আমি স্বপ্ন দেখি কিন্তু বাস্তববাদী।
সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা মানুষের মস্তিষ্কের শক্তিকে কোনো একটি যন্ত্রের মধ্য নিয়ে আসার গবেষণার ক্ষেত্রে রীতিমতো প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন। এ জন্য তাঁরা বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী এক কম্পিউটার তৈরির চেষ্টা করছেন। মস্তিষ্কের রহস্যময় কাজ, এর আলাদা কোষ ও অণুস্তর এবং মস্তিষ্কের বিকল্প বা প্রতিরূপ তৈরির জন্য তাঁরা উঠেপড়ে লেগেছেন। তাঁরা মনে করছেন, এটা যদি সম্ভব হয় আর এর যদি বাস্তবায়ন ঘটে তাহলে মানুষের বিভিন্ন স্নায়বিক রোগ যেমন অ্যালঝেইমার্স, পার্কিনসন্স, এমনকি চিন্তাশক্তির অবক্ষয় ইত্যাদি নিরাময়ে বিরাট ভূমিকা রাখা যাবে।
সুইজারল্যান্ডের বিজ্ঞানী হেনরি মার্করাম এই কৃত্রিম মস্তিষ্ক তৈরির ব্যাপারে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ক্যামব্রিজের ওয়েলকাম ট্রাস্ট স্যাঞ্জার ইনস্টিটিউটসহ সারা ইউরোপের বিজ্ঞানীদের সঙ্গে তিনি কাজ করে চলেছেন। তাঁদের লক্ষ্য নতুন একটা চমক উপহার দেওয়া। আশা করা হচ্ছে, আগামী ১২ বছরের মধ্যেই এ ধরনের কম্পিউটার তৈরি করা সম্ভব হবে। হেনরি মার্করাম বলেন, ‘এর মাধ্যমে মস্তিষ্কের জটিলতাসহ অভ্যন্তরীণ নিউরনের বিভিন্ন চিকিৎসা সহজেই করা যাবে।
অনেক সহজ এবং নিখুঁতভাবে মস্তিষ্কের কাজ বোঝা সম্ভব হবে। ’
মস্তিষ্ক তার চারপাশে হাজারো বৈশিষ্ট্যসহ একটি ত্রিমাত্রিক ছবি তৈরি করে। এটি দেখতে অর্ধবৃত্তাকার একটি ‘ককপিট’-এর মতো। বিজ্ঞানীরা দেখবেন কীভাবে একটি ককপিট বিভিন্ন জায়গায় উড়ে যায় এবং কীভাবে একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে। এ গবেষণার ফলে প্রতিবছর একটি প্ল্যাটফর্মের মধ্যে প্রায় ৬০ হাজার বৈজ্ঞানিক কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা বা পর্যবেক্ষণ করা যাবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এ কাজের জন্য প্রকল্পটিকে এক বিলিয়ন ইউরো (৮২৫ মিলিয়ন পাউন্ড) অনুদানের ঘোষণাও দিয়েছে। আশা করা হচ্ছে, আগামী মে মাসে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ফলে খুব শিগগির জটিল গবেষণার কাজে কম্পিউটার ব্যবহার করে সহজেই জানা সম্ভব হবে মস্তিষ্কের বিভিন্ন খুঁটিনাটি তথ্য। পাওয়া যাবে মস্তিষ্কের সঠিক চিকিৎসা এবং কার্যকরী ওষুধের ব্যবহার।
ডেইলি মেইল অবলম্বনে প্রদীপ সাহা ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।