বাংলাদেশীদের জন্য এফএল ওয়ার্কার হতে পারে সবচেয়ে আদর্শ ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস
Click This Link
অনলাইনে অনেকগুলো ফ্রিল্যান্সিং পোর্টাল রয়েছে। সেগুলোতে কাজ করে ভাল অর্থ উপার্জন করা যায়। তবে এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় অসুবিধা হলো বাংলাদেশী ওয়ার্কারদের জন্য কাজ শেষে অর্থ হাতে পাওয়া। সাধারণ বাংলাদেশী ওয়ার্কারদের কাছে না আছে পেপ্যাল একাউন্ট বা ক্রেডিট কার্ড। আবার যাদের এগুলো আছে তাদের আরেক ঝামেলা হলো সংশ্লিষ্ট সাইটকে কাজের সার্ভিস চার্জ এবং উইথড্রয়াল প্রসেসিং চার্জ দেয়ার পর দিতে হয় পেপ্যাল একাউন্ট বা ক্রেডিট কার্ডের হাই উইড্রয়াল ফি।
আর যদি সরাসরি ব্যাংকে টাকা আনতে হয় তাহলেতো পাঠাতে এবং তুলতেই সব শেষ। এখন ভাবনার বিষয় হলো সংশ্লিষ্ট ফ্রিল্যান্সিং সাইটে সুবিধা যতই ভাল হোক নিজের কষ্টার্জিত আয় হাতে পেতে মাক্সিমাম টাকাই ব্যয় হয়ে যায় তাহলে কষ্ট করে আর লাভ কি?। তবে আমি বলবো এখন আর বাংলাদেশী ওয়ার্কারদের এতোটা হতাশ হবার কারণ নেই। আমি আপনাদের এখন দেখাবো এমনই একটি পরিপূর্ণ ফ্রিল্যান্সিং সাইট যা একজন বাংলাদেশী ওয়ার্কার বা বায়ার(কাজদাতা) হিসেবে আপনার কাছে হতে পারে একটি আদর্শ। আসুন দেখে নেই এক নজরে সম্ববত ২০১২ সালে আসা (Flworker), সাইটের কমন ফিচারগুলো।
বিড প্রজেক্টের পাশাপাশি বিড ফ্রি প্রজেক্টের (মাইক্রো ওয়ার্ক) সুবিধা।
ডলারের পাশাপাশি বিডিটি(বাংলাদেশী টাকায়) বিড বা কাজ করার সুবিধা।
BDT নুণ্যতম ৫০ টাকা হলেই জিপি ফ্ল্যাক্সিলোডের মাধ্যমে এবং ৫০০ টাকা হলেই লোকাল যেকোন ব্যাংকে অর্থ উত্ত্বোলন করা যায়।
USD নুণ্যতম ২ ডলার হলেই এলার্টপে, মানিব্রোকারস্ ও পেপ্যাল একাউন্টে উত্ত্বোলন করা যায়।
যাদের অনলাইনে কাজ করার মত কোন দক্ষতা নেই শুধু কপি/পেষ্ট জানেন তারাও এফএল ওয়ার্কারের বেসিক প্রজেক্ট (মাইক্রো ওয়ার্ক) এ কাজ করে বাংলাদেশী টাকায় ঘরে বসে পেমেন্ট পেতে পারেন।
আর যারা বিভিন্ন কাজ জানেন তাদের জন্যতো মূল জেনারেল প্রজেক্ট রয়েছেই।
প্রতিটি প্রজেক্টে ওয়ার্কার হিসেবে কাজ করার ক্ষেত্রে কোন ধরনের চার্জ বা ফি নেই।
ফ্রি রেজিষ্ট্রেশনের পাশাপাশি আলাদাভাবে মাসিক কোনো ফি দিতে হয় না।
কাজ শেষে অর্থ পাওয়ার পূর্ণ নিশ্চয়তা রয়েছে। কারণ বায়ার যখনই একজন ওয়ার্কারকে নির্বাচিত করে তখনই প্রজেক্টের সস্পূর্ণ অর্থ সাইটকে পেমেন্ট করতে হয়।
কোন সার্টিফাইড বা প্রিমিয়াম ওয়ার্কার অপশন নেই। ( সাধারণত বেশিরভাগ ফ্রিল্যান্স সাইটে তাদের সার্টিফাইড প্রোগ্রামাররা কোন বিড করলে সেগুলো রঙ্গিন আকারে হাইলাইট হয়ে থাকে এবং তাদের প্রোফাইল ও পোর্টফুলিও তৈরিতে অধিক উন্নত টুলস সরবরাহ করা হয় যা দেখে একজন বায়ার বা কাজদাতা সহজে আকৃষ্ট হয়ে তাদের কে কাজ দিয়ে দেয়। এই অপশনগুলো সংশ্লিষ্ট সাইটগুলোর একটি ব্যবসা। নতুন ওয়ার্কাররা এবং অনেক ভাল প্রোগ্রামার/ওয়ার্কাররা শুধু সেই সাইটের প্রিমিয়াম মেম্বার হতে না-পারার কারণেই অনেক কাজ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয় এবং বায়াররা বাহিরের চাকচিক্য দেখে ভাল আউটপুট থেকে বঞ্চিত হয়। আর এই অসুবিধা যাতে না-হয় তাই হয়তো সে কারণেই কোন সার্টিফাইড বা প্রিমিয়াম ওয়ার্কার অপশন রাখা হয় নাই।
বিডের শেষে বিড দাতা ওয়ার্কার মোট কতটি কাজ করছে বা কত টাকা এ পর্যন্ত আয় করেছে এবং সে কোন কোম্পানী কিনা ইত্যাদি অতিরিক্ত ইনফরমেশন থাকে না। এই সুবিধার কারণে নতুন/পুরাতন ওয়ার্কারদের নিজের ব্যাক্তিত্ব প্রকাশের যেমন সুবিধা হয় তেমনি মনও কখনো ছোট হয় না। একজন বায়ার সংশ্লিষ্ট ওয়ার্কার নতুন না পূরাতন সেটি দেখে নয় বরং ওয়ার্কারদের নিজেদের তৈরি করা সমৃদ্ধ কাষ্টম পোর্টফুলিও দেখে যাচাই বাছাই করে যোগ্যতানুসারে বাছাই করতে পারে।
একজন প্রোগ্রামারের বিড আরেকজন প্রোগ্রামার দেখতে পারে। তবে এক্ষেত্রে পার্থক্য হলো বেশিরভাগ সাইটে ডিসপ্লে করার জন্য একটি ম্যাক্সিমাম এমাউন্ট শো করে কিন্তু বিডাররা হিডেনলি আরেকটি নুণ্যতম এমাউন্ট অফার করে যা সাধারণত শো হয় না।
একারণে প্রতিদ্বন্ধী ওয়ার্কাররা সত্যিকার অর্থে কত টাকা বিড করেছে তা বুঝার উপায় থাকে না। তবে এফএল ওয়ার্কারে সে অসুবিধা নেই। যা বিড হবে তাই শো করবে। বিভ্রান্ত হওয়ার কোন সুযোগ নেই।
ঘন্টানুসারে কাজের ক্ষেত্রে কোন অতিরিক্ত সফটওয়্যার ইউজ করতে হয় না।
তাই অনলাইনে থেকে কাজ করার ঝামেলায় পড়তে হয় না। যত ঘন্টায় আপনি কাজটি শেষ করতে পারবেন বলে মনে করেন সেটি বিডে উল্লেখ করা যায় এবং সে অনুসারে কাজ করে কাজ জমা দেয়া যায়।
সুইজারল্যান্ড/সৌদিআরব ও বাংলাদেশী বায়ারদের জন্য এই সাইটটি একটি ভাল প্ল্যাটফর্ম । কারণ আপনার কোন কাজ সহজেই এখন দেশী টাকায় যেকোন ভাল ওয়ার্কারদের দিয়ে করাতে পারবেন। বাংলাদেশী বায়ারগণ পেমেন্টের ক্ষেত্রে লোকাল ব্যাংক ডিপোজিট অথবা গ্রামীণ ফ্ল্যাক্সিলোড ব্যবহার করতে পারেন।
যারা অনলাইনে একাধিক লোক দিয়ে দ্রুত সময়ে ছোটখাটো কোন কাজ করাতে চান (যেমন, ফেসবুক/টুইটারে ফ্রেন্ড/লাইক বা ফলোয়াড় বাড়ানো। ইয়াহু/ফেসবুক/জিমেইলে একাধিক আইডি তৈরি। ওয়েবসাইটের রিভিউ বা ব্যাকলিংক তৈরি করানো। পিটিসি/এলিফায়েড প্রমোশনের জন্য রেফার বাড়ানো ইত্যাদি) তাহলে এফএল ওয়ার্কারের বেসিক প্রজেক্ট(মাইক্রো প্রজেক্ট) এ কাজ দিতে পারেন। পেমেন্টের ক্ষেত্রে লোকাল ব্যাংক ডিপোজিট অথবা গ্রামীণ ফ্ল্যাক্সিলোড ব্যবহার করতে পারেন।
অর্থ উত্তোলনের জন্য বাংলাদেশীদের জন্য রয়েছে এক্সট্রিমলি লোকাল সুবিধা। আপনার কর্ষ্টাজিত অর্থগুলো আপনি আপনার লোকাল ব্যাংকে ট্রান্সফার করতে পারবেন নুণ্যতম ৫০০ টাকা হলেই এবং ৫০ টাকা হলেই আপনি জিপি ফ্ল্যাক্সিলোডের মাধ্যমে আপনার মোবাইলে নিয়ে আসতে পারেন সার্ভিস চার্জ ব্যতিত অন্য কোন চার্জ ছাড়াই। আগেই বলেছি প্রায় সবগুলো ফ্রিল্যান্সিং সাইটে কাজ যত এমাউন্টের কাজ করছেন সে অনুসারে আগেই একটি কাজের চার্জ নিয়ে নেয়। অর্থ উত্তোলনের সময় চার্জ নেয় আরেকটি। ক্রেডিড কার্ড/পেপ্যাল/ব্যাংক গুলোও উত্তোলন চার্জ রাখে।
কিছু কিছু সাইটে আবার মাসিক চার্জও রয়েছে। সে অনুপাতে এফএল ওয়ার্কার অনেক ভাল। উত্তোলনের সময় সার্ভিস চার্জ ব্যাতিত অন্যকোন সার্ভিস চার্জ একেবারেই নেই। ওদিকে পেপ্যাল/মানিব্রোকার/এলার্টপে ইত্যাদি সুবিধাতো রয়েছেই।
এই সাইট সর্ম্পকে উপরের তথ্য গুলোর জন্য আমি এফএল ওয়ার্কার সাইটের বাংলায় লেখা এই http://dailytulpar.com/LBangla.aspx টিউটোরিয়াল এবং সাইটের http://dailytulpar.com/FAQ.aspx এবং ইমেইল http://dailytulpar.com/contact.aspx করে জানতে পেরেছি।
আরো বিস্থারিত তথ্যের জন্য আপনিও সেগুলো রেজিষ্ট্রেশনের আগে দেখে নিন।
আমি ব্যাক্তিগত ভাবে টাকার জন্যই ফ্রিল্যান্সিং করি তাই ইন্টারন্যাশনাল কাজের প্রাপ্ত অর্থ বাড়তি খরচ ছাড়া লোকাল উত্ত্বোলন ও দেশী টাকায় বিডের অপশন সুবিধাকেই মূখ্য হিসেবে বিবেচনা করেছি।
িলংক:
Click This Link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।