নাস্তিক,ভাদা,পাদা,ছাগু সব অপশক্তিকে সুতীব্র গদাম কোস্টারিকার এই বাড়িটি সেই দেশের প্রায় সকলের কাছেই পরিচিত । বাড়িটির কোস্টারিকান নাম "Tumuroue Yusintap" যার ইংলিশ অর্থ "শান্তির ঘুম" ! ইতিহাস থেকে জানা যায় ১৬ শতকে এই বাড়িকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠে নানারকম শয়তানের পুজা এবং ডাইনি চর্চা । বাড়ির মালিক এডওয়ার্ড গঞ্জাল্ভেজ ছিলেন একজন সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তি । কিন্তু দীর্ঘদিন সন্তান না হবার কারণে সে শেষপর্যন্ত নিজেকে শয়তানের কাছে সোপর্দ করে দেয় । বিনিময়ে শয়তান তাকে বাচ্চা দেয় (লোকমুখে প্রচলিত) !
ঘটনা ঘটতে শুরু করে এরপর থেকেই ।
এডওয়ার্ডের বাচ্চাটি ছিলো একটি মেয়ে সন্তান । নাম রাখা হয় রোজা । মেয়েটি জন্মানোর পর থেকেই নাকি এলাকায় মানুষ হারানোর সংখ্যা বেড়ে যায় । গায়েব হওয়া মানুষদের লাশ পাওয়া যেতো কয়েকদিন পর । কিন্তু গায়ে এক বিন্দু রক্ত থাকতো না ।
কেউ যেন চুষে খেয়ে ছিবড়ে বানিয়ে ফেলে রাখতো মানুষগুলোকে ।
একসময় এলাকায় মানুষ কমতে শুরু করলো । মেয়েটি ততদিনে ১২ বছরের কিশোরী । বাসা থেকে বের হতো না সে । তবে মাঝে মাঝে বাড়ির বারান্দায় তাকে দেখা যেতো হাঁটাহাঁটি করতে ।
কথিত আছে, যারাই তাকে দেখত তারা একনজরেই তার প্রেমে পড়ে যেতো । এক মায়াবী আকর্ষণ ছিলো চেহারায় । কিন্তু সেই সাথে একটা অভিশাপও যেন নেমে আসতো মানুষগুলোর উপর । মেয়েটিকে দেখার কয়েকদিনের মধ্যেই তারা গায়েব হয়ে যেতো । পড়ে খুঁজে পাওয়া যেতো মৃত ।
গায়ে রক্তের বিন্দুমাত্র নেই ।
মানুষের মাঝে ক্ষোভ বাড়তে থাকে । মেয়েটাকে ডাইনি রুপে চিহ্নিত করা হয় । একদিন এডওয়ার্ডের বাসায় ঢুকে তার সামনে মেয়েটিকে ধরে বেঁধে নিয়ে আসে জনগণ । শহরে লক্ষাধিক মানুষের উপস্থিতিতে ক্রুশে হাত পা বেঁধে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয় গায়ে ।
এডওয়ার্ড জনগনের দ্বারা আহত হয় এবং পড়ে মেয়ের মৃত্যুর খবর শুনে মারা যায় । শহরে মানুষ হারানো আক্ষরিক অর্থেই বন্ধ হয়ে যায় । মানুষ ফিরে আসতে থাকে তাদের পুরনো বাসস্থানে ।
কাহিনী এখানেই শেষ হলে ভালো হতো । কিন্তু তা হয় নি ।
বছর দশেক পরে এলাকায় আবার আগের মতন মানুষ হারানো শুরু করে । বলে রাখা ভালো এডওয়ার্ডের মৃত্যুর পর এই বাসাটি পরিতাক্ত অবস্থায় পরে ছিলো এই দীর্ঘ দশ বছর । এবার মানুষগুলো হারিয়ে গেলেও তাদের আর পাওয়া যেতো না । এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বাসা বাধতে শুরু করে । সবাই বলে রোজার আত্মা ফিরে এসেছে ।
একবার দিনের বেলা হাজারখানেক মানুষ মিলে এই বাড়িতে অভিযান চালায় । সেখানে তারা সেলারে খুঁজে পায় হারানো সব মানুষগুলোর গলিত লাশ । স্তূপ হয়ে পড়ে ছিলো । পাশেই শয়তানের পুজা দেয়ার সব রকমের সরঞ্জাম ।
এরপরের ঘটনা খুব ছোট ।
বাড়িটিতে মঙ্ক (তখনকার দিনের পুরোহিত) ডেকে বন্ধ করে দেয়া হয় । বিশাল আকৃতির (প্রত্যেকটা ১৭ কেজি) পেরেক গেঁথে দেয়া হয় বাড়ির চারপাশে । মোট ৮ টি পেরেক গাঁথা হয় । পেরেকগুলো গাঁথার সময় নাকি প্রতিবার হাতুড়ির (পাথর দিয়ে বড় আকারের একটা হাতুড়ি বানানো হয়েছিলো বিশাল পেরেকগুলো ঢুকাতে) বারি দেয়ার সাথে সাথে বাড়ি থেকে চিৎকারের শব্দ পাওয়া যাচ্ছিলো এবং সেই সাথে সাথে বাড়ির গা বেয়ে নেমে আসছিলো রক্তের ধারা । মানুষ ভয়ে ছুটাছুটি শুরু করে ।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত সফলভাবেই বেঁধে দেয়া হয় বাড়িটি । কথিত আছে, এই পেরেকগুলো যদি কোনোদিন সরিয়ে ফেলা হয় তবে আবারো নাকি রোজার আত্মা ফেরত আসবে বাড়িটিতে !
। । ভূতুড়ে গল্প । ।
থেকে নেওয়া
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।