আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পিক্সার মামা উইদ ডিজনি আঙ্কুল

যদিও তুমি ধ্রুবতারা তবুও আমি দিশেহারা একদিন, আমার আব্বা আমার ঘর থেকে বেরিয়ে আম্মাকে বলল, "কি তামসা!!! তোমার বড় পোলা এখনো কার্টুন দেখে!!!" আমাদের পাশের বাসায় এক পিচ্চি আছে, সে কারো কাছে তেমন একটা যায়না, খুবই মুডি। কিন্তু আমার কাছে আসে এবং বেশ কিছু সময় ধরে আমার সাথে বসে থাকে, কারন হচ্ছে আমি কার্টুন দেখি। সেও দেখে। এবং সম্ভবত আমাকে তার সমজাতীয় মনে করে। যাইহোক আমি এ্যানিমির একনিষ্ঠ ভক্ত (তোমরা যা বল তাই বল আমার লাগেনা মনে)।

আবারো যাইহোক, ব্যাক্তিগত প্যাচাল বাদ, আসেন আমরা পিক্সার মামার ঢোল পিডাই। আর এ্যনিমির কথা আইলেই যেই মামাগো কথা আসে তার মধ্যে বুক ফুলাইয়া আছে পিক্সার মামা। পিক্সার প্রথম প্রতিষ্টিত হয় ১৯৭৯ সালে পরে ১৯৮৬ সালে এইটা জব আঙ্কুলের কতৃত্বে আসে। জব আঙ্কুলের কাছ থাইকা এই জিনিষ আবার কিনা নেয় ডিজনি আঙ্কুলের পোলাপাইন ২০০৬ সালে। পিক্সার যা পয়দা দিছে সেইডা হিটের উপ্রে হিট।

প্রত্যেকটা মুভি সর্বকালের টপ ৫০ টা গ্রসিং মুভির ভিত্রে আছে। ৬ ডা এ্যাকাডেমি এওয়ার্ডস আর ৭ টা গোল্ডেন গ্লোব। এই স্টুডিওর টোটাল ওয়ার্ল্ড গ্রস ৬০২ মিলিয়ন ডলার। যার ধারে কাছেও কেউ নাই। Toy Story পিক্সার মামারা শুরুতেই কুপায় দিছে এই জিনিষ দিয়া।

অরিজিনাল আইডিয়া, মখাম পিকচারাইজেশন, ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক, পারফেক্ট হিউমর। এর যা আইডিয়া এইটার জন্যই পরিচালক জন লেষ্টাররে কান্ধে তুইলা নাচানো উচিত। এমন একটা আইডিয়া যেইটা অনেক সাধারণ, সবারই মনে হবে এই আইডিয়া আমার মাথায় আসলনা ক্যান!!! কিন্তু আসেনাই এইটাই কথা। পোলাপাইনের খেলনা-খুটি নিয়া কাহিনী। এ্যান্ডি নামের একটা পোলার মেলাগুলান খেলনা থাকে, সেইগুলার থাকে প্রেম-প্রিতি, গ্যাঞ্জাম-ফ্যাসাদ, ভয়-ভীতি, ভ্রাতৃত্ববোধ, প্রতিযোগিতা ইত্যাদি সিত্যাদি।

এ্যান্ডির প্রতি বার্থডেতেই প্রতিটা খেলনা ভয়ে থাকে। যদি নতুন একটা গিফট তথা খেলনার ভয়ে তাকে রিপ্লেসড হতে হয়! এক বার্থডেতে এ্যান্ডিকে তার মা বাজ লাইটইয়ার নামের একটা এ্যাস্ট্রন্যান্ট রোবর্ট গিফটু দেয়। নতুন খেলনা পাইয়া এ্যান্ডি তার পুরানো কাউবয় উডিরে ভুইলা যায়। সেই জালায় উডি বেচারার মনে দাউদাউ করে প্রতশধের আগুন। এবং সে একপর্যায়ে বাজরে চিপায় ফেলায় দেয়ার মতলব নেয়।

কিন্তু পরিস্থিতি ভায়ানক আকার ধারণ করে। এই নিয়া গল্প আগাইতে থাকে। প্রতিটা দৃশ্যপটে টান-বেটান উত্তেজনা। এই মুভিটা আমি প্রায়ই দেখি আর মাঝরাইতে একা একা হাসি। আমার কাছে সবচেয়ে ভাল লাগে সিড পোলার চরিত্রডা।

মাইয়া ডলের মুখে ডায়নাসরের মাথা, সাপের সাথে হাসের পা ইত্যাদি ইত্যাদি গবেষনাধর্মি আকাম-কুকাম। আর ওর খেলার ধরনটাও ভাল লাগে। হি ইজেন্ট ফ্লাইং হি ইজ জাষ্ট ফলিং উইথ ষ্টাইল এই মুভিতে টাকা ঢালছে $৩,০,০০০ ০০০ আর উঠাইতে পারছে $৩৬১, ৯৫৪, ৭৩৬। সাথে এ্যাকাডেমি এওয়ার্ডসতো আছেই। মেটাক্রিটিক , রোটেন টম্যটো এবং আইডিএমবি যথাক্রমে ৯২, ১০০%, ৮.২।

UP মাইরি কইতাছি বস, এই মুভির প্রথম দশমিনিট দেইখাই আপ্নের দিল নরম হইয়া যাইতে বাধ্য। মনে ভালোবাসা থল-থল কইরা উঠবে। যা হোক তা হোক আগে ভালোবাসার মানুষরে দেয়া কথা রাখতে হবে, এই হচ্ছে মুভির মুল থিম। একপোলার আর মাইয়ার পিচ্চি কালের প্রেম তারপর যৌবনকালে বিয়া তারপর বুইড়াকালে বুড়া-বুড়ি হইয়া যাওয়া। তারপর মরনকালে বুড়ির মইরা যাওয়া।

বুড়ার বাইচা থাকা। সেই পোলার নাম থাকে কার্ল, মাইয়ার নাম এ্যালি। এই দম্পতি যখন দেখে এদের বাচ্চা-কাচ্চা হওয়ার কোন সম্ভাবনা নাই তখন তারা প্যারাডাইস ফলস নামের একটা যায়গায় যাওয়ার জন্য পয়সা-কড়ি গুছাইতে থাকে। যেইটা দক্ষিন আফ্রিকার ভেনিজুয়েলায় অবস্থিত। এবং ফাইনালি কার্ল যখন ভেনিজুয়েলা যাওয়ার জন্য দুইটা টিকিট যোগাড় করতে পারে তখন এ্যালি দুঃখ জনক ভাবে মারা যায়।

কার্ল হয়ে যায় একা। সঙ্গে থাকে স্বৃতি যা তাকে প্যারাডাইস ফলসে যাওয়ার জন্য অনুপ্রানিত করে। এইদিকে গ্যাঞ্জাম-ফ্যাসাদ কইরা কার্ল নোটিস পায় বাড়ি ছাইড়া দেওয়ার। কিন্তু সে এক ফন্দি আটে বাড়ি শুদ্ধা প্যারাডাইসে যাত্রা করার। সে তার ঘরের সাথে হাজার হাজার বেলুন বাইন্ধা ঘরশুদ্ধা আকাষে উড়াল দেয়।

এবং এ্যাকসিডেন্টলি সাথে পাইয়া যায় রাসেল নামের এক পোলারে যার থাকে আবার আরেক কাহীনি। এরপর শুরু হয় অভিযাত্রা না রকম বাধা-বিপত্তি। কিন্তু সব বাধা পেরিয়ে কার্ল পৌছাতে পারে তার আকাঙ্খিত স্থানে। রাখতে পারে তার মইরা যাওয়া বউর কথা। মেটাক্রিটিক , রোটেন টম্যটো এবং আইডিএমবি যথাক্রমে ৮৮, ৯৮%, ৮.৩ এর বাজেট ছিল $১৭৫, ০০০, ০০০ এবং টোটাল ওয়ার্ল্ড গ্রস $৭৩১, ৩৪২, ৭৪৪ এ্যাকাডেমি এওয়ার্ডস সঙ্গে আছেই।

মুভিটি পরিচালনা করেছেন যৌথভাবে পিট ডক্তর এবং বব পিটারসন। Finding Nimo ছেলে-মেয়ে, কাচা-পাকা, বুড়া-গুড়া যা আছে সবার দেখার যগ্য একটা মুভি। এ্যাডভেঞ্চার জেনারের এই মুভিটি আপনাকে দেবে নির্মল আনন্দ উইথ শুদ্ধ হিউমর। কাহিনি হচ্ছে একটা খুবই ভিতু ক্লাউন ফিসের একটা খুবই পুঃপাকা পোলা থাকে। লাফাইতে লাফাইতে কট খাইয়া যায়।

ধইরা নিয়া ভইরা রাখে সিডনির এক দাতের ডাক্তারের এ্যাকুরিয়ামে। এরপর ওরে বাচাইতে ওর বাপের শুরু হয় সাহসী উদ্ধার যাত্রা। এই মুভির মেটাক্রিটিক এবং রোটেন টম্যটো স্কোর যথাক্রমে, ৮৯ এবং ৯৮%। আইডিএমবি ৮.২। মুভিতে ডিজনিরা খরচ করছে $৯৪,০০০,০০০ উঠাইছে ৮৬৭,৮৯৩,৯৭৪ আর কি লাগে!!! এরপর আবার এ্যাকাডেমি এ্যাওয়ার্ডস পাইছে গোল্ডেন গ্লোব ও পাইছে!!! “মাইন-মাইন-মাইন-মাইন” !!! মনে পড়লে এখনো হাসি, রাস্তার মাঝে মনে পড়লে একা একা হাসি।

Ratatouille এক শৈলা ইন্দুর আর একটা অকম্মা পোলার গল্প। ওসাম জিনিষ। ইঁদুরতা, মানবতা এবং খানা-পিনার চমৎকার সমাহার। এক ইন্দুর থাকে একটু নায়ক টাইপের, অন্যান্য ইন্দুরের মত খালি চুরি কইরা খাবার ধান্দায় থাকেনা। তার মন পড়ে রয় সৃষ্টিশিলতার দিকে।

একসময় সুযোগ আসে। ভাল বন্ধু পায়। কিন্তু মাঝে ভুল বোঝাবুঝির একটা ব্যাপার স্যাপার হয়ে যায়, নানা রকমের বাধা-বিপত্তি আসে। অবশেষে সবকিছু উপেক্ষা করে নিজের প্রতিভাকে স্বজাতী সহ সবার নিকট প্রকাশ করতে পারে। মুভিটি পরিচালনা করেছেন ব্র্যাড বার্ড এবং জ্যান পিঙ্কাভা।

খরচ করছে $১৫০,০০০,০০০ উঠাইতে পারছে $ ৬২৩,৭২২,৮১৮ । আইডিএমবি ৮.১। ধুর এত প্যাচাল ভাল্লাগেনা, আরগুলার নাম এম্নে কইয়া যাই আপ্নেরা হুনেন Toy Story2 Toy Story3 A Bug's Life Monsters, Inc. Cars The Incredibles WALL-E ডালো লিঙ্কু দিলাম না। আমার ধারনা যারা দেখার তার সবাই মুভিগুলা ইতিমধ্যে দেইখা ফেলছে। তারপরেও যদি কেউ ডালো করতে চান তারা মুভির নাম লেইখা একটা স্পেস দিয়া টরেন্ট লেইখা গুগল মামার কাছে চাবেন, আপ্নেরে হাত ভইরা দিয়া দিবে।

মামা ভালো লোক। আর যদি কোন ঝামেলা করে তাইলে আমার নাম কইয়েন ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।