আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সরল কথা রাজনিতি

মমমমমম অনেক কথা বলার আছে , সব কথা বলা যায়। আবার সব কথা বলা যায় না। আজ আমরা এমন এক সময় এ এসে উপস্থিত যে , আমরা আজ কথা বলতে ভুলে গেছি, দেখতে ভুলে গেছি , জ্ঞান বুদ্ধি হারিয়ে অথর্ব হয়ে যাচ্ছি। কোনটা সত্য কোনটা মিথ্যা তা নির্নয় করতে ভুলে গেছি। আমার ছোট মাথায় যা আসে আমি তাই আজ লিখব ।

আজ আমাদের দেশ কোন পথে চলছে তা এক মাত্র সৃষ্টিকর্তাই জানে । ১ আজকাল প্রত্রিকা দেখেলি মনটা বিষিয়ে ওঠে। কোনটা যে সত্যি এর কোনটা মিথ্যা তা বুঝতে পারা খুবই কঠিন। সরকার বলছে ইলিয়াস নিখোঁজ তাকে নাকি লিকিয়ে রাখা হয়েছে । কিন্তু গতকাল ডেইলি স্টার এ দেখলাম যে গুম করার সময় এক বস্তির ছেলে দেখেছে, তাহলে কেন র্যা ব বা পুলিশ কেন সেই ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে না কেন? অথবা মিডিয়ায় বা কেন তাকে সামনে আনছে না কেন? কিসের ভয়? ওই ছেলেও যদি গুম হয়ে যায়? সাংবাদিকতায় যদি এত ভয় থাকে তাহলে সত্য প্রকাশের দায়িত্য থেকে সরে এসে বাড়িতে চুড়ি পরে বসে থাকলেই হয়।

ভয় থাকায় স্বাভাবিক কারন সরকার যে ভাবে সাগর- রুনির হত্যা নিয়ে সিরিয়াল দেখাচ্ছে তাতে স্বাধীন সাংবাদিকতা এর সাহস কেউ দেখাতে চাইছে না । সবারই তো মা- বাবা ভাই, বোন আছে। দেশের একটা একটা মানুষ হারিয়ে যাচ্ছে আর আইন বাহিণি নাকি কিছু জানে না , সেটা কেমন কথা। মানুষ পাগল না , এখন সবাই বোঝে যে কোনটা ঠিক , সবাই আছে কবে ভোট হবে সে আশায়। বিরোধী দল সরকারকে কিছু না হক কিছুদিন সময় দিয়েছিল কি হল কিছুই হল না ।

সব ই নাটক। যেমন সাগর-রুনির ক্ষেত্রে হয়েছে ৪৮ ঘন্টা যেন ৪৮০ দিন হয়ে যচ্ছে। সরাষ্ট্র মন্ত্রীর কথা যে কতটা অসার তা প্রমান হয়ে গেছে অনেক আগেই। সে সব ব্যাপারেই বলে তদন্ত হচ্ছে হচ্ছে......কিন্তু ফলাফল শুন্য। এর মধ্যে আবার আফিম চা দিয়ে সাংবাদিকদের ঠান্ডা করে রেখেছে এর ফাকে তদন্ত হিমঘরে পাঠানর ব্যবস্থা চুড়ান্ত করা যায়।

তা না হলে মারা যাবার প্রায় ৮০ দিন পর মৃতদেহ তুলে ভিসেরা পরিক্ষা? কি বলবেন পাঠকগন? ২ আজ বিরধী দল হরতালের ঘোষনা দিল তারা বলছে যে তাদের সামনে নাকি উপায় নেই। উপায় থাকলেও তারা কিন্তু হরতালই করবে । তারা কি পারত না , কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে একদিন সবাই মিলে বসতে তাতে কিছু না হক মানুষ তাদের সাথে থাকত। তারা কি পারত না নিজেরা রাস্তায় শুয়ে পড়তে যেমন করেছেন বংগবীর। সাধারন মানুষ হরতালে কষ্ট পাই , তাদের কথা ভাবা উচিত ছিল।

অনেক ছেলে মেয়ে এবার এইচ এস সি পরিক্ষা দিতেছে তাদের কথা মাথায় রাখা উচিত ছিল। কেউ মনে রাখে না? এখন যিনি প্রধান মন্ত্রী যে একদা বলেছিল বিরোধী দলে গেলেও হরতাল দিব না , কিন্তু তিনিও কথা রাখতে পারেননি , তার দল বিরোধি দলে যেয়ে প্রায়১৮০ দিন হরতাল করেছে । এখন তাদের মুখে হরতাল প্রত্যাহার করে নেবার দাবি মানায় না। আজ কি প্রধান মন্ত্রী পারতেন না কোন আশার বানী শোনাতে যা হয়ত বিনপি কে হরতাল থেকে বিরত রাখতে পারত। তিনি অবশ্যই পারতেন ।

তিনি করলেন না কেন তিনিই ভাল জানেন । এটা হয়ত আমরা জানব অনেক বছর পর। এখন এমন এক সময় যে সবাই কে খুবই দায়িত্বশীল ভুমিকা পালন করা উচিত। কারো আজে বাজে মন্তব্য করা ঠিক না। হরতাল এ যেমন গাড়ি পোড়ান ঠিক না তেমন সরকারকেও নমনীয় হতে হবে।

মনে রাখতে হবে মানুষকে জেলে ভরে , পুলিশদিয়ে মেরে ঠান্ডা রাখা যায় না। পুলিশদের ও উচিত ভবিষ্যতের কথা ভাবা আজকের বাপরা সারা জীবন থাকবে না , আজ যাদের রাস্তায় পিটায়তেছে তারা একদিন ক্ষমতায় আসবে সেদিন পালানর পথ থাকবে না। আজ পুলিশ – যুবলীগ এক হয়ে মিছিল করে এটা কেমন রিতী- নিতী। প্রধান মন্ত্রী সব ব্যাপারে সেই পুরান এক রের্কড় বাজিয়ে বেড়াইতেছে যে বিনপি নাকি যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে আন্দোলন করছে। প্লিজ এসব আর বলবেন না ।

নতুন কিছু বলেন আমরা শুনি আর একটু হাসি। সবাই জানে যে বিনপি হরতাল করছে ইলিয়সের জন্য। তাই এসব বলে মানুষকে ধোকা দেবেন না। ৩ আবার একই নাটক হতে চলেছে ইলিয়াসের ব্যাপারে। আজ মাননীয় টুকু সাহেব বলে বেড়াচ্ছেন যে জংগীরা নাকি ইলিয়াস্কে ধরে নিয়ে গেছে।

কেন যে পদ ম র্যা দা ভুলে এমন কথা বলে বেড়ান মানুষ গুলা সেটা ভাবার বিষয়। মাথায় কিছু থাকলে এসব বলতেন না। কিছু বলার আগে একবার ভেবে দেখা উচিত যে জনগণ কিভাবে নেবে এসব পাগলামি কথাবার্তা। মানুষের মাথার চুল কমার সাথে সাথে যে বুদ্ধি সুদ্ধি ও কমতে থাকে তা আইন-প্রতিমন্ত্রীকে না দেখলে বোঝা যায় না। তিনি তো সর্ব জ্ঞানী সব জানেন।

আজ বলে দিলেন প্রবীন আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিকুল হক নাকি ভার সাম্যহীন। এটা প্রমান করে যে তিনি নিজেই একজন ভারসাম্যহীন একটা অথর্ব লোক , তিনি জানেন কেবল যুদ্ধাপরাধী নিয়ে একটা কিছু বলতে তা হোক ঠিক বা বেঠিক। তার হয়ত স্মরণ শক্তি খুব কম , না হয় সে সেই সব লোকদের একজন ভালো কাজ মনে রাখতে পারে না। জনাব কামরুল সাহেবেদের কি মনে পড়ে না এই বুড়ো ভারসাম্যহীন মানুষ্টাই আপনার নেত্রীর জন্য ১/১১ তে আদালতে লড়েছিল। সেদিন আপনার গলা বড় কথা কই ছিল।

ভারসাম্যহীনটা ছিল বলেই আজ সাব আইন মন্ত্রী হতে পেরেছেন । আমাদের নেতা-নেত্রীদের সমস্যাটাই এটা যে তারা অতীতকে খুব তাড়াতাড়ি ভুলে যায়। কিন্তু ইতিহাস খুব খারাপ সে বারবার সামনে আসে মানুষ মনে রাখলেও আসে না রাখলেও আসে। আমরা এমন এক হতভাগা জাতি যার ইতিহাস থেকে কোন কিছু শিক্ষিতো না, এবং আমাদের নেতারাও ইতিহাস থেকে কিছু গ্রহন করে না। ৪ আজ দেখলাম সংসদ ভবনের দক্ষিন প্লাজায় বিশাল প্যান্ডেল করে প্রধান মন্ত্রীকে নাগ্রিক সংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছে সমুদ্র বিজয়ের জন্য।

এজন্য আমরা তার কাছে চির ঋণী যে, তার পিতার হাত ধ্রে স্বাধীনতা এসেছে এবং তার হাত ধরে আসল সমুদ্র সীমা। কিন্তু আজ এমন এক সময় এ এটা হল, যে সময় মানুষ হরতাল এর ব্যাপার নিয়ে ব্যস্ত। দেশের মা হিসাবে সে যদি যেয়ে বিরোধী দলকে সামলে আসত তাতে তার সম্মান আকাশ সমান হয়ে যেত। আর সংসদ ভবনে কেন প্যান্ডেল করে মাইক বাজিয়ে এসব করা লাগবে , নাগরিকরা তার বাস ভবনে গেলেয় পারতেন। তা যাবেন না গেলে তো আর খবর হবে না টিভিতে মুখ আসবে না।

আমাদের এখন নুতুন করে ভাবতে হবে আমরা আসলে কি? চাই দুই দলের অপশাসন না পরিবর্তন । যদি পরিবরতন চাই আমাদের সবাইকে এগিয়ে আস্তে হবে। শুধু লিখে গেলে পরিবর্তন আসবে না, সামনে আসতে হবে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।