ভালবাসি
দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর পদ্মা সেতুর মূল কাঠামো নির্মাণের জন্য ৯ হাজার ১৭২ কোটি টাকার আন্তর্জাতিক দরপত্র ডেকেছে সরকার।
সেতু বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বুধবার দুপুরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা টেন্ডার দিয়ে দিয়েছি। কিছুক্ষণের মধ্যে সেতু বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। আর আগামীকাল পত্রিকাতেও বিজ্ঞাপন পাওয়া যাবে। ”
৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতু নির্মিত হলে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলা সড়কপথে সরাসরি যুক্ত হবে রাজধানীর সঙ্গে।
পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ১.২ শতাংশ বাড়বে বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে।
এর আগে সচিবালয়ে চীনের পরিবহন ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টার ফেং ঝেংলিনের সঙ্গে এক বৈঠকের পর যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের জানান, সেতুর মূল কাঠামো নির্মাণেই প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে।
পদ্মা সেতু নির্মাণে চীন থেকে আর্থিক সহায়তা চাওয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, “এ ধরনের কোনো প্রস্তাব দেয়া হয়নি। আমাদের নিজস্ব অর্থায়নেই পদ্মা সেতু নির্মিত হবে। ”
নিজস্ব অর্থে পদ্মা সেতু নির্মাণের মতো অর্থ সরকারের হাতে আছে বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
মহাজোট সরকারের অন্যতম এই নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ছয় হাজার ৮৫২ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
এ প্রকল্পের জন্য ইতোমধ্যে শরীয়তপুর, মাদারীপুর ও মুন্সীগঞ্জে মোট দুই হাজার ৪৫২ একর জমি অধিগ্রহণ এবং ২৬০ একর জমি হুকুম দখল করা হয়েছে। জমির দাম বাবদ ক্ষতিগ্রস্তদের দেয়া হচ্ছে প্রায় এক হাজার ১৪ কোটি টাকা।
যোগাযোগমন্ত্রী এর আগে জানিয়েছিলেন, নদী শাসন, মাওয়া ও জাজিরা এপ্রোচ রোড, সার্ভিস এরিয়া, পুনর্বাসন, সুপারভিশন কনসালটেন্ট, কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড, টোল প্লাজা, ভূমি অধিগ্রহণসহ পদ্মা সেতু প্রকল্পের মোট ব্যয় দাঁড়াবে ২০ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা।
বর্তমান সরকারের অন্যতম নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পদ্মা সেতু নির্মাণে ২০১১ সালে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ১২০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তি হলেও পরামর্শক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় বিষয়টি ঝুলে যায়।
দীর্ঘ টানাপড়েন শেষে চলতি বছর জানুয়ারিতে সরকার বিশ্ব ব্যাংককে ‘না’ বলে দেয়। সে সময় এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ২৯০ কোটি ডলার।
বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি বাতিল হয়ে যাওয়ার পর সরকার নিজস্ব অর্থায়নে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের ঘোষণা দেয়। চীন ও মালয়শিয়া সেতু নির্মাণ করে দেয়ার বিষয়ে আলাদা বিনিয়োগ প্রস্তাব দিলেও সেগুলো সরকারের সায় পায়নি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে জানিয়েছেন, পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নে নিরাপত্তা ও তদারকির জন্য সেনাবাহিনীর একটি 'কম্পোজিট ব্রিগেড' প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।