জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প প্রতি বছর বিশ্বে মোট উৎপাদিত খাদ্যের এক তৃতীয়াংশই খামার থেকে খাবার টেবিল পর্যন্ত পৌঁছাতে পৌঁছাতে অপচয় হয়। সম্প্রতি জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচির (ইউনেপ) এক প্রতিবেদনে এ ত্য তুলে ধরা হয়েছে।
ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে সদ্য শেষ হওয়া ইউনেপ’র টেকসই উন্নয়ন সম্মেলনে ‘ভবিষ্যত দুর্ভিক্ষ এড়ানো’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয় বলে মঙ্গলবার দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়।
খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এবং সুইডিশ ইন্সটিটিউট অব ফুড এন্ড বায়োটেকনোলজি (এসআইকে) যৌথভাবে গত বছর জরিপ কাজটি সম্পন্ন করে।
পরিবহন ব্যবস্থা ও ভোক্তা পর্যায়ে খাদ্য দ্রব্যের এ ধরনের অপচয় ঘটে বলে এতে উল্লেখ করা হয়।
প্রতি বছর খাদ্য অপচয়ের এ পরিমাণ ১৩০ কোটি টন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার মধ্যম এবং উচ্চ আয়ের দেশগুলোতে প্রতি বছর খাবার যোগ্য ২২ কোটি ২০ লাখ টন খাদ্যদ্রব্য ফেলে দেওয়া হয়। অথচ আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলে মোট উতপাদিত খাদ্য দ্রব্যের পরিমাণ ২৩ কোটি টন।
নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে খামার থেকে বিপননের সময় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে খাদ্য দ্রব্যের অপচয় ঘটে।
ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার প্রতিটি নাগরিক প্রতি বছর ২৮০ থেকে ৩০০ কিলোগ্রাম পর্যন্ত খাবার অপচয় করে অথচ আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চল ও দক্ষিণ এবং দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় জনপ্রতি এ অপচয়ের পরিমাণ ১২০ থেকে ১৭০ কিলোগ্রাম।
আর শুধুমাত্র আহারের সময় প্রতি আমেরিকান ও ইউরোপিয়ান ৯৫ থেকে ১১৫ কিলোগ্রাম খাবার নষ্ট করে যার পরিমাণ সাব-সাহারা ও দক্ষিণ এশীয়দের ক্ষেত্রে ৬ থেকে ১১ কিলোগ্রাম মাত্র।
বপন, ফসল উত্তোলন পরবর্তী ধাপ, প্রক্রিয়াজাতকরন, বিপনন এবং ভোগ পর্যায়ে খাদ্য দ্রব্যের অপচয় ঘটে। এর মধ্যে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ৪০ শতাংশ খাবার নষ্ট হয় ফসল উত্তোলন পরবর্তী ও প্রক্রিয়াজাতকরন পর্যায়ে। আর উন্নত দেশগুলোতে খুচরা ভোক্তা পর্যায়ে ৪০ শতাংশ খাবার অপচয় হয়।
এছাড়া আমেরিকানরা ২৫ শতাংশ খাবার নষ্ট করে আর মেয়াদোত্তীর্ণ লেবেল দেখে যুক্তরাজ্যের নাগরিকেরা এক-তৃতীয়াংশ খাবার ফেলে দেয়।
এ ধরনের খাবার বিপযের্য়ে ক উত্তরণের প হিসেবে ভারতের মতো উন্নয়নশীল অন্যান্য দেশগুলোকে কেন্দ্রীয় খাদ্য সংরক্ষণাগার, সমন্বিত পরিবহন ব্যবস্থা এবং বাজার সুবিধা গড়ে তোলার আহ্বান জানায় ইউনেপ। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।