www.sagor.co.nr ঠিকানায় ক্লিক করে জেনে নিন আমার তথ্য। প্রায়ই দেখি সবাই স্মার্টফোন চায়। কিন্তু আইফোন নিবে নাকি স্যামসাং/এইচটিসি/সনি-র মতো অ্যান্ড্রু ডিভাইস নিবে, এই দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যায়। নকিয়া-র পক্ষেও সাপোর্ট কম নয়। আমি মোটামুটি সবগুলোই ব্যবহার করেছি।
এছাড়াও ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে সামনাসামনি এগুলোর বাস্তব অভিজ্ঞতা গ্রহণ করেছি।
Android এর সুবিধা:-
১. ৪,৫০,০০০ এর উপর অ্যাপস্। এর বেশিরভাগই ফ্রি।
২. সব অপারেটর-ইইই সাপোর্ট করে। কান্ট্রি লক ভাঙ্গার প্রয়োজন পড়ে না।
৩. সুবিধার কথা বলে শেষ করা যাবে না। তবে বেশিরভাগ সুবিধা-অসুবিধা নির্ভর করে হ্যান্ডসেটের কনফিগারেশনের উপর।
Android এর অসুবিধা:-
১. ব্যাটারি একটু বেশিইইই খায়। তবে প্রয়োজন ব্যতিত ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপস্ যত কম চালাবেন, ব্যাটারি তত বেশি বাঁচবে।
২. আস্তে আস্তে স্লো হয়।
এর-ও সমাধান আছে। ১০-১৫ দিন পর-পর ফোনের ক্যাশ মেমোরি ক্লিক করে রিস্টার্ট দিলে আবার আগের অবস্থায় চলে আসে। এজন্য আমি রেকমেন্ডেড করি "1-click cleaner" by "OPDA team"।
৩. ইন্টারনেট সেট করা না থাকলে সব সুবিধা উপভোগ করা যায় না। অন্তত 1GB/month প্যাকেজ নিতেই হবে।
iOS এর সুবিধা:-
১. সহজে হ্যাং হয় না। বেশিরভাগ অ্যাপস চলে স্মুথলি।
২. More than 28 million songs worldwide, 1,000,000+ podcasts (USA), 40,000+ music videos (USA), 3,000+ TV shows (USA), 20,000+ audiobooks (USA), 2,500+ movies (USA), 300,000+ App Store Apps
৩. এটারও সুবিধার কথা বলে শেষ করা যাবে না। তবে অ্যান্ড্রুর তুলনায় একটু কম।
iOS এর অসুবিধা:-
১. বেশিরভাগ অ্যাপস্ পেইড।
এমনকি গান পর্যন্ত। অনেক দাম দিয়ে কেনার পরেও আবারও টাকা খরচা করতে হবে। ক্র্যাক অবশ্য করা যায়; কিন্তু পরে আবার আপডেট মারতে গেলে অনেক ঝামেলা হয়।
২. সব অপারেটর সাপোর্ট নাও করতে পারে। বেশিরভাগেরই কান্ট্রি কোড লক করা থাকে।
৩. একটাই যেহেতু ব্র্যান্ড, ক্যামেরা-সহ অন্যান্য আনুসঙ্গিক হার্ডওয়্যার-এর পারফরমেন্স একটু দুর্বল।
Symbian:-
এই মুহুর্তে (২০১১-২০১২) Nokia's Simbian OS যুক্ত সেট (e.g. Nokia N8 etc.) আর স্মার্টফোনের পর্যায়ে পড়ে না। বিশেষ করে অ্যান্ড্রু এবং আইওএসের সাথে এই সিম্বিয়ানকে মেলানো চরম বোকামী হবে। অনেক আগে (২০০৮ এর আগে), যখন স্মার্টফোনে এতো বৈচিত্র ছিলনা, তখন সিম্বিয়ানের সাথে মেলানো যেত।
Windows Mobile:-
এটা কিছুটা নতুন হলেও এখনও খুব একটা জনপ্রিয় নয়।
অ্যাপস্-ও অনেক কম। তবে মাইক্রোসফট্ বলে কথা। কিছুদিন পর-পরই চমক দেখাচ্ছে। ব্যক্তিগতভাবে, আমার কাছে এটা এখনও ব্যবহারবান্ধব নয়। Windows কে অ্যান্ড্রুর সমপর্যায়ে আসতে আরও অনেকদূর এগিয়ে আসতে হবে।
হয়তো বা সামনে উঠেও আসতে পারে।
Other OS:-
১. BadaOS খারাপ না। আস্তে আস্তে এর অ্যাপস্ বাড়ছে। যদিও এখন কিছু সীমাবদ্ধতা আছে; তবে আমার কাছে এটা উইন্ডোজ মোবাইল/সিম্বিয়ান এর চেয়েও অনেক-অনেকগুণ ভাল।
২. PalmOS টা দেশে খুব একটা প্রচলিত না।
৩. Blackberry RimOS. এটা করপোরেট ইউজারদের জন্যই বেশি মানানসই। যদিও মাল্টিমিডিয়া ইন্টিগ্রেশনটা খারাপ না। তবে ইমেইল, ইন্সটেন্ট মেসেজিং, ডকুমেন্ট ইন্টিগ্রশন এর জন্য বেস্ট। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।