আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অর্থকষ্টে খালেদা জিয়া বাড়ি ভাড়াও দিতে পারছেন না

হায় আল্লাহ তার এতটাকা কই গেলো। তার পুত্রদ্বয় তারেক কোকো এর এত টাকা কই গেলো। এমন মিছা কথা কইলে আল্লাহর আরশ কাপ্পাইয়া ঊঠবো। .............................................................................. ব্যক্তিগত ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ থাকায় অর্থকষ্টে আছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। টাকার অভাবে তিনি বাড়ি ভাড়া পর্যন্ত পরিশোধ করতে পারছেন না।

নতুন বাসায় ওঠার পর থেকে বাড়িওয়ালাকে কোনো টাকাও দিতে পারেননি। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও তার ব্যক্তিগত আয়কর আইনজীবী অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান সকালের খবরকে এ কথা জানান। আর কারাবন্দি নেতাদের স্বজনরা অভিযোগ করেছেন, কারাবন্দি বিএনপি নেতাদের নির্যাতনের ক্ষেত্রে বর্তমান সরকার ওয়ান-ইলেভেন সরকারকেও হার মানিয়েছে। আহমেদ আযম খান জানান, ওয়ান-ইলেভেনের সময় ফখরুদ্দীনের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ম্যাডামকে (খালেদা জিয়া) গ্রেফতারের পর তার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট জব্দ করে। পরে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা করে উঠানোর অনুমতি দেওয়া হয়।

ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি থেকে উচ্ছেদের পর তিনি প্রথমে তার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দারের গুলশানের বাসায় ওঠেন। পরে জানুয়ারি ২০১১ সালে দুই লাখ টাকা মাসিক ভাড়ায় চুক্তিবদ্ধ হয়ে গুলশান ২ নম্বরে ৭৯ নম্বর রোডের ১ নম্বর বাড়িতে ওঠেন। কিন্তু বাড়িতে ওঠার পর থেকে আজ পর্যন্ত তিনি বাসা ভাড়া পরিশোধ করতে পারেননি। উল্লেখ্য, খালেদা জিয়া তার দলের সাবেক নেতা ও প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী মেজর (অব.) কামরুলের বাড়িতে উঠেছেন। তিনি জানান, নতুন বাসায় ওঠার আগে ২০১০-এর ডিসেম্বরে ম্যাডামের পক্ষে তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চেয়ারম্যান বরাবরে আবেদন করেন প্রতি মাসে দুই লাখ টাকা উত্তোলনের অনুমতি চেয়ে।

কিন্তু আজ পর্যন্ত তার কোনো কূলকিনারা করেননি। রাজস্ব বোর্ড চেয়ারম্যান তাকে জানান, ম্যাডামের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের কাগজপত্র তার কাছে নেই। কোথায় আছে তাও তিনি জানেন না। এদিকে পৃথক কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট না থাকায় বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে তিনি যে বেতন-ভাতা পান তাও ওই অ্যাকাউন্টে জমা হচ্ছে। নিজের টাকা তুলতে না দেওয়ার বিষয়টিকে ন্যক্কারজনক বলে অভিহিত করেন আহমেদ আযম খান।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ের সামনে গাড়ি পোড়ানো মামলায় কারাবন্দি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ১৮ দলীয় জোট নেতাদের আত্মীয়স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, এ সরকার বিরোধীদলীয় নেতাদের নির্যাতনের ক্ষেত্রে বিগত ওয়ান-ইলেভেন সরকারকেও হার মানিয়েছে। গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে বন্দি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমানের স্ত্রী সাবেরা আমান অভিযোগ করে বলেন, ওয়ান-ইলেভেনের সময়ও তিনি তার স্বামীর সঙ্গে কারাগারে সাক্ষাত্ করেছেন। কিন্তু এখনকার মতো হয়রানি করা হয়নি। যেখানে তারা সাক্ষাত্ করেন সেখানে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থাকায় তাদের কথা বলতে সমস্যা হয়। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলনের স্ত্রীও একই অভিযোগ করেছেন।

মিলনের স্ত্রী বিষয়টি গত মঙ্গলবার খালেদা জিয়াকে অবহিত করেছেন বলে জানা গেছে। বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে ছাত্রদল সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুকে ফাঁসির আসামি রাখার কনডেম সেলে রাখা হয়েছে। শুধু তাই নয়, কারাগারে বেশি লোডশেডিং করে কারাবন্দি নেতাদের কষ্ট দেওয়া হচ্ছে Click This Link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।