সাম্প্রদায়িকরা... নো কমেন্ট প্লিজ.... সাইদ আরমান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
ছবিঃ রুবেল/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
ঢাকা: ডাচ-বাংলা ব্যাংকের (ডিবিবিএল) এটিএম বুথের বেশির ভাগই বিকল। এসব বুথ থেকে টাকা তুলতে গিয়ে ব্যাংকটির গ্রাহকরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ গ্রাহকদের সমস্যা সমাধানে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। তাই দিনকে দিন গ্রাহকদের ক্ষোভ বাড়ছে।
ডাচ-বাংলা ব্যাংকের অনিয়ম ও প্রতারণামূলক ব্যাংকিং নিয়ে অনলাইন নিউজপোর্টাল বাংলানিউজে প্রতিবেদন প্রকাশের পর অনেক গ্রাহক তাদের আর্থিক ক্ষতি, ভোগান্তি ও হয়রানির শিকার হওয়ার কথা লিখিতভাবে, ই-মেইলে এবং টেলিফোনে জানিয়েছেন বাংলানিউজকে।
তারা এব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
জানা গেছে, বর্তমানে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ব্যাংকের প্রায় ২৩ লাখ ৫০ হাজার গ্রাহক এবং এটিএম বুথের সংখ্যা দুই হাজার ৭৯টি। আর কোনো ব্যাংকের এতো বেশি সংখ্যক এটিএম বুথ নেই। কিন্তু এসব বুথ ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা নেই ব্যাংকটির। নেই প্রযুক্তিগত সামর্থ্যও।
ফলে প্রতি দুটি বুথের একটি বিকল থাকছে নানা কারণে। ফলে গ্রাহকদের এক বুথ থেকে অন্য বুথে দৌড়াতে হয়। শেষ পর্যন্ত টাকা উত্তোলন করা নিয়েও অনিশ্চয়তা থেকেই যায়। এমন তিক্ত অভিজ্ঞতা প্রায় সব গ্রাহকের।
গ্রাহকরা জানাচ্ছেন, টাক থাকে না, কখনো নেটওয়ার্ক থাকে না, মেশিন বিকল থাকে বা কার্ড রিড হয় না--এসব কারণে বেশির ভাগ বুথ থেকে তারা সেবা পাচ্ছেন না।
ফলে যে আশা নিয়ে তারা এই ব্যাংকে হিসাব খুলেছিলেন তার কোনো সুফল নেই।
ডাচ বাংলা ব্যাংকের হিসাবধারী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ শিক্ষার্থী মো. ফেরদৌস আলম। কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি বললেন, ``ভাই পরীক্ষার ফিসহ আনুষঙ্গিক ফি দিতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের। বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে বাংলাবাজারে ডাচ-বাংলার এটিএম বুথে গিয়ে দেখি বন্ধ।
তারপর গেলাম ভিক্টোরিয়া পার্কের কাছে। কর্তব্যরত দারোয়ান জানান, টাকা নেই। গেলাম আহসান মঞ্জিল সংলগ্ন একটি বুথে। দেখি বন্ধ। কিন্তু টাকা তো লাগবেই!``
তিনি জানান, ছাত্র-হিসাব থাকায় কোনো চেক বই নেই তার।
লেনদেন করতে হয় কার্ডের মাধ্যমে। তাই কোনো উপায় নেই। শেষ পর্যন্ত বাবুবাজারে ডাচ-বাংলার শাখায় প্রায় তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করে টাকা তোলেন ফেরদৌস। কিন্তু ততক্ষণে ফি জমা নেওয়ার সময় শেষ হয়ে গিয়েছিল। তার মতো অসংখ্য গ্রাহক প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছেন ডাচ-বাংলার এটিএম বুথে টাকা তুলতে গিয়ে।
ডিবিবিএল গ্রাহক আকাশ জানান, শুধু যে বুথ বিকল থাকে তা নয়, ছেঁড়া টাকা, জাল টাকা পর্যন্ত পাওয়া যায়। তিনি বলেন, ``আমি মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডের কাছে একটি বুথ থেকে নিয়মিত টাকা তুলি। কিন্তু সেখানে ছেঁড়া টাকা দেওয়া হয়। ফলে তা চালানো কষ্ট হয়। লোকজন নিতে চায় না।
মাঝখান থেকে আমাকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। জাল টাকাও পেয়েছি আমি। ``
সরেজমিনে একাধিক এটিএম বুথ ঘুরে বাংলানিউজ এর সত্যতা পেয়েছে। অনেক এটিএম বুথের প্রহরী বুথের কাছে যেতেই বলেন, ``স্যার টাকা নেই। `` আবার কেউ বলছেন, ``নেটওয়ার্ক নেই।
``
দায়িত্ব পালনরত একাধিক বুথের প্রহরী বাংলানিউজকে বলেন, ``বুথগুলো অনেক সময়ই ঠিক থাকে না। ফলে যারা টাকা তুলতে এসে ঘুরে যান তারা আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। গালিগালাজ করেন। কিন্তু আমাদের কিছু করার নেই। আমরা কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা বলেন, সমস্যা একটু আধটু থাকবেই।
``
এদিকে ফার্স্ট ট্র্যাকের বুথগুলো নিয়ে গ্রাহকদের রয়েছে আরও বাজে অভিজ্ঞতা। এসব বুথে একজন গ্রাহক টাকা জমা দিতে পারেন। সকালে টাকা জমা দিলে সেদিন বিকেলের মধ্য টাকা হিসাবে জমা হওয়ার কথা জানানো হয়। কিন্তু অনেক গ্রাহক জানাচ্ছেন, টাকা সময়মতো জমা হচ্ছে না। আবার সেখানে গিয়ে টাকা জমা নিশ্চিত করতে হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।