আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ডোলেন্সারের এমডিকে না পেয়ে শ্বশুরবাড়ি ঘেরাও

একটি অনিয়মিত লিটল ম্যাগাজিন গ্রাহকদের টাকা আত্মসাৎ করে প্রায় ছয় মাস পালিয়ে থাকা ইন্টারনেটভিত্তিক এমএলএম কম্পানি ডোল্যান্সারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রোকন ইউ আহমেদের বাড়ি ঘিরে রেখেছেন ওই প্রতিষ্ঠানের হাজারখানেক গ্রাহক। গত ২২ জুন সদস্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে যে এমডি তাঁর শ্বশুরবাড়ি ১৩২/২ দক্ষিণ পীরের বাগে অবস্থান করছেন। আগে এ বাড়িরই চতুর্থ তলায় তিনি সপরিবারে বসবাস করতেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর ওই দিন সন্ধ্যা থেকে কম্পানির কয়েক শ গ্রাহক বাড়িটির সামনে অবস্থান নেন। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গ্রাহকরা সেখানে অবস্থান করছিলেন।

তবে বাড়িটিতে রোকন ইউ আহমেদ নেই বলে নিশ্চিত হয়েছে ধানমণ্ডি থানার পুলিশ। সেখানে তাঁর শ্বশুর-শাশুড়ি অবস্থান করছেন। ইতিমধ্যে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ধানমণ্ডি থানায় দুটি মামলা থাকায় পুলিশও সেখানে গিয়ে খোঁজখবর নিয়েছে। ধানমণ্ডি থানার ওসি মনিরুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি জানার পর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সেখানে গিয়েছিলেন।

তবে বাদী ওই বাড়িতে না থাকায় সংশ্লিষ্ট থানা ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করে তিনি ফিরে এসেছেন। বাড়িটির সামনে উপস্থিত ডোল্যান্সের গ্রাহক নাজমুল ইসলাম বলেন, 'আমাদের ইনভেস্ট ও পেমেন্ট পাওয়ার আগ পর্যন্ত এ বাড়ি ছাড়ব না। এত দিন এমডি ও তাঁর পরিবারের কাউকেই আমরা খুঁজে পাইনি। এখন যেহেতু তাঁর শ্বশুর-শাশুড়িকে পাওয়া গেছে, তাহলে তিনিও আসবেন। আমরা কোনো ভাঙচুর করব না।

' অন্য গ্রাহক আবদুর রাজ্জাক মোড়ল বলেন, 'এমডি ও তাঁর স্ত্রী সিঙ্গাপুরে আছেন। আমরা বাড়ি ঘিরে রাখায় তিনি আমাদের টিম লিডারদের বিকেলে সিঙ্গাপুর থেকে ফোন দিয়েছিলেন। বলেছেন, আজ রাতে বা আগামীকাল সকাল ১১টার ভেতর আমি বাংলাদেশে পৌঁছাব। আপনারা আমার শ্বশুর-শাশুড়ির কোনো ক্ষতি করবেন না। ' সর্বশেষ পরিস্থিতির বিষয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত মিরপুর মডেল থানার এসআই মো. শাহজালাল আলম বলেন, 'সকাল থেকেই কিছু লোক বাড়িটির সামনে অবস্থান নিয়েছেন।

তাঁরা বলছেন, এমডি আগামীকাল সকাল ১১টায় আসবেন। এরপর সিদ্ধান্ত নেবেন তাঁরা কী করবেন। আমরা এ এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এখানে অবস্থান করছি। আগামীকাল আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। ' উল্লেখ্য, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কালের কণ্ঠে 'প্রতারণার ডিজিটাল ফাঁদ' শীর্ষক সংবাদটি প্রকাশিত হলে এ প্রতিষ্ঠানটির দুর্নীতির চিত্র জনসম্মুখে বেরিয়ে আসে।

জানা যায়, এ প্রতিষ্ঠানের প্রায় সাড়ে তিন লাখ সদস্য রয়েছেন। গ্রাহকরা জানান, সদস্য ফি, মাসিক পেমেন্ট ও লিজ ইনভেস্ট মিলিয়ে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন প্রতিষ্ঠানটির এমডি রোকন ইউ আহমেদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। মানবজমিন রিপোর্ট কালের কন্ঠ রিপোর্ট আপনিও খোলাবাজারে একদম ফ্রি বিজ্ঞাপন দিন ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.