আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যৌন নিপীড়ন প্রতিবাদী এক যুবক ও একটি ঘটনা নিয়ে ইউল্যাবের নামে অপপ্রচার

চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের 'চন্দ্রাহত হিমু' নামে এক ভাই লিখেছে, "পুরাতন কথা মনে পরে গেলো................... “ শুটকীর বাজারে বিড়াল চৌকিদার” ইউল্যাব কর্তৃপক্ষের কাছে সুষ্ঠ তদন্ত আশা করা সমীচিন হবে না................. তদন্ত কমিটি মানে ঘটনার ধামাচাপা............... মানবতার আবার অপমৃত্যু। ইউ ল্যাবের স্টুডেন্ট মার্কেটে মার্কেটে ক্লাস করে আর ভালো কী শিখবে ???? যেমন চাষা তেমনি তার বলদ........" সামহোয়্যার ইন ব্লগে একজন লিখেছে, "বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় এ পড়ে নোংরামী ছাড়া কি শিখবে? কারো জানা আছে?" অন্য একজন লিখেছেন, "ইউল্যাব এর মেয়ে দের ও ভদ্রতা শেখা টা জরুরী,লিবারেল আর্টস খুব বেশি লিবারেল হয়ে গেসে এই ভারসিটির ছেলে মেয়ে দের জন্য। " " এ রকম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রত্যেক শিক্ষার্থী হল এক একটা ক্লাইন্ট। এরাই তাদের ভাত জোগায়। কাজেই তাদের অন্যায় কে প্রশ্রয় দেয়াও এই প্রতিষ্ঠানের নৈতিক দায়িত্ব।

" .................................................................................................................. আমি বুঝি না বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে কেন অপপ্রচার হচ্ছে? এসব বিশ্ববিদ্যালয় থাকার কারণে আমরা কিছু শিখতে পারছি। সরকারি কয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন পড়াশুনায় হয়? সেখানকার ইভ-টিজিং এর ঘটনা তো প্রকাশ করা হয় না। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইভ-টিজিং, খুন নিত্তদিনের ব্যাপার। আর চুয়েট এর ছেলেটাকে বলছি...গত এক বছরে চুয়েটে ৩ টা খুন হয়েছে। একটারও বিচার হয়নাই।

কয়েকদিন আগে জাবিতে ছাত্ররা শিক্ষকদের বেদম পিটিয়েছে। আর, মার্কেটে ক্লাস করার কথা বললেন... আপনার অবগতির জন্য বলছি, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক সুন্দর দুইটা ক্যাম্পাস আছে ধানমন্ডিতে। যারা ওইরাতে একটা আপুকে অপমান করেছে, তারা অপরাধি। এর দায় কেন ইউল্যাব নেবে? ইউল্যাবে তো ছাত্রদের ইভ-টিজিং শেখানো হয়না। সবার কথা শুনে মনে হচ্ছে আমার ভার্সিটিতে ইভটিজিং নামে কোন কোর্স চালু আছে, আর আমরা ধানমন্ডির রাস্তাঘাটে সেই কোর্সের প্র্যাকটিকাল ক্লাস করি।

আমি বুজলাম না কয়েকজন দুস্কৃতকারীর করা অপরাধের দায়িত্ব কেন পুরো ভার্সিটি নিবে? কোন ভার্সিটি তাদের ছাত্রদের ইভটিজিং করতে শেখায় না, কোন ভার্সিটির সকল ছাত্র ইভটিজার হতে পারেনা। ইভটিজিং আমাদের দেশের একটি সামাজিক সমস্যা, এমন ইভটিজাররা তাদের কালো মন নিয়ে আমাদের আশেপাশেই থাকে। একটা ঘটনা আলোতে এসেছে বলে সেটা নিয়ে পুরো একটা ইন্সটিটিউটকে দায়ী করা এবং সেই বিদ্যায়তনের সকল ছাত্রকে ঢালাওভাবে দোষী করা কোনভাবেই যুক্তিযুক্ত হতে পারেনা। এইসব ব্লগপোস্ট, স্ট্যাটাস আর কমেন্ট এর মাধ্যমে সবাই আবার প্রমান করল, বাঙালি হুজুগে জাতি। ইউল্যাব এর একজন গর্বিত ছাত্র হিসাবে আমি আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে অপপ্রচার চালানোর প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

১৫ ই মে ২০১২ একটু আগে দেখলাম... প্রথম আলো এই অপপ্রচারে যোগ দিয়েছে। তারা ওই ঘটনার জন্য পরোক্ষ ভাবে ইউল্যাবকে দায়ী করছে... ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।