আই হেট ছাগু ভণিতা না করে সোজাসুজি বলিঃ
এই পোষ্টে বিশ্ব কাপানো সবচেয়ে দামী দশটা গাড়ী সম্পর্কে আলোচনা করার চেষ্টা করছিঃ
দশ নাম্বার থেকে কাউন্টডাউন শুরু করা হলঃ
১০) Aston Martin V12 Vanquish
এই গাড়ীটা ব্রিটিশ কার ডিজাইনার Ian Callum এর ডিজাইন করা।
এই গাড়ীটা সর্বপ্রথম "জেনেভা মোটর শো" ২০০১ এ প্রদর্শন করা হয়।
২০০১ এর জুন থেকে এটি বানিজ্যিক ভাবে বাজারজাত করা হয়।
২০০৪ এর সেপ্টেম্বরে Vanquish S মডেল বাজারে নামানো হয়।
২০০৭ এর জুলাই থেকে DBS মডেল বাজার দাপিয়ে চলছে।
এই গাড়ীটা জেমস বন্ড মুভি Die Another Day তে জেমস বন্ড এর অফিসিয়াল গাড়ী হিসেবে দেখানো হয়। আর এতেই গাড়ীটা তুমুল জনপ্রিয় হয়ে যায়।
যদিও DBS মডেলটাই এখন সবচেয়ে বেশী জনপ্রিয়।
টপস্পিডঃ ১৯০ মাইল/ঘন্টা বা ৩০৭ কি.মি./ঘন্টা (প্রায়)
বেস প্রাইজঃ $২,৫৫,০০০ বা ৳২,০৪,০০,০০০/=
[ ১ডলার = ৳ ৮০ হিসেবে ]
৯) Lamborghini Aventador LP700-4
Lamborghini Murciélago কে রিপ্লেস করে এই গাড়ী সর্বপ্রথম ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০১১তে "জেনেভা মোটর শো" তে প্রদর্শন করা হয়।
এই গাড়ী ডিজাইন করেন Filippo Perini. গাড়ীর এসেম্বল কারখানা ইটালীতে অবস্থিত।
টপস্পিডঃ ২১৭ মাইল/ঘন্টা বা ৩৫০ কি.মি./ঘন্টা (প্রায়)
ফুয়েল মাইলেজঃ ১৪ মাইল/ ১ ইউএস গ্যালন বা ১০০কি.মি/১৭লি.
বেস প্রাইজঃ $৩,৭৯,৭০০ বা ৳৩,০৩,৭৬,০০০
[ ১ডলার = ৳ ৮০ হিসেবে ]
৮) Rolls-Royce Phantom Drophead Coupé
রোলস রয়েস এর এই মডেলটা হাতে তৈরী ব্রিটিশ কনভার্টেবল রোলস রয়েস। ৭ই জানুয়ারি ২০০৭ এ মিশিগানের (ডেট্রয়েট) North American International Auto Show তে এই গাড়ী প্রথম প্রদর্শিত হয়। রোলস রয়েস মূলত আভিজাত্যের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
এই মডেলে স্টীল,কালার এবং কাঠের দ্বারা ইন্টেরিয়র ডিজাইন করা হয়েছে।
বেস প্রাইজঃ $৪,৪৩,০০০ বা ৳৩,৫৪,৪০,০০০
[ ১ডলার = ৳ ৮০ হিসেবে ]
৭) Mercedes-Benz SLR McLaren
১৯৫৫ সালের Mercedes-Benz 300 SLR Uhlenhaut থেকে অনুপ্রানিত হয়ে এই গাড়ী তৈরী করা হয়।
মার্সিডিজ ও ম্যাকলারেন গ্রুপ যৌথভাবে এ গাড়ী তৈরী করে।
[ ম্যাকলারেন গ্রুপ এর ৪০% শেয়ার এর মালিক মার্সিডিজ বেঞ্জ]
সর্বোচ্চ স্পীডঃ ৩৩৪ কি.মি./ঘন্টা (প্রায়)
ফুয়েল মাইলেজঃ ১০০ কি.মি/১৪.৮ লি.
বেস প্রাইজঃ $৪,৫০,০০০ বা ৳৩,৬০,০০,০০০
[ ১ডলার = ৳ ৮০ হিসেবে ]
৬) Porsche Carrera GT
Sports Car International এর Top Sports Cars of the 2000s এর লিষ্টে নাম্বার ওয়ানে ছিল Porsche Carrera GT.
সর্বোচ্চ স্পীডঃ ২০১.৫ মাইল/ঘন্টা বা ৩২৪.৩ কিমি/ঘন্টা (প্রায়)
বেস প্রাইজঃ $৪,৮৪,০০০ বা ৳৩,৮৭,২০,০০০
৫) Koenigsegg CCX
Koenigsegg CCR কে রিপ্লেস করে এই ডিজাইন তৈরী করা হয়। ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০০৬ এর "জেনেভা মোটর শো"তে এই মডেল প্রথম প্রদর্শন করা হয়। এই গাড়ীটা সুইডিশ ডিজাইনার Sven-Harry Åkesson ডিজাইন করেন।
সর্বোচ্চ স্পীডঃ ২৪৫ মাইল/ঘন্টা বা ৩৯৫ কি.মি / ঘন্টা (প্রায়)
বেস প্রাইজঃ $৬,০০,৯১০ বা ৳৪,৮০,৭২,৮০০
[ ১ডলার = ৳ ৮০ হিসেবে ]
৪) Pagani Zonda R
২০০৭ এর "জেনেভা মোটর শো"তে এই গাড়ী প্রথম প্রদর্শন করা হয়।
সর্বোচ্চ স্পীডঃ ৩৫০ কি.মি/ঘন্টা (প্রায়)
বেস প্রাইজঃ $৭,৪১,০০০ বা ৳৫,৯২,৮০,০০০
[ ১ডলার = ৳ ৮০ হিসেবে ]
৩) Maybach 62 Landaulet (2011)
আভিজাত্যের প্রতীক আরেকটি গাড়ী Maybach 62 Landaulet.
৬১২ হর্সপাওয়ারের এই গাড়ী প্রথমবার নভেম্বর ২০০৭ এ Middle East International Auto Show তে প্রদর্শন করা হয়। জানুয়ারি ২০০৮ থেকে এই গাড়ী বাজারে আসলেও এটি খুব স্বল্পসংখ্যকই তৈরী হয়েছে।
বেস প্রাইজঃ $১৩,৫০,০০০ বা ৳১০,৮০,০০,০০০
[ ১ডলার = ৳ ৮০ হিসেবে ]
২) Ferrari enzo FXX Evoluzione
ফেরারির এই গাড়ী পূর্বের enzo সিরিজ থেকে ডেভেলপ করা। সুপারফাষ্ট এই গাড়ী এ যাবৎ মাত্র ৩০ টি তৈরী হয়েছে, যার মধ্যে ২৯ টিই ফেরারির নির্বাচিত পুরোনো গ্রাহকের কাছে বিক্রি করা হয়েছে। অন্যটি স্পেসাল ভাবে তৈরী, ফেরারির এফ ওয়ান রেসার মাইকেল শুমাখার ২০০৬ সালে যখন অবসর নেন তখন তাকে উপহার হিসেবে দেয়া হয়।
সর্বোচ্চ স্পীডঃ ২৪৯ মাইল/ঘন্টা বা ৪০০ কি.মি/ঘন্টা (প্রায়)
বেস প্রাইজঃ $২,১,০০,০০০ বা ৳১৬,৮০,০০,০০০
[ ১ডলার = ৳ ৮০ হিসেবে ]
১)Bugatti Veyron Super Sport
চেক-স্লোভাকিয়ার অটোমোবাইল ডিজাইনার Jozef Kabaň এই বিখ্যাত গাড়ীটির ডিজাইন করেন। ১০০১ মেট্রিক হর্স পাওয়ারের এই গাড়ীটাই বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে দামী গাড়ী।
২০১০ এর আগষ্টে "Pebble Beach Concours d'Elegance" তে এই গাড়ী সর্বপ্রথম জন-সাধারনের মাঝে প্রদর্শন করা হয়।
সর্বোচ্চ স্পীডঃ
২৬৭.৮৫৬ মাইল/ঘন্টা বা ৪৩১.০৭২ কি.মি/ঘন্টা
( ৪ জুলাই ২০১০ Bugatti এর অফিসিয়াল টেষ্ট ড্রাইভার Pierre Henri Raphanel Volkswagen এর Ehra-Lessien টেষ্ট ট্রাকে এই রেকর্ড স্থাপন করেন। )
তবে নিরাপত্তার জন্য বর্তমানে এই গাড়ীর স্পিড ২৫৮মাইল/ঘন্টা বা ৪১৫ কি.মি/ঘন্টায় নামিয়ে আনা হয়েছে।
বেস প্রাইজঃ $২৭,০০,০০০ বা ৳২১,৬০,০০,০০০
[ ১ডলার = ৳ ৮০ হিসেবে ]
এখানে দেয়া সকল গাড়ীর মূল্য দেশ/ডিলার কোম্পানি ভেদে পরিবর্তনশীল।
আপনি যদি বাংলাদেশে এই গাড়ী আনতে চান তবে বেস প্রাইজের সাথে ৮২১% ট্যাক্স দিতে হবে। এছাড়া আমদানি শুল্ক, বন্দর শুল্ক, রোড পারমিট, লাইসেন্স ইত্যাদি ঝামেলায় আরও টাকা খরচ হবে। এসব গাড়ী আমদানির ক্ষেত্রেও সরকারের উচু পর্যায় হতে পারমিশন নেয়া লাগবে।
তাই এত ঝামেলা না করে এই গাড়ী গুলো দেখতে পারেন।
উৎসর্গঃ গাড়ী সিন্ডিকেট
মুঠোকাব্যর কবি
আরজুপনি
ফয়সাল তূর্য ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।