আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হুমায়ুন আহমেদে'র "দেয়াল"কে নিখুঁত করার লক্ষ্যে রুল জারি করায় মহামান্য হাইকোর্ট'কে আন্তরিক ধন্যবাদ!!!

অভিলাসী মন চন্দ্রে না পাক, জোছনায় পাক সামান্য ঠাই হুমায়ুন আহমেদের "দেয়াল" বইটিকে আমাদের এ্যাটর্নী জেনেরাল প্রকাশনা'র পূর্বেই মহামান্য আদালতে তুলেছেন! বইয়ে বর্ণিত বঙ্গবন্ধু'র পরিবারসহ হত্যা'র ঘটনায় শেখ রাসেলের মৃত্যু'র দৃশ্য এবং খন্দকার মোশতাকের সংশ্লিষ্টতা সম্পর্কিত বিষয়ে তথ্য সংশোধনের আগ পর্যন্ত বইটির প্রকাশনা স্থগিত করতে বলা হয়েছে। খুব ভাল উদ্যোগ। বইটির জন্য, বইটির শুদ্ধতা প্রমানের জন্য, সমালোচকদের থোতা-মুখ- ভোতা করে দেয়ার জন্য এরচেয়ে ভাল কিছু হতে পারতো না!!! সামু ব্লগে আমার সর্বশেষ পোস্টেও আমি তথ্য যাচাই ও সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেছিলাম। স্পর্ষকাতর বিষয়সমুহে হুমায়ুন আহমেদের মত একজন লেখকের বইতে কোন রকমের ভুল কাম্য নয়। কিন্তু লেখকের শারিরীক এবং প্রকাশনা সংস্থা বা জড়িত লোকজনের পারিপার্শিক অবস্থা যেহেতু জানি না তাই বইটি ভালমত যাচাই ছাড়া বের হবার ভয়ও ছিল।

এখন আর তা নেই। কারন, বইটি'র সকল তথ্য এবার সর্বোচ্চ সতর্কতার সাথেই যাচাই করা হবে। লক্ষ্যনীয় বিষয় হলো, এখন আর বইটি প্রকাশের পর বিতর্কের সুযোগ থাকবে না! কারন, বইটি সর্বোচ্চ অথরিটিগুলোর কাছ থেকে যাচাই হয়েই বাজারে আসবে। সুতরাং এ নিয়ে পরবর্তীতে ইতিহাস বিকৃতি'র কোন অভিযোগ টিকবে না। আর একটা বিষয় হলো, আদালতে শুধু শেখ রাসেলকে হত্যা'র চিত্র এবং খন্দকার মোশতাকের সংশ্লিষ্টতা সম্পর্কেই প্রশ্ন উঠেছে, অন্য কোন বিষয়ে নয়।

কিন্তু কিছু বেয়াদব ব্লগারের করা অভিযোগ আমল পায় নাই। এর মধ্যেই প্রতীয়মান হয় যে, ব্লগস্ফিয়ারে যেসব অভিযোগ উঠেছিল সেগুলো আদৌ ধর্তব্য নয়। আমি আগেই বলেছিলাম, এই বইয়ের মূল্যায়নে ব্লগ ও ব্লগারদের মতামতের উপর নির্ভর করার কোন কারন বা যৌক্তিকতা নাই, দেশের প্রতিষ্ঠিত ব্যাক্তিত্ব এবং প্রতিষ্ঠানের প্রতিক্রিয়াই একমাত্র গ্রহনযোগ্য! তাই, এখন পুরো বিষয়টার ফরমাল প্রসিডিউরের ভেতর ঢুকে যাওয়ায় হুমায়ুন আহমেদের ভক্ত এবং হুমায়ুন প্রভাবিত ৮০'র দশকের সন্তান হিসেবে খুবই ভাল লাগছে। আপনারা কেউ দয়া করে কোর্টের এই অর্ডারকে নেতিবাচক চোখে দেখবেন না। লেখক এবং তার লেখা সমাজেরই অংশ, এবং কোর্ট সামাজিক প্রতিষ্ঠান সুতরাং এদের মাঝে যোগাযোগ হওয়াটাই স্বাভাবিক ও কাম্য।

হুমায়ুন আহমেদ কোন সমাজবিরোধী লেখক নয়, সুতরাং কোর্টের সাথে তার কোন ভুলবোঝাবুঝি হবার কারন নেই। এই ঘটনার পর, একটা কথা আবারো তার সত্যতা যাচাই করলো, যে, "ভাল মানুষ চাইলেও খারাপ কাজ করতে পারে না, খারাপ মানুষ চাইলেও ভাল কাজ করতে পারে না!!! ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।