সুস্থবিজ্ঞানের চর্চা করতে চাই
প্রথম পর্ব
সর্বশেষে যে মুভিতে মঙ্গলকে নিয়ে তেনা পেচানো হয় তার নাম জন কার্টার । এই মুভিতে মঙ্গলকে এমন ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে যে মনে হল মঙ্গল গ্রহ মানুষ বান্দর আর অন্যান্যা পশু আইমিন এলিয়েন থাকার জন্য তৈরী হয়েছে। মঙ্গল যে কতটা আবেদনময়ী তা আপনি হাড়ে হাড়ে টের পাবেন এই সব গল্প উপন্যাস পড়ে। যদিও বিজ্ঞান কিন্তু মঙ্গলের জটিল সব চিএ একেঁছে।
যাই হোক যেখানে আমরা ছিলাম:
“২০০১ মার্স ওডিসি” এই সফল প্রজেক্টটির নামটি দেওয়া হয় স্যার আর্থার সী ক্লাকের ২০০১ স্পেস ওডিসি বইটি নাম থেকে।
আমরা সকলেই জানি এটি একটি কিংবদন্তি বই এবং মুভি। এই প্রজেক্টটি এখন চলমান। এর বর্ধিত মিশন হচ্ছে মঙ্গলে কোন প্রাণী আছে কিনা তা খুজে বের করা। $২৯৭ মিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়েছে প্রজেক্টের জন্য।
২০০৩ সালে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি তাদের প্রথম মঙ্গল যাত্রা শুরু করে।
শুরুতেই তাদের তৈরী মার্স এক্সপ্রেস অরবিটার আর ব্রিটিশ সরকারের বিগল-২ নামের ল্যান্ডার দিয়ে যাত্রা শুরু করে ২ জুন ২০০৩। অরবিটার টি সফল ভাবে স্থাপিত হলেও ল্যান্ডরটি ল্যান্ড করতে পারেনি। তবে সে ঠিক কি করে আছে তা এখন যানা যায়নি। অরবিটার এখনও ছবি তুলে পাঠাচ্ছে মঙ্গলের পৃষ্টদেশের।
সেই ২০০৩ সালে আবার একটি বড় প্রজেক্ট হাতে নেয় নাসা।
মার-এ স্পিরিট আর মার-বি অপরটুনিটি নামে দুইটি রোবার পাঠানো হয় ২০০৩ সালে একমাসের ব্যবধানে। দুটি রোবারই সাফল্য পায়, অপরচুনিটি এখন কাজ করে যাচ্ছে। স্পিরিট ২০১০ সালে বন্ধ ঘোষনা করা হলেও অপরচুনিটি তার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। মঙ্গল গ্রহ বাসযোগ্য করা যাবে কিনা এটিই তাদের মূল গবেষণার বিষয়। বিষয়টা যতটা সহজ মনে হচ্ছে ততটা কিন্তু সহজ না।
এখানে অনেকগুলো বিষয় জড়িত আছে। যেমন পানি খুজতে হবে, কার্বনের রুপ দেখতে হবে। এককথায় অনেক কাজ এখনও তাকে করতে হবে।
ইএস এ আরেকটি মহাকাশ নিয়ে আসে ২০০৪ সালে। রোসেটা নামের এই অরবিটার রোবটিক মহাকাশ যানটি এখনও তার প্রজেক্ট চালিয়ে যাচ্ছে।
মার্স রিকনসিএন্স অরবিটার(Mars Reconnaissance Orbiter) নাসার ২০০৫ সালে উৎক্ষেপন করে। এটি একটি অরবিটার। এর কাজ হচ্ছে মঙ্গল পৃষ্টের আবহাওয়া বিশ্লেষন করা এবং তা আমাদের পাঠানো। এই প্রজেক্টটি অন্যতম ব্যায়বহুল প্রজেক্ট। প্রায় ৭২০ মিলিয়ন ডলার দিয়ে তৈরী এই মহাকাশ যানটি।
এরপর নাসা পাঠায় তার বিখ্যাত মহাকাশ যান ফিনিক্স । এই রোবার টি ক্ষুদতম প্রানের সন্ধানে বের হয়েছে। সাথে সাথে পানির ইতিহাস ও সে দেখবে। অনেক অত্যাধুনিক যন্ত্রের সমাহার এই রোবারটির। ১০ নভেম্বর ২০০৮ সালে এই প্রজেক্টির ইতি টানে নাসা।
এরপর নাসা উক্ষেপন করে Dawn নামের রোবটিক স্পেসক্রাফটি। এই মিশনে জার্মানি ইতালি আর নেদারল্যান্ড বিভিন্ন ভাবে সহায়তা করেছে। এই মিশনটি উদ্দেশ্য হল সোলার সিস্টেমের পরিবর্তনকে ধরা এবং এর উপর মঙ্গলের প্রভাব নিয়ে গবেষণা করা। এখনও তার গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে।
২০১১ সালে ইইউ আর চায়না মিলে একসাথে দুটি যান উ্ৎক্ষেপন করায়।
এবার মঙ্গল নয় বরং মঙ্গলে উপগ্রহ ফোবসে অভিযান। Yinghuo-1 নামের প্রথম চাইনিজ যানটি একটি অরবিটার যা মঙ্গলের উপগ্রহ ফোবসে যাবে। আর Fobos-Grunt নামের ল্যান্ডার ফোবস থেকে কিছু স্যাম্পল নিয়ে আনার জন্য পাঠানো হয়। কোনটিই এই পৃথিবীর থেকে উপরে উঠতে পারেনি।
সর্বশেষ নাসা ২০১১ সালে নভেম্বরে পাঠায় MSL Curiosity. এই রোবারটি ৫ অগাস্ট ২০১২ সালে মঙ্গলে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
আমাদের এই মঙ্গল অভিযান কিন্তু থেমে নেই সে চলছে যতই বাধা আসুক না কেন। কোন একদিন আমাদের স্বর্প্ন হয়ত সত্যি হবেই। মঙ্গল হয়ত আমাদের মঙ্গল বয়ে আনবে একদিন। (সমাপ্ত)
সূএ: উইকিপিডিয়া .ওআর জি
ছবি: উইকিপিডিয়.ওআরজি ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।