একটা সময় ছিল যখন বৃষ্টি আসলে অন্তুর আনন্দে চোখে পানি আসার উপক্রম হত! অন্তু যেই রুমে থাকে সেই রুম থেকে বড় রাস্তাটার দূরত্ব ৫০ গজের বেশী হবে না। জানালা দিয়ে রাস্তায় জমে থাকা বৃষ্টির পানির বুক চিরে গাড়িগুলোর চলে যাওয়া দেখতে দেখতে অন্তু নিজের অন্য আরেকটা জগত তৈরি করতো, তার কেবলই মনে হত কোন এক বৃষ্টি বেলায় জানালার সামনে একটা গাড়ি এসে থামবে।
গাড়ি থেকে নাবিলা বের হয়ে ওর জানালার দিকে আসতে আসতে ভিজে যাবে। অন্তু কিংকর্তব্যবিমুড় হয়ে জিজ্ঞেস করবেঃ তুমি ফিরে এসেছ?
--না ফিরে উপায় কি বল! আর তুমিও! চলে যাবার সময় একটিবারের জন্যও তো থামাতে চাও নি!
--বিশ্বাস কর অনেক চেষ্টা করেছি! একদম পারিনি।
--একদম ঢং করবে না! অনেক রং ঢং করেছ! এখন দরজাটা খুলবে নাকি বাইরে দাড় করিয়ে রাখবে? জাননা, বৃষ্টির পানি আমার একদম সহ্য হয় না!
অন্তু কোন রকম কথা না বাড়িয়ে এক দৌড়ে দরজার কাছে যাবে, দরজা খুলে দেখবে আসলে নাবিলা নাই।
কেও নাই। নাবিলারা ফিরে আসার জন্য যায় না, ফিরে না আসার জন্য যায়!
অন্তু এখন আর জানালার পাশে যেয়ে উবু হয়ে শুয়ে থাকে না। চাইলেও পারে না, বুকে প্রচন্ড ব্যাথা অনুভব করে। এই মাসে এতো ঘন ঘন বৃষ্টি হচ্ছে যে গতকাল তার খুব ইচ্ছে হয়েছিল একবার জানালার পাশে যেয়ে শুয়ে থাকতে। বুকের ব্যাথার সাথে সাথে প্রচণ্ড কাসি শুরু হয়েছিল।
তার কাসির শব্দে বাবা এসে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি নাকি আজকাল বাবা খাও?
--বাবা?
--হ্যাঁ! তাইতো শুনেছি।
--বাবা খাওয়া যায় নাকি?
--আমার সাথে মস্করা কর? মাকে বাদ দিয়ে লাভ কি? মা মরে গিয়েছে বলে?
--আমি বাবা খাই না!
--তাহলে কি খাও?
অন্তুর খুব ইচ্ছে হচ্ছিল চিৎকার করে বলতে, আমি টিপ খাই। নাবিলার কপালের টিপ। নাবিলা লাল রঙয়ের যে টিপগুলো পরতো সেগুলো অবিকল ইয়াবার মত দেখতে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।