ইদানীং ঢাকা মহানগর পরিবহনে নিয়োজিত কাউন্টারভিত্তিক বাস সার্ভিসে ছাপানো টিকিটের মূল্যের ওপর সিল লাগিয়ে বাড়তি ভাড়া আদায়ের প্রবণতা বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আবার অনেক কোম্পানির বাস টিকেটের ওপর বাড়তি ভাড়ার সিল না লাগিয়ে ভিন্ন উপায়ে অর্থাত্ বেশি মূল্যমানের বাড়তি দূরত্ব ও গন্তব্যের ছাপানো টিকেট দিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। যাত্রী ঠকাতে তারা সকাল-বিকাল, পিক-অফপিক আওয়ার, আপ-ডাউন ইত্যাদি অজুহাতে এসব অপকৌশল বেশি প্রয়োগ করে। এসব বাসে বিআরটিএ নির্ধারিত সর্বনিম্ন ভাড়ার টিকেট বিক্রি করা হয় না বা কার্যকর করা হয় না। বরং বিভিন্ন্ন অপকৌশলের মাধ্যমে এমনকি চার-পাঁচ কিলোমিটার দূরতের ভাড়া কমপক্ষে ১৫-১৮ টাকা পর্যন্ত যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করছে। এছাড়া সম্প্রতি কিছু কোম্পানির নগর পরিবহন সার্ভিসের দু’-দরজা বিশিষ্ট বড় বাসের পেছনের দরজাটি অজ্ঞাত কারণে মালিকপক্ষের সিদ্ধান্তে একতরফাভাবে হঠাত্ করে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সিটিং বাসের ক্ষেত্রে একটি দরজা খোলা থাকলে কারো আপত্তি থাকার কথা নয়। কিন্তু দু’-দরজা বিশিষ্ট বড় বাসে গাদাগাদি করে দাঁড়ানো যাত্রী তোলা সত্ত্বেও একটিমাত্র দরজা খোলা রেখে তা দিয়ে ভিড় ঠেলে ওঠা-নামা করা বিশেষ করে মহিলা ও বয়স্কযাত্রীদের কতখানি কষ্ট ও বিড়ম্বনার তা কেবল ভুক্তভোগীরাই জানেন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।