আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমি এক অধম মামা !!!

পৃথিবীটাকে যেমন পেয়েছ তার থেকে সুন্দর করে রেখে যেতে চেষ্টা কর আমাকে মাফ করে দিস মামা, আমি কিছুই করতে পারলাম না, একটা কথা আমার মাথায় রাখা উচিৎ ছিলযে আমি তোর বাবা না, খালি একজন মামা, তোর বাবা-মা ঐ ডাক্তার কে ক্ষমা করে দিয়েছে, আজকে আমি বাদী হয় মামলা করতে গিয়েছিলাম, কিন্তু আমাদের ধর্ম ও সমাজ আমাকে এই অধিকার দেয়না যে একজন মামা হিসেবে নিজের ভাগ্নীর হত্যাকান্ডের জন্য মামলা করার, আমার চোখে এখন ভাসে ইনকিউবিটরে তোর ক্ষুদার্ত, হাঁ করে থাকা মুখের ছবি, তোর মাত্র ২২ সপ্তাহে তোকে জন্মিয়ে নিয়েছে ঐ খুনি ডাক্তার, তাই তুই কিছু খাইতে পারিসনি, আমার এত টাকা-পয়সা, আর আমার ভাগ্নী না খেতে পেয়ে মারা গেছে!!!! মামা আমি খালি তোর জন্য একটা কাজ করতে পেরেছি, সেইটা হল তোকে হজরত শাহজালাল (রঃ) এর কাছে রেখে এসেছি, এখানেও তোর বাবা-মা তোকে ঐ মানিকপীর টিলায় কবর দিতে চেয়েছিল, এমন এক জায়গায় যেখানে তোর কেউ নেই, আমি তোর কবর তোর বড় আব্বার কাছে দিয়ে এসেছি, তুই জানস তোকে যখন তোর বাবা কবরে শুয়ায় দিচ্ছিল তখন আমার বুক ফেটে যাচ্ছিলো, কিন্তু আমি ছেলে মানুষ, কাঁদতে পারিনি, কিন্তু বুক কেটে দেখার কোন উপায় থাকলে দেখাতে পারতাম। আমি এখন যতবার মাজার ক্রস করি আমার ইচ্ছা করে তকে কবর থেকে তুলে এনে আমার কাছে মমি করে রেখেদি কিন্তু আমার ধর্ম আমাকে এইখানে মানা করে। আমার মনে হয় তুই খালি ডাকিস, “মামা তুমি আমাকে এখানে একলা ফেলে গেলে কিভাবে???” আমি জবাবে বলি, “মামা, তোর মাথার কাছেই তোর বড় বাবার কবর, তুই একলা না, আর তুই জানস তোর বামের ৪-৫ কবর পর এমন একজনের কবর, যিনি ছোট বাচ্চাদের খুব পছন্দ করেন, তিনি হলেন হজরত শাহজালাল (রঃ), তাই মামার উপর রাগ করিসনা, আর মামাত ডেইলী তোকে দেখতে আসবই”। মামারে, আমি জীবনেও তোর বাবা-মা কে মাফ করবনা, আমি যদি তোর বাবা হতাম তাহলে ঐ ডাক্তারকে ওইখানেই শুট করে দিতাম, এতে যদি আমার ফাঁসিও হত আমার কোন দুঃখ থাকতনা, আর তোর বাবা একজন ইউ এন ও, একজন যুগ্ম সচিবের ক্ষমতাধারী ব্যক্তি, উনি কিছুই করলেননা??? আর আমাকেও তুই আবার ক্ষমা করিস, আমার এত ক্ষমতা কিন্তু আমি কোন কাজেই লাগাতে পারলাম না, কারণ আমার দোষ একটাই, আমি তোর মামা!!! আর তোর কপাল দোষ তুই বাংলাদেশে জন্ম নিয়েছিস, যেখানে ন্যায়বিচার অসম্ভব


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।