নামটা আমার লম্বা বটে তবে কখা বলি শর্টকার্ট কারণ, তাহাইতো হইবার কথা ছিল। আমি পূর্ব হইতেই ইএসপিএন, স্টার স্পোর্টস প্রভৃতি চ্যানেলে প্রচারিত প্রমোশনাল এবং গতকালের ফাইনালে ইংল্যান্ডের পরাজয়ের ধরণ দেখিয়া খুব সহজেই বুঝিয়া লইয়াছিলাম যে, পুরা আয়োজনটাই ভারতকে চ্যাম্পিয়ান করার জন্য সাজানো হইয়াছিল।
আপনারাও হয়ত দেখিয়া থাকিবেন যে, টুর্নামেন্ট প্রমোগুলোতে সবদিক দিয়াই ভারতকে হাইলাইট্স করা হইতেছিল। গেল বিশ্বকাপের মত সবদলের সমান ঝলক ছিল না সেইখানে।
ইহা ছাড়াও স্টার স্পোর্টস, স্টার ক্রিকেট এবং ইএসপিএনে একটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার খেলাসমূহের ধারাভাষ্য এমনকি স্কোরলাইনও হিন্দিতে প্রেজেন্ট করা হইল কাহার স্বার্থে? ইহাতে কি প্রতিয়মান হয়না সবই সাজানো? ইহাতো কোনও দেশের ঘরোয়া টুর্নামেন্ট নয়।
বিশেষ করিয়া ক্রিকেট-জুয়ার তীর্থভূমি ভারতের ক্রিকেটকে ফিক্সিং-এর কালিমামুক্ত করার জন্য আইসিসি নিজেরাই যে পুরা টুর্নামেন্টটা ফিক্স করিয়া রাখেনাই তাহা কে বলিবে? কারণ আইসিসির পুরা ফান্ডের ৭০% ভাগ অর্থ আসে ভারত থেকে। তাহা ছাড়া এতসব অপরাধের পরেও শিকারিদের (জুয়াড়ি) কিছুই হয়না, শাস্তি হইতেছে কেবল শিকারদের
( খেলোয়াড়দের), কেন?
পুরা টুর্নামেন্টটাতেই তাই বাংলাদেশকে চরম মিস করিয়াছিলাম।
এই সময়টা দালাল লোটা কামালদের পরিকল্পিত ষঢ়যন্ত্রের কোপানলে পড়িয়া বাংলাদেশের ক্রিকেটের ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা।
তাহার পরও ইহাই প্রমাণ হইয়াছে যে, আমাদের সাকিব-তামিম-মুশফিক-নাসির-মাশরাফিরা ছাড়া ভারতকে সাইজ করিবার মত কোনও মরদ নাই।
তাহাদের কথিত শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন কেবল টাইগারদের বোলিংয়েই ধসিয়া পড়ে আর সব খুচরা বোলারদের অসহায়ত্বটা বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের সামনেই ফুটিয়া উঠে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।