আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কোরআনের ভাষাগত সৌন্দর্য:পর্ব ৬- সুনিদ্দিস্ট শব্দ/কথা/বাণী/উক্তি সিলেকশন- সূরা ফীল ১০৫: আয়াত নং ১

we need to read and understand the order given to us the QUR'AN and spread the TRUE message of ISLAM , The love for your fellow human, the respect for WOMEN, making world a Better Place أَلَمْ تَرَ كَيْفَ فَعَلَ رَبُّكَ بِأَصْحَابِ الْفِيلِ আলাম তারা কাইফা ফা'আলা রাব্বুকা বি-আস-হাবি ল ফিল। (সূরা ফীল ১০৫: আয়াত নং ১) [হে মুহাম্মদ (সঃ)] আপনি কি দেখেননি আপনার পালনকর্তা হস্তীবাহিনীর [সহচারী /সঙ্গী/সহচর/সাথী/ দোসর দের]সাথে কিরূপ ব্যবহার করেছেন? Have you not seen , [O Muhammad], how your Lord dealt with the companions of the elephant ? বাংলাতে অনুবাদ দেখলে দেখবেন দেয়া আছে হস্তীবাহিনীর সাথে আসলে হবে হাতীর সহচর দের সাথে এজন্যই আরবীতেই কোরআন এত অর্থপুর্ন কারন একটু অনুবাদের হের ফেরের জন্য আমরা অসল সৌন্দর্য হতে বন্চিত হই। আস-হাব-আল ফিল: আল্লাহ বলেননি হাতির রব বা মালিক (স্বত্বাধিকারী/অধিকারী ব্যক্তি বা অধিপতি/মালিক) তিনি বলেন আস-হাব মানে সহচারী /সঙ্গী/সহচর/সাথী/ দোসর। সাহিব শব্দ দিয়ে উক্তি বা বাক্য দুভাবে বলা যায় যেমন আপনি তাদের মত যারা আপনার বন্ধু/সহচারী /সঙ্গী/সহচর/সাথী/ সঙ্গিনী /দোসর। তাই প্রথমত ১- আল্লাহ সেই লোকদের বলেন আসহাব আল ফিল মানে হাতির বন্ধু/সহচারী /সঙ্গী/সহচর/সাথী/ দোসর।

আল্লাহ তাদের মানহানি/অপমান করছেন মর্যাদাহানি করেন তাদের কে হাতির সাথে তুলনা করে, সেই লোকদর কে জীব জন্তুর সাথে তুলনা মানুষ হিসেবে গন্য করেন নি তাদের কর্মের জন্য তাদের নীতি/ আচরণ ও তাদের শিষ্টাচার ও বিচারশক্তি ও প্রজ্ঞা/মেধা/বুদ্ধিবৃত্তি জন্য। দ্বিতীয়ত: যখনই দুই ব্যক্তির মাঝে অংশীদার/সহচারী বুঝায় তখন বলা হয় লিল আদওানহু ইন্দাহু সাহিব উল আলা- ক্ষুদ্রতর যে সে ঊর্ধ্বতন/ বড় যে তার সহচর/সাথী/ দোসর যদি দুই ব্যক্তির মাঝে তুলনা হয় তখন যার দক্ষতা বেশি বা গুণ বেশি তখন অণ্য জনকে বলাহয় তার সহচর/সাথী/ দোসর, যেমন আল্লাহর রাসুল আমাদের মহানবী (সঃ) সাহাবাদের থেকে ঊর্ধ্বতন তার গুণ তার নীতি/ আচরণ ও শিষ্টাচার, বিচারশক্তি ও প্রজ্ঞা/ মেধা/বুদ্ধিবৃত্তি জন্য। তাই রাসুল (সঃ) এর সাথে যারা থাকতেন তাদের বলা হয় সাহাবা কিন্তু মহানবীকে কখনো সাহাবিদের সাহাবি বা সাহাবিদের সহচর/সাথী/ দোসর বলা হয় না। তাই সেই আবরাহার আর্মির লোকদের আল্লাহ বলেন হাতীর সহচারী /সঙ্গী/সহচর/সাথী/দোসর। এটা এমন যে আল্লাহ পরোক্ষভাবে প্রকাশ করছেন সেই হাতী গুলো আবরাহার আর্মির লোকদের থেকেও ঊর্ধ্বতন/ বড় মর্যাদার দিক থেকে।

তাই তারা হাতীর সহচর যেখানে হাতী তাদের থেকে ঊর্ধ্বতন/ বড় তাদের কর্মের জন্য। আল্লাহ সূরা আল আ’রাফ ৭: আয়াত নং: ১৭৯ এ বলেন: وَلَقَدْ ذَرَأْنَا لِجَهَنَّمَ كَثِيرًا مِّنَ الْجِنِّ وَالإِنسِ لَهُمْ قُلُوبٌ لاَّ يَفْقَهُونَ بِهَا وَلَهُمْ أَعْيُنٌ لاَّ يُبْصِرُونَ بِهَا وَلَهُمْ آذَانٌ لاَّ يَسْمَعُونَ بِهَا أُوْلَـئِكَ كَالأَنْعَامِ بَلْ هُمْ أَضَلُّ أُوْلَـئِكَ هُمُ الْغَافِلُونَ আর আমি সৃষ্টি করেছি দোযখের জন্য বহু জ্বিন ও মানুষ। তাদের অন্তর রয়েছে, তার দ্বারা বিবেচনা করে না, তাদের চোখ রয়েছে, তার দ্বারা দেখে না, আর তাদের কান রয়েছে, তার দ্বারা শোনে না। তারা চতুষ্পদ জন্তুর মত; বরং তাদের চেয়েও নিকৃষ্টতর। তারাই হল গাফেল, শৈথিল্যপরায়ণ।

পুর্বের পর্ব সমুহ: কোরআনের ভাষাগত সৌন্দর্য:পর্ব:৫/ সূরা ইয়াসীন ৩৬ আয়াত:৪০ Click This Link কোরআনের ভাষাগত সৌন্দর্য:পর্ব ৪/ সূরা আল মুদ্দাসসির আয়াত:৩ Click This Link কোরআনের ভাষাগত সৌন্দর্য:পর্ব ৩ সূরা বনী ইসরাঈল আয়াত ২৩-২৪ ইসলামে পিতা মাতার অধিকার Click This Link কোরআনের ভাষাগত সৌন্দর্য:পর্ব: ২ :- নিশ্চই আমি মানুষকে কষ্ট সহ্য কারী/পরিশ্রমি রূপে সৃষ্টি করেছি। Click This Link কোরআনের ভাষাগত সৌন্দর্য-১: সুরা বাকারা ২ আয়াত ১৪৩ Click This Link ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ২৯ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।