আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মান্যতার কাছে সঞ্জয়ের ‘জেলখানার চিঠি’

এই জেলখানার চিঠি ঠিক কবিতা নয়, নয় তুরস্কের কবি নাজিম হিকমতের লেখাও; অস্ত্র মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত ‘খলনায়ক’ তারকা সঞ্জয় দত্ত প্রতিদিন স্ত্রী মান্যতা দত্তকে চিঠি লিখছেন। মান্যতাও প্রিয় মানুষের প্রতিটি চিঠির জবাব দিচ্ছেন, প্রতিদিনই।
মুম্বাইয়ের পালি হিল এলাকায় নার্গিস দত্ত রোডের ইমপেরিয়াল হাইটস অ্যাপার্টমেন্টের ১১ তলায় সপরিবারে বাস করতেন সঞ্জয়। তাঁর পরিবারের সবাই সেখানে থাকলেও অতীতের কৃতকর্মের দায়ে সঞ্জয়ের ঠিকানা এখন পুনের ইয়েরাওয়াড়া কারাগার।
মুম্বাই থেকে পুনের দূরত্ব প্রায় দেড় শ কিলোমিটার।

কাজেই ইচ্ছে থাকলেও মান্যতার পক্ষে ঘন ঘন সেখানে গিয়ে সঞ্জয়ের সঙ্গে দেখা করা সম্ভব নয়। তার পরও এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকবার কারাবন্দী স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে পুনে ছুটে গেছেন মান্যতা। সম্প্রতি এক খবরে এমনটিই জানিয়েছে জিনিউজ।
পরিবারের সবার কাছ থেকে অনেক দূরে থাকলেও সঞ্জয়ের মন পড়ে আছে তাঁদের কাছে। সব সময় তাঁদের খোঁজ-খবর নিচ্ছেন তিনি।

আর যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে তিনি বেছে নিয়েছেন চিঠি। প্রতিদিন স্ত্রীর কাছে চিঠি লিখে পরিবারের সর্বশেষ খবরটি জেনে নিচ্ছেন।
চিঠির মাধ্যমে যমজ ছেলে-মেয়ে শরণ ও ইকরার খবর জানতেই বেশি আগ্রহী সঞ্জয়। এ জন্য মান্যতা সবার আগে সন্তানদের কথাই জানিয়ে দেন চিঠিতে। বাড়ির অন্যান্য খুঁটিনাটি বিষয়ও ঠাঁই পায় মান্যতার চিঠিতে।


কেবল পারিবারিক বিষয় নয়, কাজসংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়েও চিঠি চালাচালি করছেন সঞ্জয়-মান্যতা। সঞ্জয় দত্ত প্রোডাকশনস প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যানারে নির্মিতব্য ছবির সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত চিঠি লিখে জানিয়ে দিচ্ছেন মান্যতা।
১৯৮৭ সালে সঞ্জয় দত্ত প্রথম বিয়ে করেছিলেন বলিউডের অভিনেত্রী রিচা শর্মাকে। ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হয়ে ১৯৯৬ সালে নিউইয়র্কে মৃত্যুবরণ করেন রিচা শর্মা। প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর দুই বছর পর মডেল রিয়া পিল্লাইকে বিয়ে করেন সঞ্জয়।

কিন্তু ২০০৫ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। রিয়ার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর সঞ্জয় তৃতীয়বারের মতো বিয়ে করেন ২০০৮ সালে। দুই বছর চুটিয়ে প্রেম করার পর গোয়ায় ঘরোয়া এক অনুষ্ঠানে দিল নেওয়াজ শেখ ওরফে মান্যতা দত্তের সঙ্গে বিয়ে হয় সঞ্জয়ের। ২০১০ সালে বর্তমান স্ত্রী মান্যতার কাছ থেকে যমজ সন্তান উপহার পান সঞ্জয়।
নিঃসন্দেহে বলিউডের ইতিহাসে সবচেয়ে বিতর্কিত তারকা সঞ্জয় দত্ত।

মাদকাসক্তি, অবৈধ মাদক বহন, কুখ্যাত সন্ত্রাসীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা, ১৯৯৩ সালে মুম্বাইয়ের ভয়াবহ সিরিজ বোমা হামলার সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ থেকে শুরু করে বাড়িতে অবৈধ অস্ত্র রাখার মতো গুরুতর অপরাধে জড়িয়ে ব্যাপক আলোচিত ও সমালোচিত হয়েছেন ৫৩ বছর বয়সী এ অভিনেতা। বাড়িতে অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে ২০ বছর আগের এক মামলায় গত ২১ মার্চ সঞ্জয়কে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন ভারতের সর্বোচ্চ আদালত। এই মামলায় আগে দেড় বছর সাজা খাটায় আর সাড়ে তিন বছর জেলের ঘানি টানতে হবে সঞ্জয়কে।
আদালতের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা অনুযায়ী গত ১৬ মে আত্মসমর্পণ করেন ‘মুন্নাভাই’ তারকা সঞ্জয়। প্রথমে তাঁকে মুম্বাইয়ের আর্থার রোড কারাগারে রাখা হয়েছিল।

পরে সেখান থেকে পুনের ইয়েরাওয়ারা কারাগারে স্থানান্তরিত হন তিনি। এখন সেখানেই আছেন সঞ্জয়। কারাগারের ভেতর কাগজের ফাইল তৈরির কাজ পেয়েছেন এ তারকা অভিনেতা। প্রতিদিন তাঁর মজুরি হচ্ছে মাত্র ২৫ ভারতীয় রুপি। ।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.