আমার লেখা পড়ে.................. গত কয়েক বছরে আমাদের নাভিশ্বাস তুলে দিয়েছে রাজনৈতক নেতারা । আমাদের বলতে আমি বোঝাতে চেয়েছি যারা আমরা শুধূ মাত্র বাংলাদেশী , তাদেরকে । যারা শুধূ আওয়মী লীগ/বি.এন.পি হয়ে গেছেন এখন আর বাংলাদেশী নাই তাদের কথা বলছি না ।
শুধূ আওয়মী লীগ/বি.এন.পি চিনার উপায় : - এরা নিজ নিজ দলের কোন ধরনের সমলোচনা সহ্য করতে পারেন না । যৌক্তিক কথার বিপরীতেও এরা গালিগালাজ করে উত্তর দিবেন ।
যুক্তির পরিবর্তে পাল্টা যুক্তি এরা দেন না, পাল্টা যুক্তি খুজে পাননা বলেই হয়তোবা । এদের কাছে সবার উপরে আওয়মী লীগ/বি.এন.পি, বাংলাদেশ নয় । এরা গায়ের জোরে সব করতে চান । ভাগ্যভাল যে এ নালায়েকদের সংখ্যা খুব বেশী নয় । যদিও এরা খুব সরব ।
এদেরও এক ভোট, বাংলাদেশীদেরও এক ভোট । ভোটের দিনতো আর গালিগালাজ চলে না । তাই সরকার পরিবর্তন হয় ।
এদের দল প্রিতীর নমুনা :-
#১৯৯৬ সালের খালেদা জিয়ার নির্বাচন এদের কাছে বৈধ । # শেখ হাসিনার বঙ্গভবন নিজেদের পৈত্রিক সম্পতি হিসাবে লিখে নেওয়া এদের দৃষ্টিতে সঠিক কাজ ।
# বেগম জিয়া কোন ধরণের জঙ্গীবাদকে উৎসাহিত করেননি, জঙ্গী বলে কিছু নেই এরা গায়ের জোরে মানাতে চান । # শেখ হাসিনা ও তার পরিবার কোন অন্যায় করলে তার বিচার হবে না এ ধরণের একটি কাজ শেখ হাসিনা আগের সরকারের সময় করতে চেয়েছিলেন, এদের দৃষ্টিতে সেটা খুবই যুক্তিযুক্ত কাজ ...... ইত্যাদি ইত্যাদি ।
আসল কথা :-
খুনের রাজনিতী শুরু করেছিল বিগত জোট সরকার, আর বর্তমান সরকারের সময় শুরু হয়েছে গুম । ইলিয়াস আলী গুম হওয়া নিয়ে চারদিকে একটা ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে , েসচেতন পাঠক মাত্রই জানেন । দু’দলই ওহী মারফত বিভিন্ন খবর পাচ্ছেন ও সে সব বাণী আমাদের কর্ণে দয়া করে ঢুকিয়ে দিচ্ছেন ।
আমরা সালাদিয়া হোটেলের চা বিক্রি বৃদ্ধি করছি তাদের বাণীর আলোচনায় ।
ইলীয়াস আলীর গুম হওয়া কোন ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না । সরকারেরই দায় মানুষের নিরাপত্তা দেওয়া । সরকার সব জায়গার মত এখানেও চরমভাবে ব্যার্থ । যতই দিন যাচ্ছে ইলিয়াস আলী ফিরে আসার সম্ভবনা তত কমছে ।
ইলীয়াস আলীর গুমের প্রতিবাদে এ পর্যন্ত মারা গেলেন প্রায় ৫ জন মানুষ । এদের ভিতর যে সবাই হরতালের সময় পিকেটিং করতে যেয়ে মারা গেছেন ব্যাপার তা না, একজন বাস ড্রাইভার বাসের ভিতর ঘুমিয়ে ছিলেন, হরতাল সমর্থনকারীরা বাসের ভিতরেই ঘুমন্ত অবস্থায় তাকে পুড়িয়ে মেরেছে । মানুষকে ভয় ভিতী দেখিয়ে হরতাল পালন, আন্দোলন চাঙ্গা ইত্যাদি আসলে কতটা সফল হয়, যদি মানুষ মনে মনে রেগেই থাকে ? তাহলে হরতাল সফল বলে আত্নতৃপ্তি পাওয়ার জায়গাটা কোথায় ? রাজনৈতিক দলগুলো কি এটা বুঝে না ? তারা অবশ্যই বোঝে, তাহলে তারা এসব করেন কেন , এর উত্তর আমি পাই নি ।
আমাদের দেশে মিছিল মিটিং খুব একটা কাজে আসছে না ইদানীং , হরতাল তাই শক্ত একটা প্রতিবাদের ভাষা । কিন্তু জোর করে হরতাল পালনে বাধ্য করা শেষ পর্যন্ত ফল ভাল হয় না ।
মানুষ ক্ষেপে উঠে । হরতালের বিকল্প কি হতে পারে? কিছুকি আছে? কিন্তু আওয়মী লীগ/বি.এন.পি সে পথে কি যাবে ? অবশ্যই যাবেনা । কারণ এত তাদের কষ্ট হবে। তারা কেন কষ্ট করবে ? তারা আমাদের কষ্ট দিবে, । হরতালের পক্ষে তারা নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মারবেন, হরতাল করতে যেয়ে গুলি খেয়ে মরবে অন্যের সন্তান (তাদের নিজেদের সন্তানরা সব পড়ালেখা/বসবাস করেন বিদেশে ।
ডাট্রি বাংলাদেশে কি পড়াশোনা হয়? এত জ্যামজটের ভিতর মানুষ বাস করতে পারে? তাই...........) । যত কষ্ট আছে করবো আমরা বেকুব/পিপল/পিপলস ।
হরতালের বিকল্প হতে পারে “অনশন” কর্মসূচী । ইলিয়াস আলীর গুমের প্রতিবাদে বি.এন.পি যদি আমরণ অনশনে যেতেন নিঃসন্দেহে ইলিয়াস আলীর গুমের প্রতিবাদের আন্দলোন আরো চাঙ্গা হতো । কিছু মানুষ দিনের পর দিন একটা অন্যায়ের প্রতিবাদে না খেয়ে আছে এটা দেখে সাধারণ মানুষের আবেগ নাড়া খেত ।
তাদের অনেকেই যোগ দিতেন এ অনশনে । উদাহরণ স্বরুপ বলা যায় জাবি’র ছাত্রলীগ মার্কা উপাচার্যের পদত্যাগ-এর প্রতিবাদের কথা । বিদেশী চাপও বাড়তো । সরকারের মহান মন্ত্রীরা যত বাণীই দিত না কেন তাতে কোন কাজই হতো না । সরকার চাইলেও বি.এন.পি নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে বোমা হামলার মামলা করতে পারতো না ।
কিন্তু না খেয়ে থাকার এই কষ্টটা কি নেতারা করবেন ? অনশন কিন্তু অন্যের পুত্র কন্যাদের দিয়ে করানো যাবে না । তাদের সাথে নেতাদেরও থাকতে হবে !
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।