আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এই কি সর্বচ্চ বিদ্যাপীঠ !!!!!!!!!!!বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে তিনজন আহত

গঞ্জিকা সেবনে বড়ই ব্যস্ত.... পরে আসুন ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম বলেছেন, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এর আগেও অনেকবার মারামারির ঘটনা ঘটিয়েছে। তাদের অনেকবার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাদের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে রুম দখলকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে তিনজন আহত হয়েছেন। আর এ ঘটনার প্রেক্ষিতে আজ বুধবার ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি বুয়েট শাখা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে। গত মঙ্গলবার মধ্য রাতে আহসানউল্লাহ হলের ৪৫১ নম্বর কক্ষ দখলকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ বুয়েট শাখার (বিলুপ্ত) সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।

এতে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ইমরান গুরুতর আহত হন। তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। তিনি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে চিকিত্সাধীন রয়েছেন। আহত অন্য দুজন হলেন বিলুপ্ত কমিটির সমাজ সেবা বিষয়ক সম্পাদক মামুন (৭ম ব্যাচ) ও স্কুল বিষয়ক সম্পাদক শোভন (৯ম ব্যাচ)। আহত তিনজনই ছাত্রলীগ বুয়েট শাখার সদ্য বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক তন্ময় আহমেদের অনুসারী।

আহসানউল্লাহ হলের ৪৫১ নম্বর রুমটি সিলগালা করে রেখেছিল হল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কিছুদিন আগে বুয়েটের সদ্য বিদায়ী সভাপতি মিশু বিশ্বাশ ও তার অনুসারী অনিক পাটোয়ারীর (মিশুর রুমমেট) মদদে রুমটি দখল করেন সুমিত। কিন্তু মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে তন্ময়ের অনুসারী দেবাশীষ রুমটি দখল করতে যান। দেবাশীষের সঙ্গে ছিল আহসানউল্লাহ হলের ইমরান (আহত), সোহরাওয়ার্দী হলের নাঈম ও তিতুমির হলের আরাফাত। এসময় দেবাশীষ ও সুমিতের মধ্যে তর্ক বিতর্ক হয়।

এক পর্যায়ে শেরে বাংলা হল থেকে মিশুর সমর্থক ওয়ালিদ, রশিদ হল থেকে শামীম ও মাসুম এবং আহসানউল্লাহ হলের মম চাইনিজ কুড়াল ও ধারলো অস্ত্র নিয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন। তবে এ পর্যায়ে কোন সংঘর্ষ ঘটেনি। পরবর্তীতে রাত সাড়ে তিনটার দিকে আহসানউল্লাহ হলের গেইটে দাড়িয়ে থাকা অবস্থায় ইমরানকে দেখতে পায় সভাপতি গ্রুপের সমর্থকরা। পরে যারা হলটিতে অস্ত্রসহ অবস্থান করছিল তারাই ইমরানকে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে। আহত অবস্থায় ইমরানকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপতালে ভর্তি করা হলে মারধরকারীরাই আবার হাসপাতালে ইমরানকে মারার উদ্দেশ্যে যায়।

এসময় আবার দুই গ্রুপে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু করে। কয়েকজন হাসপাতালের কয়েকটি কাঁচ ভাংচুর করে। এসময় হাসপাতালে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আহতরা বলেন, রাতে কোনো কারণ ছাড়াই বুয়েট ছাত্রলীগের সভাপতির গ্রুপ আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ক্যাম্পাসে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এ সম্পর্কে জানতে সদ্য বিদায়ী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে কয়েকবার ফোন করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।