আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বেরলুসকোনির সাত বছরের কারাদণ্ড

অর্থের বিনিময়ে অপ্রাপ্তবয়স্ক যৌনকর্মীর সঙ্গে সম্পর্ক ও ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে ইতালির সাবেক প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বেরলুসকোনিকে সাত বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন মিলানের একটি আদালত। একই সঙ্গে সরকারি কর্মকাণ্ড থেকে তাঁকে আজীবন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার আইএএনএসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
মামলার এ রায়ের বিরুদ্ধে বেরলুসকোনি দুবার আপিল করার সুযোগ পাবেন। এতে কয়েক মাস বা বছরও লেগে যেতে পারে।

তাই আপিলে হেরে যাওয়ার আগপর্যন্ত তাঁকে কোনো সাজা ভোগ করতে হবে না।
খবরে জানানো হয়, ২০১০ সালে যৌনকর্মী কারিমা এল-মাহরুগের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য মোটা অঙ্কের টাকা দেন বেরলুসকোনি। তখন কারিমার বয়স ছিল ১৭ বছর।
বেরলুসকোনি ও কারিমা এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। আদালতে দেওয়া কারিমার ভাষ্য, এটা সত্য যে তাঁকে সাত হাজার ইউরো (সাত লাখ ১৫ হাজার ২৩৯ টাকা) দেওয়া হয়েছিল।

তবে বেরলুসকোনির অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার উপহার হিসেবে তাঁকে ওই টাকা দেওয়া হয়।
বেরলুসকোনির বিরুদ্ধে এ অভিযোগের ভিত্তিতে ২০১১ সালের জুলাই মাসে মামলার বিচারকাজ শুরু হয়। বিচার চলাকালে সরকারি কৌঁসুলিরা অভিযোগ করেন, বেরলুসকোনি তাঁর ব্যক্তিগত বাড়িতে পার্টির আয়োজন করে এতে নারীদের নিমন্ত্রণ করতেন। এর আড়ালে তিনি মূলত যৌনাকাঙ্ক্ষা মেটাতেন।
এ ছাড়া বেরলুসকোনির বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগও আনা হয়।

অভিযোগে বলা হয়, বেরলুসকোনি ক্ষমতায় থাকার সময় কারিমাকে অন্য একটি ঘটনায় পুলিশ গ্রেপ্তার করলে তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য তিনি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
বেরলুসকোনির বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি অভিযোগে মামলা চলছে। এর মধ্যে ২০১২ সালে কর ফাঁকি দেওয়ার মামলায় তাঁকে চার বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। ।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।