তখন আমি সেকেন্ড ইয়ারে পড়ি। একদিন দোকানে গেছি কাগজ-কলম কেনার জন্য। বুক শেলফে একটা বই দেখলাম। আলিফ লায়লা-বড়দের জন্য, রকিব হাসানের লেখা। বইটার ব্যাপারে আমার একটু অন্যরকম আগ্রহ ছিল।
অনেক ছোটবেলার কথা। ক্লাশ টু বা থ্রিতে পড়ি। নানার বাড়ি বেড়াতে গেছি। আমার বড়বোন ছিল বইয়ের পোকা। দেখা যেত আমরা সারাবাড়ি দৌড়াদৌড়ি করে বেড়াচ্ছি আর ও বইয়ে মুখ গুজে আছে।
দুনিয়াদারির কোন খোঁজ-খবর নাই।
ওই দিনও তাই হল। ঘরের এক কোণায় বইটা নিয়ে তন্ময় হয়ে বসে আছে। আমি দুই-তিনবার ডাকতে গেছি। ও আসে না।
জিজ্ঞেস করলাম, কি পড়িস?
ও বলল, তোকে বলা যাবে না। এটা বড়দের বই। তুই তো এখনও ছোট।
এক ফাঁকে নামটা দেখে নিলাম, আলিফ লায়লা.............
তো দোকানে বইটা দেখে একটু ইতস্তত করে কিনেই ফেললাম। বেশ মোটাসোটা, স্বাস্থ্যবান বই।
দুয়েকটা লাইন ছাড়া বড়দের মত হওয়ার কিছু দেখি নাই। তবে বইটা পড়ে হেভি মজা পেয়েছি। এক গল্পের ভিতর আরেক গল্প, এক কাহিনীর ভিতর আরেক কাহিনী। চুইংগামের মত লম্বা হতেই থাকে, হতেই থাকে। একটা কাহিনী শুরু করলে দশটা ঘুরে তারপর প্রথমটাতে আসা যায়।
একবার নিয়ে বসলে আর উঠতে ইচ্ছা করে না।
বহুতদিন পর এই মজাটা পেলাম ব্লগে ঢুকে। একবার একটা লেখা পড়তে শুরু করলেই হল। এক লেখা থেকে আরেক লেখা, এক ব্লগ থেকে আরেক ব্লগ, এক লিংক থেকে আরেক লিংক........এত লেখা এত লেখা............উফফফফফফ মাথাই নষ্ট.................
আলিফ লায়লার কাহিনী তো এক হাজার এক রাতে শেষ হয়েছিল, কিন্তু ব্লগের সব লেখা যে কবে পড়ে শেষ করতে পারবো আল্লাহই জানে!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।