অনুবাদ : ফখরুজ্জামান চৌধুরী
ছিলাম কেন নিশ্চুপ, নির্বাক এতোকাল।
যা ছিলো প্রকাশ্যে দৃশ্যমান
যুদ্ধের মহড়া, যার সমাপ্তিতে গুটিকয় বেঁচে থাকা
আমরা বড় জোর হয়ে যাবো পাদটীকার মতো নয় কি?
এটা না কি প্রথম আঘাত তথাকথিত অধিকার-অর্জিত
যা ইরানীদেরকে দেবে ধ্বংস করে
যাদেরকে শাসনে রেখেছে বড়গলা এক,
আর সাজানো গোছানো কুচকাওয়াজে জড়ো করে।
কেন না, একটি এটম বোমার হতে পারে সৃষ্টি
ক্ষমতার বলয়ের মাঝে।
তবু কেন আমার এই দোনোমনা ভাব
অন্য দেশটির নাম মুখে নিতে
যা বছরের পর বছর অতি গোপনে
বেড়ে উঠেছে পারমাণবিক শক্তি হয়ে
কোন রকম পর্যবেক্ষণ অথবা নিরীক্ষণ ছাড়া।
তাদের কি হয়েছে কোনো হিসেব নিকেশ?
এই যে জেনেও না জানার ভাব
তার কাছে নত আমারও নীরবতা;
যে কপটতার কারণে আমি কষ্ট পেয়েছি
যে মুহূর্তে হয়েছে, তা গোপনীয়তায় ঢাকা :
ইহুদিবিরোধী অপবাদ লেপন অতি সহজ।
কিন্তু এখন আমার দেশ যখন ক্রমাগত প্রশ্নের মুখে
তার কথিত অতীত অপরাধসমূহের জন্য
যে অপরাধের নেই কোন সীমা পরিসীমা
যাকে বলা হয়েছে সবকিছু থেকে সরে যাওয়া
(যা এখন বিপণনের সহজ উপায়
পুনঃনির্মাণের ছলছুতো ধরে)
আর একটি সাবমেরিন পারমাণবিক
বোমা সহজে বহন করতে পারে, তৈরি করা হয়
ইসরায়েলের জন্য। যেখানে এখনও হয়নি জানা
একটি আণবিক বোমা তৈরি হওয়ার কথা
অথচ সন্দেহাতীত অস্তিত্ব যার, ভয়ের অজুহাতে,
একমাত্র প্রমাণ। আমি বলবোই যা বলা দরকার।
তবু কেন এতোকাল ছিলাম নিশ্চুপ?
কারণ, আমি আমার নিজ-উৎসের কথা ভেবেছি।
অনপনেয় কলংকের কালিমা লিপ্ত
ইসরায়েল, যার অস্তিত্ব গ্রহণযোগ্য নয়,
অথচ এই দেশের সঙ্গে আমি থাকবো যুক্ত
প্রকাশ্যে স্বীকার করা সত্য-কথন।
এখন যখন আমি বয়সের ভারে নত
আর কলমের কতোই বা কালি বাকি আছে
বলি ইসরায়েলের আণবিক বোমা
ভঙ্গুর বিশ্বশান্তির প্রতি হুমকি স্বরূপ?
যে কথা বলতেই হবে বলতে হবে এখনই
আগামীকাল হয়ে যাবে অনেক দেরি,
আরও বেশি দরকার-জার্মানদের, দায় যার অনেক বেশি
অপরাধের হাতিয়ারের জোগানদাতা আমরা
স্পষ্টই দেখা যায় তা, আমাদের
এই যে অপরাধের যোগ দান
এতো সহজে পার পাবে না তা
সামান্য কথায় হবে না অপরাধ মোচন
কবুল করি সেই সত্য : আমি ভঙ্গ করলাম নীরবতা
পশ্চিমের শঠতায় আমি আজ অবসন্ন।
আশা আমার আছে, নীরবতার আবরণ ভেদ করে
অনেকেই সরব হয়ে উঠবে জেগে
বিচার দাবি করবে যারা এই অবস্থার জন্য দায়ী
যারা বিপদের খাদের কিনারায় এনেছে আমাদের
অস্ত্র-হাতিয়ারের বিরুদ্ধে আমরা সোচ্চার।
দাবি করি, ইরান ইসরায়েল এই দুই দেশ
উš§ুক্ত করুক নিজের অস্ত্রভাণ্ডার আন্তর্জাতিক
পর্যবেক্ষক দলের সামনে।
আর কোন পথ নেই খোলা
ইসরায়েল প্যালেস্টাইনের সামনে।
বছরের পর বছর শত্র“র ছায়ায়
বাস যারা করছে অলীক ধারণা নিয়ে
এবং যা শেষ বিচারে আমাদেরও করেছে বিপন্ন।
গার্ডিয়ান-এর অনুমোদিত ইংরেজি অনুবাদ। ইংরেজি অনুবাদক : ব্রেয়ন মিচেল।
তথ্যসূত্র-
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।