আজকে দেশে সমস্যা এক,দুই,তিন থেকে বহু মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে । তবে নাস্তিক আস্তিকের প্রশ্ন আসলে শেষ পর্যন্ত একটি স্ট্যান্ড পয়েন্টে দাঁড়িয়ে গেছে । এই মুহূর্তে দেশের বুদ্ধিজীবী ( পড়ুন বুদ্ধি বেচা ) রা এসির বাতাসে ক্যামেরার সামনে বসে নীতির বুলি আর নিজের ইমেজ বাড়ানোর লড়াইয়ে গালি বর্ষণ করছেন । আবার আলেমদের দল সরকারের উপর বিষবাণ ছুড়ছেন । কে সঠিক ? আসুন তথ্যগুলো দেখি ।
১ । সম্পত্তি এবং নারী
এ সরকারের শুরু থেকেই প্রথম সমস্যা শুরু হয় সম্পত্তি আইন নিয়ে ( ২০১১ )। ইসলামী শরীয়াহর বরাবরের নীতির বিরুদ্ধে ভাইয়ের অর্ধেক নয় বরং সমান সম্পত্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় । এর বিরুদ্ধে আলেমদের দল প্রতিবাদ শুরু করলে প্রগতিবাদীর দল মানবাধিকার মানবাধিকার নিয়ে লাফাতে শুরু করে । কিন্ত এ ইসলামে স্ত্রীর ভরণপোষণের দায়িত্ব
সম্পূর্ণ স্বামীর উপর , তার স্ত্রীর আয়ের উপরও স্বামীরা কিছু বলতে পারবে না - এই জায়গাতে তারা চুপ হয়ে যান ।
বিয়ের সময় ছেলেদের বরং দেনমোহর দিতে হয় , তখন তাদের মানবিকতা আসলে কোথায় থাকে ? নাকি ছেলেদের অধিকার বলে কিছু নেই ? অনেকের দাবি এটা সব ধ র্মের জন্য , তাহলে আপনি আমাদের দেনমোহর আর স্ত্রীদের আয় নিয়ে আইন করে দিন । একটা আইন করবেন আরেকটা ছাড়বেন তাতো হয় না ।
আমার অভিজ্ঞতা ঃ সুশীল ব্যাক্তিদের কথা শুধু টেবিল পর্যন্ত । বাস্তবে ৯০ শতাংশ পরিবার প্রধানত গ্রামে কোন মেয়ে বাবার এক ছটাক সম্পত্তিও পায় না । দেনমোহর নারীদের অধিকার , এটা তাদের দুর্দিনে সহায় ।
কিন্ত এটা খালি কাগজে কলমে , বাস্তবে উল্টো যৌতুক দিয়ে চলতে হয় । পুরুষ জাতির একজন সদস্য হিসেবে আমি নারীদের কাছে ক্ষমা প্রার্থী । যারা এগুলো করেন , বলছি বের হয়ে আসুন ।
২ বৌদ্ধদের উপর হামলা
চটগ্রামের রামুতে এই হামলা হওয়ার সাথে সাথে সরকার বিএনপির দিকে অভিযোগ ঠেলে দিল । কিন্ত সেখানকার লোকদের সাক্ষ্যমতে যখন স্থানীয় আওয়ামীলিগের সম্পৃ্কক্ততার কথা জানা গেল , ওই মূহুর্তে দেশের মিডিয়ার সামনে থেকে উধাও হয়ে গেল গোটা বিষয়টি ।
ধর্মীয় উন্মাদনা নিয়ে স্যাবোটাজ খেলার দিক থেকে এই সরকার পাকা খেলোয়াড় । ওই বিহারের পরিচালক বর্তমানে কানাডার নিকট রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন , যেখানে প্রধান হুমকি দাতা হিসেবে উঠে এসেছে ওই এলাকার আওয়ামী নেতাদের নাম
৩ যুদ্ধঅপরাধীদের বিচার
এই অধ্যায় নিয়ে না বললেই নয় । ইসলামের সোজা কথা খুনের বদলে খুন , তাই যারা এখনো যুদ্ধ অপরাধীদের বিচার চান না , ভেবে দেখুন , আপনি গত সপ্তাহে যার বাড়ীতে ছেলের মেট্রিক পরীক্ষার রেজাল্টের মিষ্টি পাঠালেন , পরের সপ্তাহেই তারা আপনাকে হানাদারের হাতে ধরিয়ে দিল , আপনার চোখের সামনে আপনার স্ত্রীকে ......আপনি ব্রাশফায়ার হলেন , তাদেরকে বাচাতে চান ? এজাতির আত্মশুদ্ধির জয়যাত্রা শুরু হোক এই বিচার থেকেই । এখানে প্রশ্নের কোন সুযোগ নেই । তবে আওয়ামী লিগ বিচারকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করছে - এ পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়া যায় না ( বিচারকের লিকড ভিডিও থেকে ) , আবার বিএনপি নিজের শরিক দল জামাতের কিছু নেতা এর আওতায় থাকায় তারাও বিষয়টা নিয়ে জল ঘোলা করছে ।
৪ জামায়াত নিষিদ্ধ
প্রথমেই বলে নেওয়া ভালো ধর্মীয় রাজনীতির পক্ষে আমি । রাজনৈতিক দল একটি মতাদর্শের উপরগ ঠিত হয় , আওয়ামী লিগ বঙ্গবন্ধুর আর বিএনপি জিয়াউর রহমানের আদর্শের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে । জামাত ইসলামের নীতিকে নিজেদের প্রধান ভিত্তি মেনে দল বানিয়েছে । কিন্ত সমস্যা হল জামাতের মাথায় বেশ কজন নামকরা যুদ্ধ অপরাধীরা বসে আছেন । তাদেরকে ডিফেন্ড করার জন্য একটি দল হরতাল ডাকলে , মিছিল-হামলা করলে তাদেরকে জিইয়ে রাখার মানে হয় না ।
অন্যদিকে রাজশাহী , চাঁপাইনবাবগঞ্জ , দিনাজপুরের ফুলবাড়ি , নোয়াখালি , পাবনার ঈশ্বরদী ,কক্সবাজার , চট্টগ্রামে এদের ত্রাসের রাজত্ব । তাই এদেরকে নিষিদ্ধ করা হোক , কারণ নীতিগত সিদ্ধান্তে যাদের গলদ তাদের অস্তিত্বের প্রশ্নই আসে না । সেই সাথে তাদের অর্থের উৎসও বন্ধ করেতে হবে
আমার অভিজ্ঞতা ঃ অনেকে আমাকে প্রশ্ন করেছেন , জামাতের মত বিএনপি বা আওয়ামীলীগও কোন নীতির ধার ধারে না । তাহলে ওদের কেন নিষিদ্ধ করা হবে না ?
একটি সুন্দর প্রশ্ন । কথাটি সত্য ।
কিন্ত আপনি কি ভাবেন জামাতকে নিষিদ্ধ করলে তারা বসে থাকবে ? পরদিনই জামাতের লোকজন আরেকটি নতুন নামে দল গঠন করবে , দরকার হলে নিজেদের মূলনীতি বদলিয়ে তারা একটি দল করবে । অনেক লোক নিজেদের জীবনের একটা বিশাল অংশ রাজনীতি করে এসেছে , তারা আর সেটা ছাড়তে পারবেন না । আবার উল্টাদিকে জামাত-শিবিরের কর্মীদের নাম শুনলে অনেকেই আবার থুতু ছিটান , তাদেরকে বলছি , মাঠ পর্যায়ে অনেক বিএনপি বা আওয়ামী লিগ কর্মীর দল বঙ্গবন্ধু বা জিয়ার কথা চিন্তা করে কাজ করে , তেমনি ইসলামের খিদমত ভেবে অনেকেই জামাত শিবির করে । এরা ওই জল্লাদ নেতাদের মত নন বরং আপনার চেয়েও শান্তিপ্রিয় এবং চরিত্রবান । না মিশে খালি পেপারে ছবি দেখে আর টিভির তোতাপাখির বুলি শুনে যারা লাফান , মাটিতে নেমে আসুন ।
উপরোক্ত জায়গা ছাড়া খুব কম জায়গায় উগ্র জামাত কর্মী পাওয়া ভার , এমনকি নিজের এলাকার আওয়ামী বা বিএনপি নেতাদের কথা চিন্তা করে দেখুন , তারা অনেক বেশি দূর্নীতিবাজ ও উগ্র ।
৫ এবং গণজাগরণ মঞ্চ
এটি নিয়ে কথা না বললেই নয় । এর শুরু ব্লগারদের হাত ধরে , সারা বাংলার সাথে আপনি আমি সবাই ছিলাম শাহবাগের চত্বরে । শুরুটা ব্লগারদের হাত ধরেই । পরে বাম রাজনীতিবিদরা আর আওয়ামীলিগের ছাত্র নেতারা এটাকে বানিয়ে ফেললেন তাদের মঞ্চ ।
মুক্তিযুদ্ধের বিষয়টি আওয়ামী লিগ নিজেদের সম্পত্তি মনে করে , তার বলি হল এ আন্দোলন , স্বঘোষিত ব্লগার এবং স্বাচিপের ঘুষ দিন বদলী নিন এর নেতা ইমরান হোসেন সরকার হয়ে গেলেন এর প্রধান নেতা । অনেকই বলবেন আমি কেন ধর্ম
বিষয়টি এর সাথে জড়িত করছি - এর মূল কারণ রাজীব হত্যা । রাজীব মারা যাওয়ার সাথে সাথে তাকে বলা হল দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শহীদ , তার জানাজা করা হল লাইন ছাড়া , ওজু ছাড়া , ছেলেমেয়ে একসাথে । তার এভাব মারা যাওয়া কখনই কাম্য নয় । ব্যাক্তিগতভাবে তিনি একজন নাস্তিক মৌলবাদী , তিনি ইসলামকে জঘন্যতম ভাষায় হামলা করেছেন ।
(এর বিরুদ্ধে যেসব প্রগতিবাদীরা কথা বলেন , তাদের জন্য প্রমান রাজীবের ফেসবুকের নোট ) প্রশ্ন , রাজীব কি নিজেও জানাজা চাইতেন । এরকম একজন নাস্তিক যে এই আন্দোলনের মূল মঞ্চে জড়িত ছিল না , তাকে কেন্দ্র করে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে গিয়ে এরকম সম্মান দেওয়া সাথে জানাজা পড়ানো আসলে এদেশের নব্বই শতাংশ মুসলিমের প্রতি অবমাননা । সরকারের আক্কেল সেলামীর সুযোগে নিয়ে সেখানে জামাতের লোকজন আপনই আমি শহরে বসে থেকে না দেখলেও , গ্রাম্য জনতাকে উত্তেজিত করতে সফল । বাম দলগুলো এটি দিয়ে নিজেদের উত্থান সাথে ধর্মকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টায় বিভোর । এই মঞ্চ বিচারের উপকারের চেয়ে ক্ষতি করেই চলেছে বেশি ।
৬ হেফাজতে ইসলাম ও তের দফা দাবি
হেফাজতে ইসলাম নিয়ে প্রগতিবাদীদের অনেক ল্মফজম্ফ দেখলাম । বাংলাদেশ নাকি আফগানিস্তান হয়ে যাচ্ছে , শেষ বাংলাদেশ , এখন শুরু বাংলাস্তান এই নিয়ে যারা নাচছেন তারা একটু পুথিগত চিন্তা বাদ দিয়ে প্রাক্টিক্যাল চিন্তা করুন ।
এই কয়েকদিন আগেই দেশে দেড়শ লোক মারা গেল । রাজশাহী , চাঁপাইনবাবগঞ্জ , দিনাজপুরের ফুলবাড়ি , নোয়াখালি , পাবনার ঈশ্বরদী ,কক্সবাজার , চট্টগ্রামে জামাতের লোকজন উগ্র । অন্য এলাকায় এদের মিছিল আরেকটা বিএনপি বা জামাতের মিছিলের মতই ।
আইনের মতে আপনি একজন কনভিক্টেড আসামীকেও গুলি চালাতে পারবেন , যদি সে পালাতে থাকে এবং সেটা হাঁটুর নিচে হতে হবে । সেখানে দেড়শ লোক কিভাবে মারা যায় ? পুলিশের উপর হামলা বা পুলিশের মারা যাওয়ার ঘটনা আমি মানি , তবে যেখানে এদের সংখ্যা দশজনের কম আর পুলিশের দাবিমতে আন্দোলনকারীরা গুলি চালিয়েছিল , সেখানে এটা পরিষ্কার ক্ষমতার রাস্তা পরিষ্কার করতে এটা সরকারের কাজ । আবার এখন প্রগতিবাদীদের সেই কথা , তাহলে বাপু ধর্ম নিয়ে প্রশ্ন কেন ?
প্রশ্ন এই জন্য যে , যখন পুলিশ মাথা ঠেকিয়ে একজন নিরস্ত্র লোককে জামাতের লোকের কথা বলে মেরে ফেলে তখন আপনারা থাকেন না , ভিডিও দেখেন না । দাড়িওলা লোক আর কমদামী বেশভূষা দেখলেই পুলিশ এদেরকে জামাতের লোক বলে ধরে নিয়ে যায় , তাদেরকে দেখে মাইরা ল মাইরা ল চিৎকার করেন । একজন সাধারণ মানুষ , যে কিনা ব্লগই চিনে না , তকে জামাতের লোকজন নাস্তিকের বিরুদ্ধে আন্দোলনে ডেকে নিয়ে যায় ।
আর রাজপথে পড়ে থাকে পুলিশের আত্মরক্ষার (?) নামে ছোড়া গুলিতে রক্তে রঞ্জিত লাশ । মিছিল করলেই বুকে গুলি করতে হবে একেমন কথা ? এই জিনিসকে যদি আপনি একাত্তরের রাজাকারদের বিরুদ্ধে অভিযানের সাথে মিলিয়ে দেন , তবে বলতে চাই , আমাদের ভবিষ্যত অন্ধকার । এদেশের অধিকাংশ লোকই গরীব ,ধর্ম অধিকাংশের বেচে থাকার প্রথম সম্বল । এদেরকে সহজেই উত্তেজিত করা যায় , তাদেরকে ইচ্ছামত গুলি করে আন্দোলন দমন করা আসলেই উচিত নয় । আর অনেকেই সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের প্রশ্ন তুলেন , তারা কি আওয়ামী লিগ নেতাদের শহীদ মিনার ভাঙ্গা বা হিন্দুদের ঘরবাড়ি পুড়ানোর সময় ধরা খাওয়ার বিষয়টি দেখেন নি ? তদন্ত ছাড়াই আড়াল থেকে পাঞ্জাবী আর টুপি দেখে বানিয়ে দিলেন জামাতে লোক ? একজন জামাতের লোকের শেষ ভুল হবে হিন্দুদের মন্দির বাসা ভেঙ্গে নিজেদের পতনের শেষ রাস্তা তৈরী করা ।
আওয়ামী বা বিএনপির লোকজনকে কোন অভিযোগে ধরা হলে আপনারা প্রোপোগান্ডা বলে চালিয়ে দেন । আর দাড়ি টুপি থাকলেই শিবিরের লোক কেন চালিয়ে দেন ?
এভাবে নির্যাতনের শিকার হয়ে অবশেষে নিজেদের শেষ আশ্রয় হিসেবে এই মঞ্চকে বেছে নিয়েছে দেশের ইসলামী জনতা । এদের তের দফার অধিকাংশ দাবীর সাথে আমি একমত নই এবং এদের বিশাল জনতার মাঝে কিছু জামাতের লোকজন ঢুকে পড়াই বেশি স্বাভাবিক । তের দফা দাবি পূরণ করা এদের চিরন্তন দাবি , এই দাবি পূরণ হবে তারাও জানে । কিন্ত দাড়ি - টুপি থাকলেই মারা যাবে , শিবির বলে হয়রানি এমনকি হত্যাও করা যাবে সরকারকে এমন বিকৃ্ত মনমানসিকতা থেকে সরিয়ে আনার জন্য এই আন্দোলন ।
যারা টাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন , নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন এত বড় বিশ্ব ইজতেমা কিভাবে অর্থের যোগান পায় ? এই আন্দোলনকে যারা জামাত শিবির বলে চালাতে চান , তারা জেনে রাখুন এটার ভিত্তি হল কওমি মাদ্রাসা , যা্রা মাদ্রাসা বোর্ডের সিলেবাস মানে না বরং দেওবন্দ মাদ্রাসার অনুকরণে কুরআন , তাফসীর , হাদীস এগুলো নিয়ে পড়াশুনা । এদের জামাত শিবিরের সাথে সাপে নেউলে সম্পর্ক । তবে সরকারের হয়রানি এদেরকে বাধ্য করেছে মাঠে নামতে । এরা রাজনীতি চায় না , চায় নিজেদের নিরুদ্রুপ জীবনের অধিকার ।
এরকম মৌলবাদী আন্দোলন গ্রহণযোগ্য নয় ।
কখনো কি এদেরকে মূল ধারার ভিতরে আনার চেষ্টা করেছেন ? সাহায্যতো দূরে থাক , প্রগতিবাদীরা নরমাল মাদ্রাসার সাথে কওমি মাদ্রাসার পার্থক্যই বুঝেন না বরং নিজেদের উষ্মা প্রকাশেই ব্যস্ত । দশ লাখ লোকের সম্মেলনে এক নারী সাংবাদিকের উপর হামলা নিয়েই তারা উত্তেজিত । এটা আসলে আমাদের কাজ । এদেরকে নয় , সমস্ত বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে এক লাইনে আনতে হবে । খামাখা যারা এদের বিরুদ্ধে হামলা করে মানসিক তৃপ্তি নিতে চান , তারা এই গরিব অসহায় শিশুগুলির জন্য যারা এই মাদ্রাসায় বড় হয় , তাদের জন্য কি করেছেন প্রশ্ন করুন ।
৭ ব্লগার গ্রেফতার
ব্লগার গ্রেফতারের বিষয়টি রহস্যজনক । আমি নিজে এক আসিফ মহিউদ্দীনের ব্লগ ছাড়া কারোর ব্লগ পড়িনি । তিনি ইসলামের বিরুদ্ধে অনেক কিছুই লিখেছেন । বাকি তিনজন এর লেখা নিয়ে কিছুই জামি না । লিঙ্ক দিলে উপকৃ্ত হব ।
তবে কোন সতর্কবাণী ছাড়া এভাবে হুট করে ধরাটা উচিত হয়নি ,যতই তারা ধর্মের বিরুদ্ধে লিখুক না কেন । আর একই সাথে বাশের কেল্লা টাইপের পেজ বা নাস্তিকতার বিরুদ্ধে প্রতিহিংসা নিয়ে জঘন্য ভাষায় যারা লেখেন , তাদেরও গ্রেফতার করা উচিত বলে আমি মনে করি
পরিশেষে একটাই কথা বলব , এ সরকারের ধর্ম নিয়ে রাজনীতির , বিএনপির জামাতপ্রীতির আর জামাতের ইসলামের ভন্ড ছদ্মবেশ থেকে দূরে সরে আসুন । যেই দলই সমর্থন করুন না কেন , সব দলীয় মদদপুষ্ট পেপার বা টিভির চেয়ে নিজের নৈতিক ভিত্তি শক্তিশালী করতে চেষ্টা করুন । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।