চলো এগিয়ে যাই
চোখ পড়ল তাই পড়লাম , আপনিও পড়ে দেখুন
চুরি মানে চুরি, একেবারে আকাশ থেকে লোপাট। এটা কি সম্ভব? হ্যাঁ, হতে পারে। যদি মহাশূন্যে ভ্রাম্যমাণ কোনো বড় বস্তুখণ্ড পৃথিবীর পাশ দিয়ে যায়, তাহলে এ রকম অঘটন ঘটে যেতেও পারে। চাঁদের রূপে মুগ্ধ হয়ে সে হয়তো তার আকর্ষণ ক্ষমতা দিয়ে চাঁদকে আমাদের আকাশ থেকে টেনে নিয়ে গেল। তাহলে কী অবস্থা হবে? চাঁদহীন অবস্থার প্রথম শিকার হবে সমুদ্র।
জোয়ার-ভাটা হবে না। মূলত চাঁদ ও সূর্যের আকর্ষণ-বিকর্ষণে জোয়ার-ভাটা হয়। চাঁদের অনুপস্থিতে শুধু সূর্যের আকর্ষণে সমুদ্রে হয়তো সামান্য ঢেউ থাকবে। জোয়ার-ভাটা না থাকলে আমাদের সুন্দরবন তথা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সমুদ্র উপকূলের ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট মরে যাবে। প্রকৃতিতে দেখা দেবে ভয়ংকর বিপর্যয়।
তা ছাড়া চাঁদের আকর্ষণ না থাকায় হয়তো পৃথিবী যে অক্ষরেখা কেন্দ্র করে নিজের চারপাশে ঘুরছে, সেটা নড়ে যাবে। সূর্যের চারপাশে পৃথিবীর প্রদক্ষিণতলের সঙ্গে তার অক্ষরেখার কৌণিক অবস্থানও বদলে যেতে পারে। তখন এমন অবস্থা হতে পারে যে পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণ গোলার্ধে পালাক্রমে ছয় মাস অন্তর প্রচণ্ড শীত ও প্রচণ্ড গরম থাকবে। শেষ পর্যন্ত পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্ব বিলুপ্ত হতে পারে। সমুদ্রে নটিলাস নামে এক ধরনের ক্ষুদ্র প্রাণিসত্তা থাকে।
এরা প্রতিদিন তাদের খোলসে একটি করে পরত যোগ করে। চাঁদ যখন একবার পুরো পৃথিবী ঘুরে আসে, অর্থাৎ যখন এক চান্দ্রমাস পূর্ণ হয়, তখন সে তার খোলসে একটি আবরণ তৈরি করে এবং দ্বিতীয় সারিতে প্রতিদিন খোলসে আবার নতুন পরত যোগ করতে থাকে। যদি আকাশে চাঁদ না থাকে, তাহলে এই ক্ষুদ্র প্রাণিসত্তা নটিলাস চাঁদের অপেক্ষায় দিন গুণতে থাকবে, তার খোলসবৃদ্ধি আর ঘটবে না। আর তা ছাড়া আকাশে পূর্ণিমার চাঁদ দেখা যাবে না। পৃথিবী হয়ে পড়বে কবিতাশূন্য! তবে স্বস্তির কথা যে, এভাবে আকাশের চাঁদ চুরি যাওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।