আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ডাচ-বাংলার অন্যায় ব্যাংকিং, অভিযোগ অব্যাহত

সাম্প্রদায়িকরা... নো কমেন্ট প্লিজ.... সাইদ আরমান, সিনিয়র ইকোনমিক করেসপন্ডেন্ট বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম ঢাকা: ডাচ-বাংলা ব্যাংকের (ডিবিবিএল) অন্যায্য ও অন্যায় ব্যাংকিংয়ের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের অভিযোগ অব্যাহত রয়েছে। বুধবারও গ্রাহকরা ই-মেইল ও ফোনে ব্যাংকটির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেছেন। গত কয়েকদিন ধরে ভুক্তভোগী গ্রাহকরা বাংলানিউজে ফোন করে স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন। গত ১৭ জুন বাংলানিউজে ‘গ্রাহকদের অতিরিক্ত ৫০০ কোটি টাকা নিচ্ছে ডাচ-বাংলা’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করার পর এ নিয়ে ব্যাংকপাড়া এবং এর গ্রাহকদের মধ্যে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়। এরপর গ্রাহকদের প্রতিক্রিয়াসহ আরও কয়েকটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় বাংলানিউজে।

আরও অভিযোগ তাজুল ফাত্তাহ নামের একজন পাঠক ডাচ-বাংলাকে ‘ডাকাত-বাংলা’ বলে ভর্ৎসনা করেছেন। ব্যাংকটির সমালোচনা করে তিনি প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য বাংলানিউজকে ধন্যবাদ জানান। তাজুল অভিযোগে করে বলেন, ‘ব্যাংকটি এটিএম বুথের চার্জ নেয় বেশি। অথচ প্রায় সব সময়ই বুথ নষ্ট থাকে। কিন্তু কে শুনে কার কথা, কে দেখে কার দুঃখ!’ বাংলানিউজ পাঠক চাকরিজীবী মোহাম্মদ বেলাল আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘অনুগ্রহ করে, সব কাস্টমারের পক্ষে আপনারা হাইকোর্টে রিট পিটিশন করুন।

’ রনজু মিয়া নামের আরেকজন বাংলানিউজের ডাচ-বাংলার বিরুদ্ধে সাহসী প্রতিবেদনের জন্য ধন্যবাদ জানান এবং এ ধরনের প্রতিবেদন অব্যাহত রাখার অনুরোধ করেন। লন্ডন থেকে বাংলানিউজের পাঠক সুমন আহমেদ জানান, তিনি তার মাকে লন্ডনে নেওয়ার সময় ডিবিবিএলের একটি কনফারমেশন লেটার আনতে যান। সেজন্য ব্যাংকটি তার কাছ থেকে ২০০ টাকা চার্জ নেয়। এছাড়া প্রতি মাসেই বিভিন্ন কারণে তারা চার্জ নেয়। এভাবে অন্যায় ব্যাংকিং করে তারা।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘ব্যাংকটি সাধারণ মানুষের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। ’ বাংলানিউজের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আশা করি, আপনারা বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ও অর্থমন্ত্রীর কাছে বিষয়টি তুলে ধরবেন। ’ ডাচ-বাংলা ব্যাংকের সঞ্চয়ী হিসাবধারী ওমর ফারুক বাংলানিউজে পাঠানো ইমেইল বার্তায় বলেন, ‘ডাচ-বাংলা ব্যাংকের গ্রাহক প্রতারণা নিয়ে রিপোর্টের জন্য আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ। দুইটি জায়গায় ডাচ বাংলা ব্যাংক গ্রাহকদের কাছ থেকে অযৌক্তিকভাবে টাকা কেটে নিচ্ছে। এই বিষয়ে আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

’ ওমর ফারুকের মতে দুটি অযৌক্তিক খাত: ১. ইন্টারনেট ব্যাংকিং বেশির ভাগ বেসরকারি ব্যাংক ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবা চালু করেছে। এ সেবার মাধ্যমে একজন গ্রাহক ঘরে বসেই লগ-ইন করে হিসাব বিবরণী দেখা, ফান্ড ট্রান্সফারসহ অনেক ধরনের ব্যাংকিং কাজ করতে পারেন। বাংলাদেশের প্রতিটি ব্যাংক এই সেবা দিচ্ছে বিনামূল্যে, শুধু ডাচ-বাংলা ব্যাংক ছাড়া। ডাচ-বাংলা ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের জন্য গ্রাহকদর কাছ থেকে বছরে ২৩০ টাকা কেটে নেয়, অন্য কোনো ব্যাংক এ জন্য কোনো টাকা নেয় না। ২. এটিএম মিনি স্টেটমেন্ট ফি এটিএম বুথ থেকে টাকা তুললে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর প্রতিটি ব্যাংক একটি মিনি স্টেটমেন্ট দেয়, যেখানে উত্তোলন করা টাকার পরিমাণ ও ব্যালেন্স উল্লেখ থাকে।

বাংলাদেশ ও পৃথিবীর অন্য কোনো ব্যাংক এজন্য টাকা টাকা কাটে না। কেবল ডাচ-বাংলা প্রতিবার তিন টাকা করে কেটে নেয়। তিনি ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের কালের কণ্ঠসহ অন্য পত্রিকাগুলোয় এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের অনুরোধ করেন। বি:দ্র: বিষয়গুলো সবার জানা দরকার.. তাই বাংলানিউজ২৪.কম থেকে সরাসরি কপি পেস্ট মেরেছি এর আগে। আবারও একটা রিপোর্ট পড়লাম।

তাই নির্ভয়ে আবারো কপি পেস্ট। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.