আমরা শুধু আপন মানুষ খুঁজি, আপন মানুষদের খুঁজতে হয় না, তারা পাশেই থাকে !!
২০০৬সালের ২রা নভেম্বর প্রতিষ্ঠিত হওয়া সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় দিন দিন পূর্নাঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে সামনে এগুচ্ছে। সাফল্যের ধারাবাহিকতায় এবার যোগ হলো নতুন একটি অনুষদ-কৃষি প্রকৌশলী ও কারিগরী অনুষদ। মোট ৫০জন ছাত্র আর ১৩জন ছাত্রী নিয়ে গত ১৯শে এপ্রিল যাত্রা শুরু করেছে অনুষদটি।
সিকৃবি ক্যাম্পাস নিয়ে দারুন উচ্ছসিত জাহিদুল ইসলাম মিঠুন। তার কথায়-"সবচয়ে ভাল লেগেছে ক্যাম্পাসটি।
ছোট্ট, কিন্তু ছিমছাম। আশপাশের টিলা ও পাহার গুলো দিয়েছে নতুন মাত্রা। আশা করি ভালভাবেই যাবে ক্যাম্পাস লাইফটা। "
অনুষদ নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখে এ অনুষদের শিক্ষার্থীরা। তাসরিন জাহান মিতু বলেন- "ছোট শিশুকে যেমন মনের মতো করে গড়ে তোলা হয়, আমরা আমাদের অনুষদটিকে ঠিক আমাদের মনের মতো করে গড়ে তুলবো।
নতুন বন্ধুদের পেয়ে মনে হল একটা পরিবার পেলাম। "
সম্ভাবনার কথা উঠতেই এই ব্যাচের মো: মঈনুল ইসলাম বলেন-"একটি অনুষদের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী হওয়া সৌভাগ্যের ব্যাপার। কষ্টের ব্যাপার হচ্ছে-অত্যন্ত সম্ভাবনাময় এ সাবজেক্টটি বাংলাদেশ সরকার একটু উদাসীন। আমাদের বিসিএস এ কোন কৌটা নেই। এটা হলে আমাদের মেধাগুলো বাংলাদেশের উন্নয়নে আরও কাজে লাগতে পারতো।
" তার কথা টেনে নিয়ে মো: এনামূল হক মিঠু বলেন- "কৃষি গবেষনা ও অগ্রযাত্রায় অনন্য ভূমিকা পালন করছে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। এই অগ্রযাত্রায় নতুন পথিক হলাম আমরা-কৃষি অনুষদ ও কারিগরী অনুষদের শিক্ষার্থীরা। নিজেকে খুব সৌবাগ্যবান মনে হচ্ছে। " মিনহাজ রহমান মামুনের ভিন্ন সুর। তিনি বলেন- "কৃষি প্রকৌশলে উচ্চ শিক্ষা নিয়ে দরিদ্র কৃষকদের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করব।
" প্রকৌশলী হওয়ার স্বপ্ন যাদের মধ্যে ছিল তাদের মধ্যে মিথুন দাশ অন্যতম। তার মতে-"ভবিষ্যতে কৃষকদের সুবিধার্তে কাজ করতে পারব। সেটাইবা কয়জন পারে ?" পড়াশুনার পাশাপাশি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কাজে অংশ নিতে চান এ অনুষদের শিক্ষার্থীরা। গান, নাচ, আবৃত্তিতে পারদর্শী অনেকেই। শিব্বির আহমেদ ফাহিম কার্টুন আঁকেন, বাঁধন তালুকদার বাপ্পী যোগ দিয়েছেন ক্যাম্পাসের সাংবাদিক সমিতিতে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি জানতে চাইলে ফায়েজুর রহমান সৈকত বলেন-"সবার আগে ভাল একটা রেজাল্ট করার চেষ্টা করবো। তারপর আমার সর্বোচ্চ মেধা দিয়ে দেশ ও দশের উন্নয়নে কাজ করে যাব" তবে শিক্ষকদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ আহমদ আল মিনহাজ: "শিক্ষকদের এরকম আন্তরিকতা কখনো দেখিনি। "
অনুষদটির সবচেয়ে সিনিয়র শিক্ষক মুহাম্মদ রাশেদ আল মামুন শোনালেন আশার বানী-"একদম নতুন একটা এক্সক্লুসিভ ব্যাচ পেয়েছি। প্রতিভাগুলো সাথে নিয়ে আমরা পুরো বাংলাদেশে নতুন ইতিহাস গড়বো। "
কৃষি প্রকৌশলী ও করিগরী অনুষদের ডিন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বয়ং ভাইস চ্যান্সেলর এবং উপমহাদেশের বিখ্যাত সেচ বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. মো: শহীদ উল্লাহ তালুকদার।
তার মতে-বর্তমান বাংলাদেশে কৃষি উন্ণয়নে, কৃষি যান্ত্রিকীকরণের কোন বিকল্প নেই। সিলেট একটি বিশেষ কৃষি অঞ্চল। এ অঞ্চলের ভূ-গর্ভস্থ পানি ব্যবস্থাপনা, কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহার করে কৃষিতে বিপ্লব ঘটানো সম্ভব। " সিকৃবির কৃষি প্রকৌশলী ও করিগরী অনুষদের শিক্ষার্থীরা এ ক্ষেত্রে অগ্রনী ভুমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করেন। সম্ভাবনাময় এ ব্যাচটিকে নিয়ে তাই নজরুলের "ঐ নতুনের কেতন উড়ে " উপমাটি সবচেয়ে সুন্দর।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।