আমরা হেরে যাইনি। এশিয়া কাপ না জিতলেও তোমরা আমাদের হৃদয় জয় করেছ। আমরা গর্বিত মিয়ানমারের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রাখাইন রাজ্যের রাজধানী শিতউই। জাতিগত সহিংসতায় শহরটির অবস্থা এখন নাজুক। সহিংসতায় সেখানকার প্রায় ৩০ হাজার লোক এখন গৃহহারা।
তাদের মধ্যে অনেকেই মারা গেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রাখাইন রাজ্যের রাজধানী শিতউইয়ের আবহাওয়া এখন চরম বৈরী। ভারী বৃষ্টির কারণে সেখানকার অনেক অধিবাসীই হয়ে পড়েছে গৃহবন্দী। প্রতিদিন রাখাইনের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী ও মুসলিম রোহিঙ্গাদের মধ্যে চলছে দাঙ্গা ও অগ্নিসংযোগ। অনেক রোহিঙ্গা গৃহহারা হয়ে পড়েছে।
এই দাঙ্গা ও অস্থিরতার কারণে মিয়ানমারের সরকার পড়েছে কঠিন পরীক্ষার মুখে। শিতউই শহরের বাইরে থায়ে চুয়াং গ্রামের শতাধিক মুসলিম রোহিঙ্গাদের এখন কোনো ঘর নেই। তারা এখন খোলা তাঁবুতে বসবাস করছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে শিতউই শহরের নিকটবর্তী গ্রামের বাসিন্দারা জানায়, তাদের ২০টিরও বেশি ঘর পোড়ানো হয়েছে। ওই গ্রামের বাসিন্দারা আরও জানায়, গত সপ্তাহে দুই হাজার ৫০০-রও বেশি ঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।
তবে নিহতের নতুন কোনো সংখ্যা জানা যায়নি। শিতউই শহরে কারফিউ জারি করা হয়েছে। নিরাপত্তাকর্মীরা অনেক রোহিঙ্গাদের শিতউই শহর থেকে বের করে দিয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত শিতউই শহরে চলা সহিংসতায় ২৯ জন নিহত ও ৩০ হাজার গৃহহারা হয়েছে। মিয়ানমারের এ জাতিগত সহিংসতা দেশটির সংস্কার প্রক্রিয়ায় বড় ধরনের বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
৪৯ বছর ধরে সামরিক শাসন চলার পরে মিয়ানমারের রাজনীতিতে ঘটেছে নাটকীয় পরিবর্তন। কিন্তু এ পরিবর্তনকে ঘিরে যে প্রত্যাশা তৈরি হয়েছিল, তার অনেকটাই হয়ে দাঁড়িয়েছে হুমকির সম্মুখীন। মিয়ানমারের জাতিগত সহিংসতার কারণেই পরিস্থিতি হয়ে উঠেছে নাজুক। রয়টার্স। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।