আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাইসাইকেলে চড়ে হজ্জ পালনের আকাঙ্ক্ষা চারজনের

এক সময় মানুষ পায়ে হেঁটেই হজ্জে যেতেন। এখন কত যানবাহন ! পায়ে হাঁটার চেয়ে বাইসাইকেলে আরো দ্রুত হবে-এই মানসে চারজন হজ্জে যেতে চাইছেন। আর এলক্ষ্যে ইতোমধ্যে বাংলাদেশের প্রায় সবক’টি জেলা ঘুরে এসেছেন মওলানা লোকমান হোসেন (৬৫), মো. হাবিবুর রহমান (৪৬), মৌলভী আলী আকবর (৫৬) এবং জাফর ফারাজী (৬০)। অর্থনৈতিকভাবে তারা খুব যে একটা সচ্ছল তা বলা যাবে না। তবে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, বাইসাইকেলেই তারা হজ্জে যাবেন।

সাইকেলে চড়ে হজ্জে যাবার ইচ্ছে জাগতেই বছর দুয়েক আগে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন নাটোরের বড়গাড়ফা গ্রামের হাবিবুর রহমান। ডেকোরেটরের ব্যবসা তার। বছর সাতেক আগে তিনি একনাগাড়ে দু’রাত আর তিনদিন সাইকেলে চড়েই সময় পার করেন। ‘সাইকেলের পরেই খাওয়া-দাওয়া, সাইকেলেই সব’- জানালেন হাবিবুর। সেখান থেকেই ভাবনা উঁকি দিতো, সাইকেলে চড়ে হজ্জে যাবার।

আর সে আশার প্রতিফলন ঘটাতেই সাইকেলে চড়ে দেশের ৬৪ জেলা ভ্রমণ। হাবিবুর জানান, ‘বছর দুয়েক আগে তিনি যশোরে আসেন। তার মনোবাঞ্ছা প্রকাশ পায় স্থানীয় কয়েকটি দৈনিকে। ’ সেখান থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে যশোরের দৌলতদিহি গ্রামের মওলানা লোকমান হোসেন শলাপরামর্শ করেন হাশিমপুর এলাকার মৌলভী আকবরের সাথে। এরপর, তারা যোগাযোগ করেন হাবিবুর রহমানের সাথে।

একইসাথে যোগাযোগ হয় মাদারিপুরের পূর্ব কমলাপুরের জাফর ফারাজীর সাথে। বিচ্ছিন্নভাবে সকলের আকাক্সক্ষা এক থাকায় পরস্পর যোগাযোগের মাধ্যমে শনিবার তারা মিলিত হন যশোরে। ইতোমধ্যে দেশের প্রায় সবক’টি জেলা পরিভ্রমণ করেছেন বাইসাইকেলে। কথা হয় উল্লিখিত চারজনের সাথে। তাদের পাসপোর্ট করা হয়ে গেছে; কিন্তু ভিসা এখনও লাগেনি।

রোববার খুলনা যাবেন তারা। সেখানে স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার একটি শাখা রয়েছে। এক ব্যক্তি তাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ভিসা পাইয়ে দেবার চেষ্টা করবেন। না হলে ঢাকা যাবেন। সাইকেলের বহরে জামাকাপড়ের ব্যাগ, রান্না-বান্নার সরঞ্জাম, আছে সাইকেল মেরামতের যন্ত্রপাতিও।

‘ব্যাগে প্রয়োজনীয় কিছু ওষুধপাতিও রাখা আছে। রাস্তাঘাটে যদি মৃত্যু হয় সেলক্ষ্যে কাফনের কাপড়ও আছে’-জানালেন জাফর ফারাজী। মৌলভী আলী আকবর জানান, ‘দেশের বিভিন্ন জেলা ভ্রমণের অভিজ্ঞতা এ ক্ষেত্রে তাদের সহায়ক হবে। দেশ পরিভ্রমণকালে বিভিন্ন আবাসিক মাদ্রাসায় রাত্রিযাপন আর নিজেরা রান্না করে খাওয়ায় খরচও কম হয়েছে। ’ পবিত্র কাজে ভিসাপ্রাপ্তি সহজ হবে আশাবাদ ব্যক্ত করে তারা জানান, ‘প্রত্যেকে প্রায় এক লাখ করে টাকা সঙ্গে নেবেন তারা।

মক্কা শরিফ যেতে রুট হিসেবে ভারত, পাকিস্তান, ইরাক, ইরান হয়ে সৌদিআরব যাবেন বলে পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। ’ এসব রাষ্ট্রের ভেতর দিয়ে যেতে ভাষাগত কোনো সমস্যা হবে না বলে জানান এই চারজন। তাদের মধ্যে একজন ইংরেজি ও আরবি ভাষা জানেন, একজন উর্দু, হিন্দি এবং আরেকজন ফারসি ভাষায় কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন। ভিসাপ্রাপ্তিসাপেক্ষ বাইসাইকেলে বাংলাদেশ থেকে মক্কা শরিফে প্রায় ৬হাজার কি.মি. সাড়ে তিন থেকে চার মাসের মধ্যে পৌঁছুতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। # ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।