আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

Ministers pledge, ministries forget Happy-go-lucky admin! মন্ত্রীদের প্রতিশ্রুতির সঠিক হিসাব মিলছে না

A majority of the ministries have allegedly not recorded the pledges made by their ministers in the House during these three and a half years of the government’s five-year tenure, leaving a gap between the word and the work. According to a paper prepared by the finance ministry’s Implementation Monitoring and Evaluation Department (IMED), 27 of the 50 ministries and divisions have not found their ministers giving any assurance when the House was in session. Again, most of the pledges made by 21 ministers in parliament are yet to be implemented. Experts say such apathetic attitude of ministries is tantamount to undermining the parliamentary form of government. Prof. Ali Ashraf, chairman of parliament’s committee on Government Assurances, told daily sun that he does not believe the ministers did not give lawmakers any assurance in three years and a half. “Is it believable that none of these ministers has committed anything in the House in the last three and a half years?” he posed a question about such a hiatus. Ashraf, who took over the charge of the eight-member government assurances committee two months ago from Fazle Rabbi Miah, asked the IMED to press the ministries to find out the missing assurances given by their ministers. “Possibly, the ministries have not recorded the assurances,” he said, adding that he would make the committee functional to make the ministries accountable. The IMED paper—a copy of which is available to daily sun—says 21 ministries and divisions made 352 assurances in the ninth parliament. But only 56 of them have been implemented while 259 are yet to materialise and there have been no measures taken to implement 37. Meanwhile, the home ministry, which earlier said its minister had not given any assurance, sent a paper to the government assurances committee saying the home minister made 126 commitments in six of the 12 sessions of the Awami League-led ninth parliament. An investigation by daily sun has found that the commerce minister made 14 pledges in the first session of the House (from 25 January 2009 to 7 March 2009). The ministry has, however, denied this finding. According to the rules of procedure of parliament and the rules of businesses for public servants, every ministry and division is supposed to assign a counsel officer for watching parliament sessions and recording assurances given by the ministers concerned. The ministries and divisions must maintain their own registers of these assurances and a deputy secretary will examine the registers every month and remind the ministers of their pledges for implementation. Parliament Secretariat officials told daily sun that, in many cases, counsel officers do not come to parliament, let alone record the ministers’ commitments. “This is most unfortunate for democracy that ministries do not record the pledges made by their ministers in the House. “By doing so the ministries have actually demonstrated that parliament has no value to them,” said Prof. Nizam Uddin Ahmed, author of several books on Bangladesh parliamentary democracy. The ministries and divisions that claim to have no assurances given by their ministers are: home ministry, Law and Justice Division, Planning Division, religious affairs ministry, commerce ministry, Parliament Secretariat, fisheries and livestock ministry, Economic Relations Division, defence ministry, science and technology ministry, social welfare ministry, Internal Resources Division, Finance Division, Chittagong hill tracts affairs ministry, women and children affairs ministry, Election Commission Secretariat, Energy and Mineral Resources Division, land ministry, cultural affairs ministry, Disaster Management and Relief Division, foreign ministry, labour and employment ministry, Bank and Financial Institutions Division, Food Division, Statistics Division, information and communication technology ministry, and Implementation Monitoring and Evaluation Division. Click This Link জাতীয় সংসদে দেওয়া মন্ত্রীদের প্রতিশ্রুতির সঠিক হিসাব মিলছে না। সরকারের তিন বছরের বেশি সময় পার হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট সংসদীয় কমিটি মন্ত্রণালয়গুলোর কাছে প্রতিশ্রুতি এবং এর বাস্তবায়নের অগ্রগতির হিসাব চেয়েছে। বেশির ভাগ মন্ত্রণালয় বলছে, তাদের মন্ত্রী কোনো প্রতিশ্রুতি দেননি। মন্ত্রণালয়গুলোর এ বক্তব্যে সংসদীয় কমিটি সন্তুষ্ট নয়। সংসদীয় কমিটিতে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) পাঠানো তথ্যে বলা হয়েছে, মাত্র ২০টি মন্ত্রণালয়/বিভাগ সংসদে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

তবে তিনটি মন্ত্রণালয় এখনো হিসাব জমা দেয়নি। বাকি ২৭টি মন্ত্রণালয়/বিভাগের কোনো প্রতিশ্রুতি নেই। প্রতিশ্রুতিবিষয়ক সংসদীয় কমিটি মনে করছে, তিন বছর ধরে কমিটির তদারকি না থাকায় মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা মন্ত্রীদের প্রতিশ্রুতির হিসাব সঠিকভাবে সংরক্ষণ করেননি। এ কারণে এখন বেশির ভাগ মন্ত্রণালয় দায় এড়ানোর জন্য বলছে, তাদের প্রতিশ্রুতি নেই। কমিটির সুপারিশে আইএমইডি আবারও মন্ত্রণালয়গুলোকে তাগিদ দিয়ে চিঠি দিয়েছে।

এতে সপ্তম এবং অষ্টম সংসদের প্রতিশ্রুতির হিসাবও চাওয়া হয়েছে বলে আইএমইডি সূত্র জানায়। এ বিষয়ে আইএমইডির সচিব মো. মোজাম্মেল হক প্রথম আলোকে বলেন, অতীতে সংসদীয় কমিটি কখনো আইএমইডির কাছে প্রতিশ্রুতির হিসাব চায়নি; যে কারণে আইএমইডিও মন্ত্রণালয়ের কাছে হিসাব চায়নি। এবার কমিটি থেকে হিসাব চাওয়া হয়েছে। তাই আইএমইডি মন্ত্রণালয়/বিভাগগুলোকে হিসাব দেওয়ার জন্য চিঠি দিয়েছে। বিধিতে যা আছে: সংসদের কার্যপ্রণালি বিধির ৮৯ ধারায় বলা আছে, সংসদে মন্ত্রীর দেওয়া অঙ্গীকারের কতখানি বাস্তবায়িত হয়েছে, তা পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়া প্রতিশ্রুতি-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির কাজ।

সচিবালয় নির্দেশিকার ২১৫ ও ২১৮ ধারায় বলা আছে, প্রতিটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ একজন করে কাউন্সিল অফিসার ও কাউন্সিল সহকারী নিয়োগ দেবে। সংসদের প্রশ্নের জবাব তৈরি করা এবং প্রতিশ্রুতির হিসাব সংসদে পাঠানোর দায়িত্ব কাউন্সিল অফিসারের। প্রশ্নের জবাব দেওয়া এবং মন্ত্রীর দেওয়া প্রতিশ্রুতি সংরক্ষণের জন্য মন্ত্রণালয় একটি নিবন্ধন বই সংরক্ষণ করবে। প্রতিশ্রুতি কার্যকর হচ্ছে কি না, তা একজন উপসচিব প্রতি মাসে পরীক্ষা করে দেখবেন। কিন্তু সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, কাউন্সিল অফিসাররা সংসদে নিয়মিত আসেন না।

বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, কাউন্সিল অফিসারের জন্য আলাদা কোনো পদ নেই। কাউন্সিল অফিসারের বাড়তি দায়িত্ব পালন করা একাধিক কর্মকর্তা বলেন, নিয়মিত কাজের পাশাপাশি এ দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তাঁদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। সংসদীয় কমিটির সভাপতি আলী আশরাফ প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রতিশ্রুতি কমিটির দায়িত্ব নির্বাহী বিভাগের জবাবদিহি আদায় করা। কিন্তু অতীতে কমিটি সেই দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। এ বিষয়ে আইএমইডি বা মন্ত্রণালয় সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেনি।

এখন কমিটি মন্ত্রণালয়গুলোর কাছে হিসাব চেয়েছে। কেউ দিয়েছে, কেউ দেবে, কেউ বলছে, তাদের মন্ত্রী কোনো প্রতিশ্রুতিই দেননি। আমরা হিসাব মেলানোর চেষ্টা করছি। ’ এত দিন হিসাব চাওয়া হয়নি: নবম সংসদের শুরুতে ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ফজলে রাব্বি মিয়াকে সভাপতি করে সংসদের প্রতিশ্রুতিবিষয়ক কমিটি গঠন করা হয়। চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি (দ্বাদশ অধিবেশন) কমিটি পুনর্গঠন করে এই কমিটির সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয় আলী আশরাফকে।

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, ফজলে রাব্বি মিয়া দায়িত্বে থাকা অবস্থায় কমিটির ১৮টি বৈঠক হয়। কিন্তু ওই সব বৈঠকে মন্ত্রীদের প্রতিশ্রুতির হিসাব এবং বাস্তবায়নের অগ্রগতি সম্পর্কে মন্ত্রণালয়ের কাছে কোনো হিসাব চাওয়া হয়নি। আলী আশরাফ দায়িত্ব নেওয়ার পর ১৯তম বৈঠকে কমিটি এ-সংক্রান্ত হিসাব চেয়ে আইএমইডিকে চিঠি দেয়। তাঁদের কোনো প্রতিশ্রুতিই নেই!: প্রথম দফায় ৪৯টি মন্ত্রণালয়/বিভাগের কাছ থেকে আইএমইডি যে হিসাব পেয়েছে, তা সংসদীয় কমিটির ২৪তম বৈঠকে উপস্থাপন করা হয়। এতে দেখা গেছে, ২৭টি মন্ত্রণালয়/বিভাগের মন্ত্রীরা সংসদে কোনো প্রতিশ্রুতি দেননি।

এগুলো হলো: পরিকল্পনা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ধর্ম মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, জাতীয় সংসদ সচিবালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ, অর্থ বিভাগ, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, ভূমি মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ বিভাগ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, আইন ও বিচার বিভাগ, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, খাদ্য বিভাগ, পরিসংখ্যান বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ। ১৯টি মন্ত্রণালয়/বিভাগ তাদের প্রতিশ্রুতি আছে বলে জানিয়েছে। এগুলো হলো: কৃষি, বস্ত্র ও পাট, স্বাস্থ্য ও পরিবার, জনপ্রশাসন, নৌপরিবহন, শিল্প, যুব ও ক্রীড়া, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা, প্রবাসীকল্যাণ, স্থানীয় সরকার, পরিবেশ ও বন, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়, পানিসম্পদ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ, বিদ্যুৎ বিভাগ, বেসামরিক বিমান, সেতু বিভাগ এবং সড়ক বিভাগ। কমিটি সূত্র জানায়, প্রথম দফায় প্রতিশ্রুতি নেই বলে জানালেও দ্বিতীয় দফা চিঠি পাওয়ার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ১২৬টি প্রতিশ্রুতির তালিকা পাঠানো হয়েছে। কমিটি আশা করছে, একইভাবে অন্য কয়েকটি মন্ত্রণালয়/বিভাগ থেকেও কিছু প্রতিশ্রুতির হিসাব পাওয়া যাবে।

শিক্ষা, রেলপথ এবং মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় এখনো কোনো হিসাব পাঠায়নি। আইএমইডির প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, সর্বাধিক প্রতিশ্রুতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের। আর সবচেয়ে কম প্রতিশ্রুতি দিয়েছে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়। এই মন্ত্রণালয়ের প্রতিশ্রুতি মাত্র একটি। এ ছাড়া পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ দুটি, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এবং সেতু বিভাগ তিনটি করে এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সাতটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

বাস্তবায়িত প্রতিশ্রুতি ৫৬টি: সংসদীয় কমিটিতে উত্থাপিত হিসাব অনুযায়ী ২০টি মন্ত্রণালয়ের (স্বরাষ্ট্রসহ) প্রতিশ্রুতির সংখ্যা ৫০৬টি। এর মধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে মাত্র ৫৬টি। বাকি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নাধীন আছে কিংবা বাস্তবায়নে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। Click This Link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।