রাজধানীর ভাসানটেকের নেভি কলোনির ছাদ থেকে উদ্ধার করা অজ্ঞাত তরুণীর লাশের রহস্য উদ্ঘাটন করেছে। নির্যাতনের পর তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ভাসানটেক থানা পুলিশ মূল হোতো মো. ইমরান খান (২৭)কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে ভাসানটেক থানায় সাংবাদিকদের সামনে ইমরানকে হাজির করা হয়। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদে ইমরান চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি দিয়েছে।
পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) ইফতেখার হোসেন জানান, বাসা খালি পেয়ে ইমরান ঘটনার দিন রাতে তার বন্ধু ওবায়দুলকে নিয়ে মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্ব্বর থেকে এক তরুণীকে ফুসলিয়ে নিয়ে ওই ফ্ল্যাটে ওঠেন। বন্ধু ওবায়দুলের ওই তরুণীকে পছন্দ না হওয়ায় সে ওই স্থান থেকে চলে যায়। পরে বাসার ভেতরে ওই তরুণীর সঙ্গে ইমরান অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। এক পর্যায়ে তরুণী ইমরানের নিকট টাকা ও স্বর্ণ চায়। না দিলে সে চিৎকার করবে বলে ব্ল্যাক মেইল করার চেষ্টা করে।
এ কথায় ইমরান ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে তরুণীকে ধাক্কা দিলে দেয়ালে মাথা লেগে প্রচণ্ড আঘাত পায়। মাথায় আঘাতের ফলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে ওই তরুণীর লাশটি নিয়ে নেভি কলোনির ছাদের ওপর রেখে ইমরান ভোরে পালিয়ে যায়। এখনও ওই তরুণীর পরিচয় এখনও জানাতে পারেনি পুলিশ। উল্লেখ্য, গত ১৯শে মে ভাসানটেকের নেভি কলোনীর ১৩ নম্বর ভবনের ছাদ থেকে অজ্ঞাত এক মহিলার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
২৯শে জুন ইমরানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।