আমি জাতির আধার রাতের আলো...
পাঠক! র্যাগিং জিনিসটা যে কি তা আমি আগে পত্রিকায় দেখলেও বুঝতাম না । অনেকদিন পরে আমার এক পরিচিত বন্দু সাভারের গণস্বাস্থ্য মেডিকেলে ভর্তি হলে বাস্তবে সে নিজেই র্যাগিং এর স্বীকার হয়ে আমাকে এর প্রতিকারের জন্য কিছু একটা করতে বলেছিলো। তখনই জানতে পারি র্যাগিং নামক জংলি বর্বর অসভ্যতার কথা। সুযোগ মত যেকোন মেয়ে-ছেলে উভয় শিক্ষার্থীর প্রতিই এটা করা হয়।
আমি আগের কাহিনী নাই বললাম।
অতি সম্প্রতি শাহজালাল বিশ্ব বিদ্যালয়ে কতিপয় সিনিয়র ছাত্র নামক অছাত্র নবাগত ভর্তিচ্ছুদের কয়েকজনকে আলাদাভাবে নির্জন রুমে নিয়ে আটক করে জোরপুর্বক বিবস্ত্র করে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে, কাউকে প্র¯্রাব কিভাবে করতে হয় তা দেখাতে বলে, কাউকে মাটিতে টেনে হিচড়াতে থাকে, কাউকে বিবস্ত্র অবস্থায় কানে ধরে উঠ-বস করাতে থাকে, কাউকে চুল কেটে ন্যাড়া বানাতে থাকে, এছাড়া অনেক কিছু লজ্জায় আক্রান্তরা বলতেও পারেনি। এগুলো নাকি র্যাগিং, আর এমন র্যাগিং বছরের পর বছর ধরে চলে আসছে আমাদের ভবিষ্যত সভ্যতার ধারক বাহক কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। কিন্তু এগুলো এখনও বিশেষভাবে খবর হচ্ছেনা কারন ইভটিজিং নামক নারী টিজিং এর মত দু-চারটা লাশ এক্ষেত্রে এখনও পড়ছেনা।
আচ্ছা পাঠক! দ্বীন ইসলামের কোন শ্ক্ষিা বা মাদ্রাসায় এমন র্যাগিং নামক জংলী অসভ্যতা বর্বরতা আছে কি? তাহলে মুসলমানদের এই বাংলাদেশে কে বা কারা এই বর্বরতা আমদানী করলো। কোন সভ্য মুসলমান, সভ্য নাগরিক, সভ্য জাতি কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমন বর্বরতা দেখতে চাযনা।
যে শিক্ষাব্যবস্থায় এটা থাকেই সে শিক্ষাব্যবস্থাও এদেশে দরকার নাই। ওই শিক্ষাব্যবস্থা দেশ-জাতিকে র্যাগিং আর ইভটিজিং এর যাতাঁকলে পিষ্ট করে একসময় শেষ করে দিবে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।