মায়াময় গ্রামের নিস্তব্ধ রাতে কোন এক কার্তিকের ভরা পূর্নিমা। বাঁশ কিংবা হিজলের পাতা বেয়ে ঝরেপড়া চন্দ্র গর্ভা এক আকাশ জোত্স্নার হাতছানি আমাকে দেয় হাজার মনুষ্যের আরাধিত অমরাবতীর তীরে রূপকথার স্বর্গ নগরীর সৌন্দর্য। আমি অনুভব করি ধরনীর চেয়ে নাহি কিছু মোহময়। আমি চন্দ্রগ্রস্থ হই, আঁজলা ভরে মহুয়ার মত আকন্ঠ আস্বাদন করে চলি উন্মত্ত যৌবনা জোত্স্নার সান্নিধ্য। ধীরে ধীরে মোহাবেশ থেকে হয়ে যাই মাতাল।
বাঁধা পড়ি কার্তিকের রাতে নগ্ন পায়ে চুপি চুপি আশা জোত্স্না স্নাত ভরা পূর্নিমার প্রেমে আজন্ম।
চন্দ্রাহত এই আমার অনুভবে একটি ছোট গ্রাম, সর্পিল ছন্দে একেবেঁকে বহে যাওয়া দেওর ভাগা নদী আর তার কুল ঘেষে একই ছন্দে বুড়ো অজগরের মত একটি রাস্তা। রাস্তার একদম শেষ মাথায় নদীর কুল ঘেষে একটি মাঠ আর মাঠের ঠিক উত্তর কোনায় একটা ছোট টিলা হাজার কোটি ভরা পূর্নিমা পার করে ঠায় দাড়িয়ে আছে পাহারাদারের মত গ্রাম, মানুষ , মাঠ, নদী, রাস্তা আর প্রকৃতিকে রক্ষার প্রতিজ্ঞা নিয়ে।
স্বার্থপরের মত সুধুই নিজের কথা বলে চললাম, কিন্তু জোত্স্না প্রেমে আচ্ছাদিত ধরনীর কথা যে না বললেই নয়।
প্রতিপদের দিনান্তে জন্ম নেওয়া চন্দ্রগর্ভা দস্যি মেয়ে এক চিলতে জোত্স্না ধীরে ধীরে পূর্ণ যৌবতী হয় ভরা পূর্নিমায়।
প্রেমান্ধ বামুন ধরণী হাজার কোটি বছর হাতছানি দিয়ে ডেকে গেল তাকে প্রতিটি পূর্নিমা রাতে। কিন্তু মায়াবতী দস্যি মেয়ে জোত্স্না ফিরেও তাকালো না। শুধু তার মহুয়ার আবেশে লক্ষ কোটিবার দগ্ধ করে গেল ধরনী কে পূর্নিমা থেকে পুর্নিমান্তর। হায় জোত্স্নাহত ধরণী। তবু না ছাড়িল আশা, না ছাড়িল চাতক প্রেমের আবেশ।
জীবনানন্দের নির্মোহ প্রেমের কবিতার খাতা বুকে চেপে সঞ্চিল সাহস সমুদয় ....
হায় প্রেম
ভালোবাসিতে যে জানে ......
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।