এখনও নিজের সম্পর্কে লেখারমতো কিছুই অর্জন করতে পারিনি।
আমরা যাঁরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেছি, তাঁদের সেশনজটের কারণে অনার্সসহ মাস্টার্স শেষ করতে ২৮-২৯ বছর বয়স হয়ে যায়। একবার কিংবা দুবার বিসিএস পরীক্ষা বা সরকারি অন্যান্য পরীক্ষা দিতেই শেষ হয়ে যায় চাকরির বয়স। পৃথিবীর উন্নত দেশ যেমন—যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়ায় চাকরির বয়স ৩৫ বছর, এমনকি আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে চাকরির আবেদনের বয়স ৩৫ বছর। তারা আরও তিন বছর বাড়ানোর জন্য তাদের লোকসভায় আবেদন করেছে।
সে জন্য আমাদের দেশের চাকরির আবেদনের বয়সসীমা বাড়ানোর জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। যেহেতু সরকার সরকারি চাকরিজীবীদের অবসরের বয়সসীমা দুই বছর বাড়িয়েছে, সেহেতু চাকরির আবেদনের বয়সসীমাও পাঁচ বছর বাড়ানো হোক।
জাতীয় সংসদে মাননীয় স্পিকার গত ১ ফেব্রুয়ারি ৭১ নম্বর বিধিতে জনগুরুত্বপূর্ণ নোটিশের ওপর আলোচনার সময় সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার প্রস্তাব করেন। আমরা আশা করব বিষয়টি সরকার দ্রুত সংসদে পাস করে উচ্চশিক্ষিত বেকারদের সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসবে। তা ছাড়া দেশের কলেজগুলোতে অনার্স কোর্স বেড়েছে, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে বেড়েছে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিষয় বেড়েছে—সব মিলিয়ে উচ্চশিক্ষার একটি বহর বেড়েছে।
অথচ সরকারের বা দেশের কর্মক্ষেত্র সেভাবে বাড়েনি। তীব্র প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য তাই আবেদনের বয়স বাড়ানোর বিকল্প নেই। পাশাপাশি সরকারি চাকরির বিভিন্ন কোটার কারণেও আমরা চাকরি থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।