আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মাঞ্জিল এ মোকসাদ,লাহোর।

আফগানিস্তান ও পাক আফগান সীমান্তবর্তি ওয়াজিরিস্তান সহ ফ্রন্টিয়ার প্রদেশের দীর্ঘস্থায়ী ও নির্মম শীতের শেষে বসন্ত আসছে। প্রচন্ড ঠান্ডার প্রকোপ কমে গিয়ে আরামদায়ক মৃদু বাতাস বইছে সমস্ত উপত্যাকা জুড়ে। বসন্তের উষ্ণতায় বরফ গলছে খাইবার পাখতুন প্রদেশের... পাহাড়ে উপত্যাকায় কুড়ি মেলছে লাইল্যাক ফুল,সোয়াত নদীর বরফ গলা জলের স্পর্ষে যেন আরামোড়া ভাঙ্গছে প্রকৃতি... আর সেই সাথে সাথে প্রস্তুত হচ্ছে কিছু লোক... আসলে বলা উচিত একগুচ্ছ সঙ্গঠনের এক জটিল ম্যাট্রিক্স... তেহেরিক ই তালেবান...যারা কখনো পাকিস্তানী তালেবান কখন হাক্কানী নেটওয়ার্ক নামে পরিচিত। সামনে গ্রীষ্মকালিন যুদ্ধের লম্বা মৌসুম। ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাত ১১. ০০।

উত্তর ওয়াজিরিস্তান থেকে পার্শবর্তি খাইবার পাখতুন প্রদেশের বান্নু কেন্দ্রীয় কারাগারের দিকে নিঃশব্দের হাটছে শতাধিক তালেবান যোদ্ধা। কাঁধে বহুল প্রচলিত একে ৪৭ ,আর পিজি রকেট চালিত গ্রেনেড ,সি ফোর এক্সপ্লোসিভ, হ্যান্ড গ্রেনেড আর হাল্কা মেশিন গান। তাদের লক্ষ বান্নু কেন্দ্রিয় কারাগার থেকে সহযোগীদের মুক্ত করে আনা। গত কয়েক দিন ধরে যাদের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বাছাই করে এই খাইবার পাখতুন প্রদেশে এনেছে পাকিস্তানের স্বরাস্ট্রমন্ত্রনালয়। এদের মধ্যে আছে পাকিস্তান বিমান বাহিনীর প্রাক্তন টেকনিশিয়ান ও পারভেজ মোশারফ হত্যা প্রচেস্টার সাথে যুক্ত মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আদনান রশিদ সহ ২০জন দুর্ধর্ষ জঙ্গী।

একে ৪৭ এর ট্যাশ ট্যাশ শব্দের সংক্ষিপ্ত ব্রাশের আওয়াজের সাথে রকেট চালিত গ্রেনেড এর ভোঁতা বিস্ফোরনে কেঁপে উঠছে বান্নু কারাগার। কারারক্ষীরা কিছুক্ষন দায়সারা ভঙ্গীতে পালটা গুলি ছুড়ে জবাব দেয়ার চেস্টা করলো। তবে আক্রমনকারীদের চাইতে বন্দিদের দিকে গুলি করাতেই তাদের বেশি আগ্রহ। ভাবখানা এমন যেন পর্যাপ্ত পরিমান বন্দীর মৃতদেহ তাদের কর্ম প্রচেস্টার সার্টিফিকেট হিসাবে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে সন্তুস্ট করবে। এক পর্যায়ে সি ফোর বিস্ফোরকের কারাগারের প্রধান গেটএর একাংশ বিকট শব্দে ভেঙ্গে পড়লো।

এতক্ষন যাও কারারক্ষীরা লাশ বাড়ানোর চেস্টা করছিলো বিস্ফোরনের প্রচন্ড আওয়াজ যেন তাদের পালানোর ব্যাপারে স্থির সিদ্ধন্ত নিতে অনুপ্রানিত করলো। হাতের জি থ্রি রাইফেল ছুড়ে ফেলে তারা একেএকে পিছু হটতে লাগলো। একদিনের মত যথেস্ট লড়াই হয়েছে এখ্ন বিবি সহবতের সময়। ২৮ এপ্রিল,২০১২ বুধবার, বাগ এ শালিমার, লাহোর পাকিস্তান। বিকালের পরন্ত রোদে হাঁটছে দুই পশতুন সদ্য যুবক...একজনের গালে চাপ দাড়ি অন্যজন ক্লিন সেভড।

এই বয়সি পাকিস্তানী অভিজাত পরিবারের ছেলেমেয়েরা সাধারনত লন্ডন অথবা সিডনীতে পড়তে যায়। আর যারা একটু কম অভিজাত তাদের গন্তব্য দুবাইয়ের আমেরিকান স্কুল। এদের বেশির ভাগ সেখানেই থেকে যায় আর কিছু দেশে ফিরে এসে জেঁকে বসে পৈতৃক জমিদারি অথবা ব্যাবসায়। দেশের অশিক্ষিত অর্ধ শিক্ষিত জনগোস্টির ভাগ্যতো তাদেরই হাতে। তাদের পথ দেখাতে হবে না? কাল ড্রাইভ করার দায়িত্ব পড়েছে ক্লিন সেভড মোহাম্মদ হাফিজের এর উপরে... ব্যাক আপ হিসাবে থাকবে চাপ দাড়িওয়ালা গিয়াস খান।

৪/৫ বছর আগে সোয়াত অভিযানের সময় পাকিস্তান বিমানের বোমাবর্ষন এ দুইজনেরই ঘর বাড়ি ,বাপ বড় ভাই বোন,আত্মীয়স্বজন সহ নিজের বলতে যা কিছু তার সবই গেছে। মা একটা যাও বা বেচে ছিলো তাও শ্রেফ ঊড়ে গেছে পাকিস্তানি সেনার আর্টিলারি শেলের আঘাতে। তখন থেকেই দুই জনের নিত্য সঙ্গী শরনার্থী শিবিরেরর বীভৎস জীবন। অভাব আর সর্বগ্রাসী ক্ষুধা তার সাথে চাটনি হিসাবে মাঝে মাঝেই যোগ হতো মার্কিন আর পাক গোয়েন্দা সংস্থার জিজ্ঞাসাবাদের নামে দিনের পর দিন শারিরীক মানসিক নিপীড়ন। এতো প্রতিকুলতার মধ্যে একমাত্র নিঃশ্বাস ফেলার স্থান ছিলো মাওলানা সাহেবের ছোট্ট মাদ্রাসাটি।

যে সময়টুকু মাওলানা সাইদের সংস্পর্শে থাকার সুযোগ হতো ততক্ষন যেন বেহেস্তের সুবাশ ভেসে আসতো। হিংস্রত আর অকরুন পৃথিবীতে যেন এই স্থানটি ছিল একমাত্র স্বস্তির বাতাবরন। ইসলামের শহীদদের অনারম্বর জীবন আর ইস্পাত কঠিন ঈমানী জজবার গল্প শুনতে শুনতে তারা এক অন্য জগতে হাড়িয়ে যেত যেমনটা তাদের মা ছোট বেলায় লোরী শুনিয়ে ঘুম পারাতো। মাওলানা সাইদের তাদের অকিঞ্চিতকর দুঃ সহ ক্ষুদ্র জীবনে একটা লক্ষ এনে দিয়ে দিয়েছিলেন। এই মাদ্রাসায়ই প্রথম তাদের দেখা হয় আলতাফ বেগ এর সাথে।

লালমসজিদ ম্যাসাকার থেকে বেঁচে যাওয়া বেগের সাথে মাওলানা নিজেই তাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। আলতাফ বেগের হাত ধরে এরপর আজাদ কাশ্মির এর ট্রেনিং ক্যাম্প, সেখান থেকে লাহোর, হেলমান্দ ,কান্দাহার,ওয়াজিরিস্তান কত স্মৃতি,কত রক্তাক্ত রাইফেল কত বারুদ কত মুজাহিদের আল্লাহর রাহে আত্মদান, পাহাড়ি শকুনের মত এ্যাপাচী হেলিকাপ্টারের অনবরত গোলা বর্ষন...আফগানের জিহাদের ময়দানে যেন তারা খোদা ও শয়তান উভয়কে দেখেছে । এরপর আজ আবার লাহোর ... অনেক দিন পরে আবার আদনান রাশিদের মত পুন্যাত্মার সান্নিধ্যে আসা। ৩০ এপ্রিল ২০১২। ইকবাল টাঊন, লাহোর ।

সকাল ১১.৩০ আদনান রাশিদ শেষবারের মত সদ্য কেনা পোর্শে বক্সার এর ইঞ্জিন ব্লকের নীচে লাগানো আই ই ডি ডিভাইস পরীক্ষা করে দেখছে... সি ফোর কম্পোজিশন, চার কোনা আটটি স্ল্যাবে বিভক্ত সাথে ৫০ কেজি ইস্পাতের বল বেয়ারিং ইঞ্জিন ক্যাবের নীচে ঝালাই করে কেস এর মধ্যে আটকানো। জেলে যাওয়ার আগে তার বানানো আই ই ডি’র আঘাতে এ পর্যন্ত ৪ টি মার্কিন ব্রাডলি আর্মার্ড যান আর ১০ টির মত হামভি ধংস হয়েছে অবশ্য এ নিয়ে তার কোন অহংকার নেই। পোর্শে বক্সার সাধারনত বড় ব্যবসায়ি,সিনিয়ার জাস্টিস ,দুদে রাজনীতিবিদ আর জেনারেলদের সন্তান কিংবা নাতি নাতনীদের শখের বাহন। একমাত্র লাহোরের ধনী ও অভিজাত পরিবারের তরুন তরুনিরাই এই বাহন অ্যাফোর্ড করার আর্থিক সামর্থ রাখেন। কাজেই লাহরের রাস্তায় কোন পোর্শেকে আটকায় এমন জাঁদরেল পুলিশ খুব কমই আছে।

আজ লম্বা বিরতির পর পাকিস্তানে ক্রিকেট ফিরতে যাচ্ছে। পাকিস্তানে জনপ্রিয়তার মাপকাঠিতে একে ৪৭ এর কাছাকাছি একমাত্র যে বস্তু যেতে পারে তা হলো ক্রিকেট ব্যাট বল । সেই পাকিস্তানে আজ ৩ বছর বাদে আন্তর্জাতিক ম্যাচ এর আয়োজক। কি ধনী কি গরিব...সামর্থ নির্বিশেষে সব বয়সের মানুষ লাহোর গাদ্দাফী স্টেডিয়ামের দিকেই ছুটছে আজ। প্রিয় ক্রিকেটারদের মাঠে দেখতে তারা উন্মুখ।

সেই সাথে অতিথি বাংলাদেশ দলের কয়েক খেলোয়ার নিয়েও খানিকটা আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। স্থানীয় সময় ২.৩০ এ খেলা শুরু হবে। কায়েদ ই আজম ইন্টার্সেকশন হয়ে ফিরোজপুর রোডে পড়েছে পোর্শে বক্সার । মসৃন গতিতে ফিরোজপুর রোড ধরে আল হামরা কালচারাল সেন্টারকে পাশা কাটিয়ে এগুচ্ছে ...উদ্দেশ্য গাদ্দাফী স্টেডিয়াম। এদিকে লাহোর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেল থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম বাসে উঠতে শুরু করেছ... একে একে আসছে সাকিব ,তামিম, মাহমুদউল্লাহরা ...লাহোর পুলিশের বিশেষ কমান্ডোরা দুই সারি লাইনে দাঁড়িয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাইছে ।

বাসের কাছে হোটেলের টেরেসে পিসিবি চোরম্যান জাকা আশ্রাফ সয়ং উপস্থিত থেকে খেলোয়ারদের যাত্রা তদারক করছেন । এই সফর আয়োজনে তার অসামান্য কৃতিত্ব...সয়ং হিনা রাব্বানী খার আজ স্টেডিয়ামে উপস্থিত থাকার ব্যাপারে কথা দিয়েছেন। আগে পিছে আর্মার্ড এস্কর্ট সহ বুলেট প্রফ বাস ধীরে ধীরে হোটেল থেকে গাদ্দাফী স্টেডিয়ামের দিকে চলতে লাগলো টিম বাংলাদেশের বাস। দুপুর ১.৩০ গাদ্দাফী স্টেডিয়াম থেকে মাত্র কয়েক ব্লক দুরে রেঞ্জার চেকপোস্টে দাঁড়িয়েছে পোর্শে। চোখে দামি এ্যভিয়েটর সানগ্লাস আর বুক খোলা টি-শার্ট পড়া মোহাম্মদ হাফিজ গাড়ির কাঁচ গ্লাস নামিয়ে নিজের চেহারা আর গলায় ঝুলানো পি সিবি চেয়ারম্যান সাক্ষরিত আই ডি প্রদর্শন করলো।

চেক পোস্টের ব্যারিয়ার তুলে দিয়ে সামনে বাড়তে ইশারা করল এস এস জি সেন্ট্রি। একটু দূরে ভেহিকেল স্ক্যানারে চেক হবে। স্ক্যানার এর পেছনে বসা এস এস জি অফিসার মেজর পাশা মনিটরে গাড়ির অবস্থান লক্ষ করলেন । ইনজিন ব্লকের পাশেই আই ই ডি ডিভাইসের অস্তিত্ব স্পস্ট বুঝা যাচ্ছে। কমপক্ষে ৪৫০ কি্লো তো হবেই ...তার সামনের বাহনটি একটি ভয়াবহ গাড়ি বোমা।

যা চালাচ্ছে একজন আত্মঘাতী হামলাকারী। বিপদ সংকেতের বোতাম টিপে গ্লক পিস্তন বেড় করার বদলে অফিসারটির চোখের কোনা শুধু একবার কুচকে উঠলো... এরপরই তিনি ঠান্ডা গলায় পশতু ভাষায় ব্যারিয়ারে সামনে দাঁড়ানো সেন্ট্রিকে চুরান্ত ক্লিয়ারেন্স প্রদান করলেন। সেন্ট্রি যখন ব্যারিয়ার নামিয়ে পোর্শে কে যাওয়ার পথ করে দিচ্ছে তখন শুধু এক সেকেন্ডের জন্য মোহাম্মদ হাফিজের সাথে তার চোখাচোখি হল। স্ক্যানার এ দায়িত্বে থাকা অফিসার একবার ভাবতে লাগলেন প্রায় ৬ মাস আগে সরকার আদালত আর সেনা বাহিনীর দ্বন্দে সেনাবাহিনীর নাজুক অবস্থার কথা... অনেক কস্টে নিজেদের সামলাতে হয়েছে...। তবে সাপের লেজে পা দিলে মাথা ভাংতে হয়।

নাইলে সাপের ছোবলে মৃত্যু ... আর পিপিপি’র চাইতে বড় বিষধর সাপ পাকিস্তানে কে আছে... তার উপর ইমরান খানের ভীতিকর উত্থান...এখনি দমাতে পারলে ক্ষমতার জড় সহ টান পড়বে। তবে ক্ষমতা দখলে দরকার একটা আলোড়ন তোলা ঘটনার... যা দেশে ও আন্তর্জাতিক মহলে গিলানি সরকার সহ রাজনীতিবিদদের ভিত কাপিয়ে দিবে। মধ্যেখানে বাংলাদেশি ছেলেগুলির দুর্ভাগ্য... কি আর করা...। আই এস আই’র প্ল্যান মত ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর পরই যখন পাকিস্তান আর্মী ইসলামাবাদে জারদারিকে উৎখাত করবে তখন সে সময় শুওরটার চেহারা কেমন হয় তার ভিডিও করে রাখতে পারলে দারুন হোতো। সরকার উৎখাতক্ষনের মিস্টি ভাবনাটা মাথায় ধরে রেখেই মেজর পাশা পরের গাড়ি সামনে আনার ইশারা করলেন।

গাদ্দাফী স্টেডিয়ামের দিকে এগিয়ে আসছে বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের বাস ...খেলোয়ার ও টিম স্ট্যাফরা মোটামুটি নির্ভার... । বোর্ড সভাপতির হুমকির মুখে জীবনের ঝুকি নিয়ে খেলতে আসা পাকিস্তান সফর আর মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যেই শেষ হতে যাচ্ছে। খেলা শেষ করেই সোজা বিমান বন্দরে গিয়ে দেশের ফ্লাইট ...। মুশফিক ভাবছে দুবাইয়ের কানেক্টিং ফ্লাইট হলে এয়ার পোর্টে নেমে বাবার জন্য একটা জায়নামাজ কিনে নিবে কি না... বাবার ভাল জায়নামাজের খুব শখ। অ্যাভিয়েটর গ্লাসের ভিতর দিয়ে হাফিজ বাংলাদেশ টিম বহনকারী গাড়ি বহর দেখতে পাচ্ছে।

আর্মার্ড এস্কর্টসহ গাড়ি বহর ডান দিকে মোড় নিয়ে একটু সামনে গিয়ে স্টেডিয়ামের গেটের ভিতরে ঢুকে যাবে। তখন সামনো থাকবে অসংখ্য এস এস জি রক্ষী। কাজেই এখনি এইচ আওয়ার। গাড়ি নিয়ে সরাসরি বাসে ওপর গিয়ে আছড়ে পড়তে হবে। সি ফোর বল বেয়ারিং ডিভাইস ... এক মুহুর্তেই সব শেষ ... আর সেটাই মঞ্জিলে মোকসাদ... !সেটাই খোদার সাথে চুরান্ত দিদারের মুহুর্ত...!!.. ফানাফিল্লাহ...!!! ট্রেনিং এর সময় আলতাফ বেগ ঠিক এভাবেই ব্রীফ করতো।

ঐতো সামনেই বাংলাদেশী খেলোয়ার বহনকারি সবুজ রঙ এর বাস। পোর্শের চাকা ঘুরতে শুরু করেছে। মৃদু স্বরে একবার আল্লাহু আকবর বলে হাফিজের পা চেপে বসলো এক্সেলেটারে। এটা কাল্পনিক গল্প … আমাদের ভয়াবহতম দুঃস্বপ্নেও যাতে কোন দিন এমনটা না ঘটে। লোটাস কামাল আপনি নিজের স্বার্থসিদ্ধি করতে আমাদের ছেলেদের আত্মঘাতী গাড়ি বোমার মুখে পাকিস্তান পাঠাবেন না।

---------------------------------------------------------- লোটা কামাল স্বদল বলে এখনো নির্বান লাভ করে নাই। আর তাই আবারো বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমকে পাকিস্তান পাঠানোর পরিকল্পনা চলছে। সবাই প্রতিরোধ শুরু করুন যারযার নিজ অবস্থান থেকে। আমাদের টিম পাকিস্তানের যাবে না। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.