিয়ে দর্শকদেরকে অভিভূত করেন। সেঁতু পাড়ি দেয়ার পর নিক তাঁর প্রতিক্রিয়ায় জানান, এ এক ভয়ংকর সৌন্দর্র আর অর্জিত অভিজ্ঞতা, যা বিশ্ববাসীর জন্য অনুপ্রেরণার।
উল্লেখ্য, সাত প্রজন্ম ধরে নিকেরা পারিবারিক ভাবে সার্কাসশিল্পের সাথে জড়িত। তাঁর পিতামহ কারল ওয়ালেন্ডা দু’ই বিল্ডিংযের ঝুলন্ত সেঁতু থেকে পড়ে ১৯৭৮ সালে মৃত্যুবরণ করেন। এই নায়াগ্রা ফলসের উপর ঝুলন্ত সেঁতু পাড়ি দিতে গিয়ে অনেকেই জীবন দিয়েছেন।
সেজন্য ১৮৯৬ সালের পর নিকই নায়াগ্রা ফলস পাড়ি দেয়ার অনুমতি পান এবং কুড়ি বছরের প্রশিক্ষণ ও প্রচেষ্টায় প্রথমবারের মতো সাফল্য অর্জন করলেন।
ক্লিক করুন
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।