আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আশুলিয়াকে উত্তপ্ত করার পিছনে কারা? প্রতিবেশীদের চক্ষুশুলে পরিনত হয়েছে বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প : আন্তর্জাতিক চক্রান্তের শিকার

শ্রমিকরা গত কয়েক বারের মত এবারও হামীম গ্রুপের পোশাক তৈরির কারখানায় আন্দোলনে লিপ্ত হয়েছে তাদের বেতন ভাতা বাড়ানোর দাবিতে কিন্তু এবার অবস্থা আরো করুন সেখানে কেননা এই দাবিতে আরো যোগ দিয়েছে প্রায় ৩৫০ টি গার্মেন্টস এর শ্রমিকরা . তাতে করে আশুলিয়া পরিনত হয়েছে রণ ক্ষেত্রে । শ্রমিকদের দাবি ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা করে তাদের বেতন বাড়াতে হবে , বর্তমানে তারা শ্রেণীভেদে ৩০০০ থেকে ৫০০০ টাকা পেয়ে থাকেন । তবে মালিক পক্ষ , সরকার এবং শ্রমিকদের নেতাদের বোঝাপড়ায় অবস্থা কিছুটা শান্ত হয়েছে বিকেলের দিকে । বেতন বাড়ানোর দাবিতে আজ চতুর্থ দিনের মতো আশুলিয়ায় শ্রমিকদের বিক্ষোভ হয়। একটু খেয়াল করলেই দেখবেন এই কারখানাতেই কয়েকবারের মতন এই সব সমস্যা হচ্ছে ।

সাথে যারা খবর রাখেন তারা হয়ত জানবেন কিছু দিন পূর্বেই ৬ পাকিস্থানি লোক গ্রেফতার হয় এখান থেকেই যারা শ্রমিকদের কে অস্থির করে তুলতে চেয়েছিল। বলতেই হয় আমাদের দেশের শ্রমনীতি দুর্বল এবং শ্রমিকরা কম মজুরি পায় কিন্তু তাই বলে হটাত করে কিন্তু এরকম ভাবে একটা যুদ্ধ ক্ষেত্র সৃষ্টি হয় না । প্রাক্তন এফ বি সি সি আই এর প্রায় সব প্রেসিডেন্ট ই এই ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন এবং এটিকে একটি বৃহত সরযন্ত্রের একটি অংশ হিসেবে দেখছেন । বাংলাদেশ এখন গার্মেন্টস সেক্টরে এই অঞ্চলের অভিবাবক হয়ে উছেছে কেননা বিশ্বের প্রায় ২০ সতাংশ পোশাক গার্মেন্টস এখন আমাদের দেশ থেকে রপ্তানি হয় এমনকি চীনের মার্কেটও আমাদের দখলে চলে আসছে কেননা আমাদের পণ্যের মান এবং সল্প মুল্য । আমাদের দেশের উত্পাদন মুল্য অনেক কম পরে কম শ্রমমূল্যের কারণে ।

যাই হোক এই সব কারণে আমরা কিছুটা চক্ষশুলে পরিনতো হয়েছি এই অঞ্চলের অন্য দেশ গুলুর কাছে । ভারত,পাকিস্থান, শ্রীলংকা এবং মায়ানমার এখন আমাদের চেয়ে অনেক পিছিয়ে । তাই ভিতরে ভিতরে চলছে গভীর সরযন্ত্র আমাদের এই শিল্পকে ধংস করার লক্ষে । তারই ধারাবাহিকতায় বার বার কোনো এক অজানা চক্র শ্রমিকদের করে দিচ্ছে অস্থির বেতন ভাতা বাড়ানোর জন্য । এই চক্রটি কোনো একটি দেশ নয় বরং কাজ করছে একসাথে সক্রিয় ভাবে।

এরা জানে যে যদি বেতন এবং ভাতা বাড়ানোর জন্য এদেরকে উসকানো যায় তাহলে দুইটি জিনিস হবে এক আন্তর্জাতিক বাজারে এর একটি বিরূপ প্রতিক্রিয়া পরবে যে এখানকার শ্রমিকরা কষ্ঠে আছে এবং তারা তাদের মুল্য পাচ্ছে না, পাশাপাশি বেতন ভাতা বাড়লে সাভাবিক ভাবেই পন্যের উত্পাদন খরচ বাড়বে এবং তখন বাংলাদেশ এই দামে পণ্য বিক্রয় করতে পারবে না ফলে হারা অনেক ক্রেতা । আমদের সরকারের উচিত এই চক্রটি সম্পর্কে এখনি উদ্যোগ নেয়া এবং এটিকে একেবারে গড়া থেকে উপরে ফেলা , মালিক পক্ষের উচিত শ্রমিকদের নানা সুভিধার কথা মাথায় রেকেহে বেতন এবং ভাতার বৃদ্ধির দিকে নজোর দেয়া আর শ্রমিক ভাইদের উচিত হবে বেশি লোভে মানুষের কথা কান না দেয়া কেননা গার্মেন্ট বন্ধ হয়ে গেলেও মালিকরা আগামী দুই প্রজন্ম খেয়ে ফুর্তিতে বাচবে কিন্তু ভাই আপনারা কালকে কি খাবেন বলেন ? ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।